হ্যালো, সোহানা – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

হ্যালো, সোহানা – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৩৩

হ্যালো, সোহানা – বইটির এক ঝলকঃ

রাত ।
সারাটা রাত রানাকে নিয়েই মেতে থাকতে চাইলো সোহানা। মনে করলো না অ্যাম্পুলের কথা, সুলারিও বা সী-ড্রাগনের কথা। বিকেলে আজ বোট ক্লাবে টেনিস খেলেছে, অনেকদিন পর। সার্ভ ও ভলীর খেলায় রানার ফর্ম ছিল, নইলে হারতে হতো সোহানার কাছে। বেস লাইন থেকে নিচু মাটি ঘেঁষা গ্রাউগুস্ট্রোকে মারে সোহানা। এখনো নিয়মিত খেলে ও। মেজর জেনারেল রাহাত খানের বাড়ির টেনিস লনে সে-ই একমাত্র যে এখনো নিয়মিত অভ্যাস করতে যায়। রানা এক সেট খেলেই বসে গেল। সোহানা দ্বিতীয় সেট খেললো একজন আমেরিকানের পার্টনার হিসেবে। হাঁটতে হাঁটতে কটেজে ফিরে শাওয়ার নিলো… ‘ব্রাউন গার্ল ইন দা রিঙ’…চেঁচিয়ে গাইতে গাইতে। শাওয়ার থেকে বেরিয়েই পড়ে গেল রানার খপ্পরে। হাসিমুখে সমর্পণ করলো নিজেকে । বিচিত্র শব্দমালায় শরীরের সঙ্গে শরীর, মনের সঙ্গে মন এক বিন্দুতে সমগ্র অনুভূতিকে একত্রিত করলো।
এবং ঘুমিয়ে পড়লো সোহানা।
চাদরে মুড়ি দিল রানা সোহানার গুটিয়ে থাকা শরীরটা। নিজে একটা সিগারেট ধরাল। পরিষ্কার বুঝতে পারলো রানা, ভয় পেয়েছে সোহানা। রানাকে হারাবার ভয় । একটা অ্যাম্পুল ওর সুখের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে ।
কটেজে ফিরে বালিকার মত খুশি হয়ে উঠেছিল সোহানা। রানার বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ করেছিল। শেষে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘রানা, সত্যি করে বলবে একটা কথা?’
‘বলো?’
তুমি ভালবাসো… আমাকে?’
উত্তর দেয়নি রানা, শুধু হেসেছিল।
এ প্রশ্ন নিয়ে সোহানা কোনদিন রানাকে ঘাঁটায়নি। এর আগেও তারা একত্র হয়েছে। দু’জনেই পরিষ্কার বুঝতে পেরেছে নিজের মন। কোনদিনই ভালবাসা নিয়ে আলোচনা হয়নি। অথচ দু’জনই একসঙ্গে থাকতে চেয়েছে। আরও নিবিড়, আরও গভীর করে পেতে চেয়েছে একে অপরকে। মাতাল যেমন যে-কোন অজুহাতে মদ খায়, ওরাও তেমনি যে-কোন ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে আহ্বান জানিয়েছে পরস্পরকে। যেমনঃ দুপুরটা নির্জন, বিকেলের বাতাসটা সুন্দর, ছায়াছবি দেখে জেন ফণ্ডার, অভিনয় চমৎকার লেগেছে, চাঁদটা বার বার ঢাকা পড়ছে দ্রুত ভাসমান মেঘের আড়ে, এমন কি খবর এসেছে গদি ত্যাগ করেছেন প্রেসিডিন্ট নিক্সন; অতএব রানাকে সোহানার দরকার, সোহানাকে ছাড়া রানার চলছে না। বিয়ে ছাড়া যতটা চায় ততটা কাছাকাছি থাকা যায় না, তাই মাঝে মাঝে বিয়ের কথাও ভেবেছে ওরা, আলাপ করেছে- কিন্তু ভালবাসার কথা হয়নি ওদের মধ্যে কোনদিন।
আজ হঠাৎ একথা জিজ্ঞেস করলো কেন সোহানা?
ভয় পেয়েছে বেচারী। বুঝতে পেরেছে, শেষ হয়ে আসছে ‘শুধু ছুটি’র দিন 1 সোহানার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রইল রানা বেশ অনেকক্ষণ। তারপর চোখ বন্ধ করলো ।
সকালে ঘুম ভাঙলো মৃদু স্পর্শে।
1
চা হাতে দাঁড়িয়ে আছে সোহানা। স্নান করেছে আটপৌরে ঢং-এ পরেছে শাড়ি, মাথায় জড়ানো তোয়ালে। সাবান পাউডারের মৃদু গন্ধ। সকালের সূর্যের আলো।
চা নিলো রানা হাত বাড়িয়ে। চা এখানে রোজ সকালে নিজে বানায় সোহানা । ট্রেতে সাজিয়ে নিয়ে এসে দাঁড়ায় বিছানার পাশে, যেন দেবতার প্রসাদ ।
‘আমাদের ঘোষণাপত্রের তিনটি শর্ত আপাতত কেটে দিলাম,’ গম্ভীর ভাবেই কথাগুলো বললো সোহানা, ‘আরো দু’একটা কাটতে হবে।’
রানা দেখলো এক, পাঁচ ও ছয় নম্বর শর্ত লাল কালিতে কাটা।
লাইফ গার্ড ছেলেটির চোখ দুটো সোহানার আল্ট্রামেরিন সুইম স্যুটের উন্মোচিত
অংশে ব্যস্ত।
ছোকরা ‘লিলিবেট’ এর নোঙর তুলে দিয়ে বললো, ‘কাঁটা চামচের চেয়ে আর্টিলারি শেল তুললে বেশি দাম পাবেন।’
ওরা বোট ছেড়ে দিল। সোহানার হাতে হুইল। রানা পকেট থেকে ফ্ল্যাশ লাইট বের করলো।
‘ওটা কেন?’ সোহানা জিজ্ঞেস করলো।
“কেভগুলো অন্ধকার। এটা দিয়ে অ্যাম্পুল খুঁজে বের করা যাবে।’
‘ওটা তো ওয়াটারপ্রুফ না।’
অন্য পকেট থেকে রানা বের করলো স্যাণ্ডউইচের সেলোফেন ব্যাগ । লাইটটা ব্যাগের মধ্যে রেখে খোলা দিকটা সূতো দিয়ে বাঁধলো। আলো জ্বেলে সোহানাকে দেখালো, ‘এবার?’
“জিনিয়াস!’
কোরাল রীফের কাছে এসে একটা ফাঁকা পথ বের করলো রানা। এগিয়ে গেল সাবধানে। হুইল এখন রানার কাছে। সোহানা দাঁড়িয়ে রয়েছে নোঙরের পাশে। ঠিক জায়গায় আসার সঙ্গে সঙ্গে রানা ইশারা করলো হাত তুলে। সোহানা নোঙর ফেলে দিল পানিতে। কাছি ধরে থাকলো। নোঙরটা সমুদ্র তল স্পর্শ করতেই ট্যাঙ্কের পাশে চলে এলো। রানা মোটর অফ করে দিল বোটের।
সমুদ্র-গভীরে, প্রবাল প্রাচীরের কাছে চলে গেল ওরা সাঁতরে। কয়েকগজ পরিষ্কার –
বালির আবরণ দেওয়া পরিসর যেন ছোট শহরের অফিসার্স ক্লাবের টেনিস লন। ওরা সেই গুহাটি খুঁজছে- যেখানে পেয়েছিল অ্যাম্পুল।—মাথার ওপর সূর্য। রামধনুর ফলাটা খাড়াখাড়ি হয়ে আছে পানির ভেতর। আলো ছায়ার আবহমান খেলা। প্রবাল প্রাচীরের গায়ে কালো বৃত্তগুলো একবার দেখা যাচ্ছে, তারপরই অদৃশ্য। ডান দিকে সরে গেল রানা। তাঁর দৃষ্টির শেষ সীমায় পানির নীল আরো গভীর হতে হতে কালো হয়ে গেছে। পাথরের ছায়াও স্পষ্ট নয়। সেদিকে তাকিয়ে দেখছে রানা অনড় ছায়াটাকে। সোহানা এসে রানাকে ধরে দাঁড়াল। অনড় ছায়াটাকে ভালো করে দেখে নিয়ে সোহানা কোমরে বাঁধা ওয়েট বেল্ট থেকে টর্চ লাইটটা বের করলো। সুইচ টিপতেই জ্বলে উঠলো আলো। হলুদ আলোর বৃত্ত ছড়িয়ে পড়লো বালির উপর।
গুহাটা আরো একটু ডান দিকে। রানার হাতে টর্চটা দিয়ে গুহার দিকে এগুলো সোহানা। চারদিকে ছড়ানো জাহাজের টুকরো অংশ। টর্চের আলো ডান থেকে সরিয়ে বামে ফেললো রানা গুহার ভেতর। কিন্তু গুহাটা যতবড় মনে হয়েছিল আসলে তা নয়। ছোট গুহা এবং ফাঁকা।
রানাকে ইঙ্গিত করেই বসে পড়লো সোহানা বালির ওপর। প্রথমে বালিতে হাত বুলালো- পরে দ্রুত নাড়তে লাগলো। বালিতে ঢেউ দিয়েছে সোহানা। ভেসে ওঠা বালির আড়ালে অদৃশ্য হলো সবকিছু। বালি কয়েক ইঞ্চি সরলো। টর্চের আলোয় কি যেন চকচক করে উঠতেই খপ করে ধরলো রানা।
বালি পরিষ্কার করে চোখের সামনে ধরে দেখলো অ্যাম্পুল! কিন্তু এ অ্যাম্পুলের তরল পদার্থ হলদেটে নয়-রঙহীন, স্বচ্ছ। খালিও হতে পারে। না, ভেতরের বুদবুদ নড়ছে। ওটা সোহানার হাতে দিয়ে আঙুল দিয়ে ভালো করে খুঁচিয়ে দেখলো-তারপর পা দিয়ে চারদিকটা সমতল করলো রানা। আগে যেমন ছিল। এবং কোমরের থলি থেকে বের করলো পাথরের মার্কার-যেটা সুলারিও তাকে দিয়েছিল ।
গুহা থেকে বের হয়ে ওরা প্রাচীর ধরে সাঁতার কাটলো। কাঠের টুকরো বা অন্য কিছু পেলেই সোহানা তা সরিয়ে দেখছে আর কি পাওয়া যায়।
কিছুই পাওয়া গেল না ।
সোহানা ফিরে তাকালো। অনেক পেছনে রয়ে গেছে রানা। দ্রুত ফিরে গেল সে রানার কাছে। একটা পাথর দিয়ে প্রবালের গায়ে আঘাত হানছে রানা। ভাঙতে চাইছে প্রবালের একটা অংশ। তারপর পাথর ফেলে দুটো আঙুল দিয়ে দেখছে ভাঙা অংশটা। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করলো হলুদ রঙের ধাতব পদার্থ। বাঁকা চোরা তোবড়ানো। সোহানা টর্চের আলো ফেললো। আলোয় দেখা গেল মুদ্রা নয়, একদিক বাঁকানো গোলাকার উজ্জ্বল ধাতুর পাত। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছেঃ লোনা পানিতে ক্ষয় হয়নি, শ্যাওলা পড়েনি এবং চকচক করছে, অমলিন ভাবে। টর্চের আলোয় আরো নিবিড় ভাবে দেখলো ওরা, দুটি অক্ষর খচিত রয়েছে পাতটির ওপর ।
পরস্পরের দিকে তাকালো। রানা ওপরে ওঠার ইশারা করলো সোহানাকে। পানি থেকে মাথা তুলে রানা বললো, ‘আর একটু হলে আমরা স্প্যানিশ সোনার আড়ত আবিষ্কার করে ফেলেছিলাম।’
*এখন কি হলো?’
‘এটা চকচকে, নতুন । সূর্য স্নানে এসে বছর কয়েক আগে কোন দম্পতি খুব সম্ভব হারিয়েছিল এটা।’
লিলিবের্টে উঠে ওরা অ্যম্পুলটা দেখলো। সূর্যের আলোয় তুলে ধরলো। আলোয় চকচক করে উঠলো অ্যাম্পুলটা।
‘আগেরটার সঙ্গে এর মিল নেই,’ বলেই থমকে গেল রানা। নামিয়ে রাখলো অ্যাম্পুল। সোহানার কোমর ধরে কাছে টানলো।
“কি হলো?’ সোহানা অবাক হয়েছে।
ওকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে চুমো খেল রানা। কানে কানে বললো, “ওই ওদিকের পাহাড়ে বিনকিউলার। কেউ দেখছে আমাদের। দেখুক শালা।’ সুইম স্যুটের জিপারে চলে এলো রানার হাত।
‘এই…না!… প্লীজ!’ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলো সোহানা।
‘ওদের চোখে আমরা হানিমুনার। দোষ ধরবে না কেউ। দেখছে, দেখুক হানিমুনাররা কি করে।’
শেষ বিকেলে ওরা দু’জন পৌঁছেচে সুলারিওর রান্নাঘর-কাম-ল্যাবরেটরিতে। অ্যাম্পুলটা হাতে নিয়ে সুলারিও জিজ্ঞেস করলো, ‘একই জায়গায় পেয়েছেন? মাথা ঝাঁকালো সোহানা। বললো, “কিন্তু রঙ এক নয় ।
‘হ্যাঁ,’ সুলারিও অ্যাম্পুলটা আরো ভালো করে দেখলো, বললো, ‘হেরোইনের মিশেল হতে পারে, হতে পারে আফিমের লিক্যুইড। অথবা অন্য ধরনের মরফিন। জায়গাটায় মার্কার বসিয়েছেন?”
‘হ্যাঁ,’ মাথা ঝাঁকালো আবার সোহানা।
‘আমি আগামীকাল রাতে নামবো।’
‘আমি আপনার সঙ্গে থাকতে চাই,’ বললো রানা।
সুলারিও তাকালো রানার দিকে। বললো, ‘রাতে নামাটা বিপদজনক । আপনি একা আসতে পারেন। মেয়েদের না আসাই ভালো।’
সোহানা এবার তার হাতব্যাগ থেকে চকচকে পদার্থটা বের করলো। সুলারিও উল্টেপাল্টে দেখে জিজ্ঞেস করলো, ‘কোথায় পেলেন?
‘পাথরের গায়ে গেঁথে ছিল। প্রবাল পাথর ভেঙে এটাকে বের করতে হয়েছে। রানা বুঝিয়ে বললো ।
‘এ জায়গাটায় মার্কার বসিয়েছেন?” ‘কেন?’ রানা জিজ্ঞেস করলো।
মিটমিট করে হাসলো সুলারিও। কারণ, আমার প্রিয় বন্ধুরা’-নাটক করার মত করে বললো, ‘এটা এক টুকরো খাঁটি সোনা। স্প্যানিশ গোল্ড।’
‘স্প্যানিশ গোল্ড? আমরা ধরে নিয়েছিলাম, হয়তো কারো খোয়ানো জিনিস।’ ‘না। আর একটু খুঁড়লে বা পাথর ভাঙলে, আমার বিশ্বাস, মানুষের হাড়ও পেতেন।’ সুলারিও বললো, ‘খাঁটি সোনা, পুরানো সোনা। এ জিনিস পানিতে ক্ষয় হয় না, শ্যাওলা গজায় না। ভাল করে দেখতে লাগলো সুলারিও, বলে যেতে লাগলো, এটি ছিল একটি লকেট। কোন নাবিক গলায় পরতো। সাগরের স্রোত ভাসিয়ে এনেছে একে অন্য কোথাও থেকে । অথবা কোন জাহাজ ডুবির পর জীবিত এই নাবিক সাঁতরে কূলে আসতে চেয়েছিল, কূল খুঁজে পায়নি। লোকটার নামের আদ্যক্ষর E. F. এ কোন নাবিকের ব্যক্তিগত জিনিস, জাহাজের সম্পত্তি নয় ।
‘হতেও তো পারে?’ সোহানার প্রশ্ন।
জানালার কাছে এগিয়ে গেল সুলারিও। তার অভ্যাস মত সমুদ্রের উপর চোখ রাখলো, বললো, ‘আমি আজ ত্রিশ বছর ধরে এই প্রবালের পাথরগুলো দেখছি, তবু বলতে পারি না ওদের আমি চিনি। কিন্তু ড্রাগন জাহাজ ডুবি সম্পর্কে আমার ধারণা ভুল হবে না। ঠিক ওই জায়গাটাকে আমি কিছুটা চিনি বলে দাবি করতে পারি। ওখানে অন্য জাহাজ ডুবে থাকলে আমি কোন না কোন নমুনা খুঁজে পেতাম।’ দৃঢ়তা ফুটে উঠলো সুলারিওর কণ্ঠে।
সন্ধ্যা নামার আগেই ওরা সুলারিওর বাড়ি থেকে বেরুলো। রানা জানতে চাইলো, ‘আগামীকাল রাত ক’টায় বেরুবেন?’
‘আপনি সন্ধ্যার আগে আগেই চলে আসবেন। আমার নৌকোটা এক গিরিখাদে রাখা আছে। ওটা নিয়ে বেরুবো।’
বালিক দ্বীপ থেকে বেরিয়ে ব্রিজের এপারে এসে মোটর সাইকেলের গতি বাড়িয়ে দিল রানা। সোহানা পেছন থেকে কোমর জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে। ফাঁকা পথ, মাঝে মাঝে দু’একটা ট্রাইশ দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বাড়ি ফিরছে।…মোটর সাইকেল যখন পেট্রোল স্টেশন পার হলো তখন স্টেশন থেকে একটা ডাটসান পিছু নিল। কুড়ি-পঁচিশ গজ দূরত্ব বজায় রাখলো। এটা অবশ্যি রানা খেয়াল করলো হঠাৎ রিয়ার ভিউ মিররে চোখ পড়তেই। রাস্তা ছেড়ে পাহাড় ঘেঁষে চলতে লাগলো। কিন্তু ডাটসান কাছে এলো না, ওভারটেক করলো রানা। গতি কিছুটা বাড়িয়ে সামনে বাঁক নিতেই দেখলো রানা দুটো মোটর বাইক ও একটা স্টেশন ওয়াগন আসছে দ্রুত বেগে। রানা ডান হাতটা তুললো। পেছনের গাড়িকে সিগন্যাল দিল আগে না বাড়ার জন্যে। সামনের গাড়িগুলো সাঁৎ করে চলে গেল পাশ কাটিয়ে।—সামনে পাওয়া গেল সোজা রাস্তা। গতি বাড়িয়ে দিল রানা অ্যাকসিলারেটর ঘুরিয়ে । কিন্তু পেছনে আবার সবুজ ডাটসান। আবার গতি কমিয়ে

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top