হামলা – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৭৬
হামলা – বইটির এক ঝলকঃ
আসার জন্যে ঝরা পাতার মত ডাইভ দিয়ে ডিগবাজি খেতে শুরু করল ক্যাটালিনা • বুলেট লাগল বটে, কিন্তু তাৎক্ষণিক উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বুলেটের মূল প্রবাহটাকে এড়িয়ে যেতে পারল রানা ।
একটানা আট মিনিট চলল ওদের আকাশ যুদ্ধ। এয়ারফোর্সের লোকেরা ফিল্ডে দাঁড়িয়ে চাক্ষুষ করল এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ধীরে ধীরে ডগফাইট সরে গেল পূর্ব দিকে, তারপর শুরু হলো ফাইন্যাল রাউন্ড।
রানার কপালের মসৃণ চামড়ায় মুক্তোর মত বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটেছে। শত্রুকে ছোট করে দেখছে না ও, তার ক্ষিপ্রতা বরং শঙ্কিত করে তুলেছে ওকে, তবু অস্থির না হয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার পক্ষপাতী ও, যতক্ষণ না বুঝতে পারবে মোক্ষম সময় উপস্থিত হয়েছে তার আগে আঘাত হানতে রাজি নয়। এবং সময়টা যখন এল, সম্পূর্ণ তৈরি তখন রানা।
ওকে ফাঁকি দিয়ে ক্যাটালিনার পিছনে এবং খানিকটা ওপরে উঠে গেছে বাইপ্লেন। ক্যাটালিনার গতি রানা কমালও না, বাড়ালও না, যা ছিল তাই রাখল 1 উপস্থিত পজিশন জিতে যাবারই নামান্তর মনে করে ক্যাটালিনার উঁচু টেইল সেকশনের পঞ্চাশ গজের মধ্যে চলে এল অ্যালব্যাট্রেসের পাইলট। কিন্তু বাইপ্লেনের জোড়া মেশিনগান গর্জে ওঠার আগেই এটল পিছিয়ে নিয়ে এসে ফ্ল্যাপগুলো নিচু করে দিল রানা, গতি কমিয়ে নিয়ে এসে ক্যাটালিনাকে প্রায় দাঁড় করিয়ে ফেলল শূন্যে। বিস্ময়ের আরেকটা ধাক্কা খেল বাইপ্লেনের পাইলট। তার মেশিনগানের গুলি ক্যাটালিনার অনেক ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেল। বাঁক নেবার সময় পেল না, বাইপ্লেন নিজেও ক্যাটালিনার ওপর দিয়ে ছুটে গেল সামনের দিকে। এই সুবর্ণ সুযোগ বেন ছাড়বে কেন! প্রায় পয়েন্ট-ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে তার হাতে গর্জে উঠল কারবাইন, কয়েক জায়গায় জখম হলো অ্যালবাট্রসের ইঞ্জিন। রানার বো- সামনে কাত হয়ে পড়ল অ্যালবাট্রস। একজন বীরের প্রতি আরেকজন বীরের যে সহজাত শ্রদ্ধা থাকে হঠাৎ সেটা রানার অন্তরে উথলে উঠল—দেখল, খোলা ককপিটে বসা পাইলট এক ঝটকায় তার গগলস কপালে তুলে দিয়ে দ্রুত একটা স্যালুট ঠুকল ওকে উদ্দেশ্য করে। এরপর গোলাপী অ্যালবাট্রস আর তার রহস্যময় পাইলট বাঁক নিয়ে ছুটে চলল দ্বীপের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে, পিছনে রেখে গেল মোটা কালো ধোঁয়ার একটা ধায়া।
“
শূন্যে প্রায় স্থির হওয়া অবস্থা থেকে নিচের দিকে ড্রাইড দিল ক্যাটালিনা, সেটাকে নিজের আয়ত্তে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্যে কন্ট্রোলের ওপর এক রকম ঝাঁপিয়ে পড়ল রানা । মুহূর্তের জন্যে নার্ভাস হয়ে পড়ল ওয় কিন্তু তারপরই সামলে নিল পতনটা। এরপর প্লেন নিয়ে আকাশের অনেক ওপরে উঠে এল ও। এক নাগাড়ে পাঁচ হাজার ফুট উঠে এসে সোজা করল ক্যাটালিনাকে, অ্যালব্যাট্রেসের খোঁজে চোখ বুলাল দ্বীপ। এবং সাগরের বুকে। কই, কোথায়? মলটিজ ক্রস আঁকা গোলাপী বাইপ্লেনটা কোথাও নেই। যেন বাতাসে মিলিয়ে গেছে।
“এই মুহূর্তে জরুরী কোন সমস্যা নেই বলেই বোধহয়, রানার মনের ভেতর নানা জল্পনা কল্পনার আনাগোনা শুরু হয়ে গেল। খুঁতখুঁত করে উঠল মন কেন তা, ও নিজেও জানে না, অ্যালবাট্রসটাকে চেনা চেনা লেগেছে ওর। ভুলে যাওয়া অতীত থেকে যেন ওর ঘাড় মটকাবার জন্যে বর্তমানে ফিরে এসেছে ভূতটা। তবে অনুভূতিটা যেমন হঠাৎ করে এল তেমনি হঠাৎ করেই ছেড়ে গেল ওকে। সারা শরীর ঢিল করে দিয়ে বুক ভরে শ্বাস টানল ও ৮ উত্তেজনা ঝরে পড়ার সাথে সাথে হালকা হয়ে এল ম
বলো, বীরোত্তম খেতাবটা কখন পাচ্ছি আমি?’ কেবিনের দোরগোড়ায় দেখা গেল রেন নেলসনকে।
ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল রানা। দেখল, বেনের কপালের পাশে ইঞ্চি দুয়েক লম্বা একটা ক্ষত থেকে অলস গতিতে রক্ত বেরিয়ে আসছে, কিন্তু তার সারা মুখে ছড়িয়ে থাকা হাসিটা বরাবরের মতই অম্লান।
“রক্ত কিসের?!
এগিয়ে এসে কো-পাইলটের সীটে বসল বেন। তার আগে জবাব দাও, কার কাছ থেকে শুনেছ যে ক্যাটালিনা দিয়ে লুপ করা যায়?”
রানার চোখ জোড়া ক্ষীণ একটু আলোকিত হয়ে উঠল। আমতা আমতা করে বলল, ‘না মানে, তখন মনে হলো এছাড়া আর কোন উপায় নেই -তা, ঘটনাটা কি?’
ফের যদি কখনও নৃপ করার সাধ হয়, তার আগে দয়া করে সাবধান করে দিয়ো প্যাসেঞ্জারকে। কম করেও ডজন খানেক ড্রপ খেয়েছি কেবিনের ভেতর।’ “কিসের সাথে ধাক্কা খেয়ে এ
‘এরপরও জানার কৌতূহল আছে তোমার?’
‘না, মানে ‘
মুখ হাঁড়ি করে উত্তর দিল বেন, ‘আমার কপালও ছেড়ে দেয়নি। টয়লেটের দরজায় পিতলের হাতল ছিল, এখন সেটা নেই। ‘
হেসে উঠল রানা। ওর সাথে যোগ দিল বেনও ।
তারপর ধীরে ধীরে গুরুতর পরিস্থিতির থমথমে ভাবটা ফিরে এল ককপিটের ভেতর। একটানা তেরো ঘণ্টার ওপর প্লেন চালিয়ে আসছে রানা, তারপর বিনা প্রস্তুতিতে বাইপ্লেনটার সাথে লড়তে গিয়ে রিজার্ভ শক্তি যেটুকু অবশিষ্ট ছিল তাও . নিঃশেষ হয়ে গেছে। ক্লান্ত, ভীষণ ক্লান্ত বোধ করল ও। সুপের মিষ্টি গন্ধ পেল নাকে, চোখের সামনে দুলতে লাগল ঠাণ্ডা পানি ঝরা শাওয়ার, ধবধবে সাদা চাদর ঢাকা নরম বিছানা। ককপিট জানালা দিয়ে নিচে ব্র্যাডি ফিল্ডের দিকে তাকাল ও । মনে পড়ল, ওদের গন্তব্য ছিল ব্লু লিডার।
‘পানিতে নামলে ডুবে যেতে পারে ক্যাটালিনা,’ বলল ও। আমাদের খোল কয়েক জায়গায় ফুটো হয়ে গেছে । ব্র্যাডি ফিন্ডেই ল্যান্ড করতে হবে।’
“সেটাই ভাল, বলল বেন। এত বেশি গর্ব অনুভব করছি যে এখন যদি আমাকে পানি সেচতে বাধ্য করা হয়, হয়তো আত্মহত্যা করে বসব।’
বিধ্বস্ত এয়ারক্রাফটগুলোর ওপর একটা চক্কর দিল ক্যাটালিনা, তারপর নাক নিচু করে নামতে শুরু করল রানওয়েতে। টাচ-ডাউনের সময় ঝাকি খেল প্লেন, আগুনের কুণ্ডলীগুলোকে এড়িয়ে অ্যাপ্রনের শেষ প্রান্তে থামল সেটা। ইগনিশন সুইচ অফ করে দিল রানা। সিলভার রেডের জোড়া প্রপেলার ঘোরা শেষ করে
থামল এক সময়। ঈজিয়ান সূর্যের রোদ লেগে চকচক করতে লাগল সেগুলো। কোথাও কোন শব্দ নেই আর, সব শান্ত, স্থির হয়ে আছে। তেরো ঘণ্টা পর এই প্রথম নিস্তব্ধতা নেমে এল ককপিটের ভেতর, আওয়াজ এবং কাঁপন দুটোই থেমে গেছে। একচুল নড়ল না ওরা, কান এবং সারা শরীরে ধীরে ধীরে সয়ে আসছে নীরব, নিম্পে পরিবেশটা।
পাশের জানালার কাঁচ সরিয়ে বাইরে তাকাল রানা। বেস ফায়ারম্যানরা আগুন আয়ত্তে আনার জন্যে অমানুষিক খাটছে। রোডম্যাপের গায়ে আঁকা অলি- গলি-রাস্তার মত রানওয়ের ওপর ছড়িয়ে রয়েছে হোস পাইপ। লোকজন ছুটোছুটি করছে, চড়া গলায় নির্দেশ দিচ্ছে। এফ ওয়ান হানড্রেড ফাইভ জেটগুলোর আগুন প্রায় নিভিয়ে ফেলা হয়েছে, কিন্তু এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে একটা কার্গোমাস্টার।
“দেখছ?’ জানতে চাইল বেন ।
ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেলের ওপর ঝুঁকে বেনের দিকের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল রানা। রানওয়ে ধরে সোজা ওদের দিকে ছুটে আসছে নীল রঙের একটা এয়ার ফোর্স স্টেশন ওয়াগন, তাতে কয়েকজন অফিসারকে দেখা গেল। গাড়ির পিছু পিছু ছুটে আসছে কম করেও ত্রিশ পঁয়ত্রিশ জন এয়ার ফোর্স কর্মী। শুধু ছুটে আসছে বললে কিছুই বলা হয় না। উল্লাসে বিস্ফোরিত হতে দেখা গেল গোটা দলটাকে। উদ্বাহু নৃত্য করছে সবাই।
‘ধন্য মনে হচ্ছে নিজেকে, গম্ভীর সুরে বলল বেন। স্বপ্নেও ভাবিনি আমার কপালে এমন অভ্যর্থনা কমিটি আছে!’ একটা রুমাল দিয়ে কপালের পাশের ক্ষতটা চেপে ধরল সে। রক্তে লাল হয়ে উঠতে জানালা দিয়ে রানওয়ের ওপর ফেলে দিল সেটা। মুখ ফিরিয়ে সৈকতের দিকে তাকাল সে। দূর সাগরে হারিয়ে গেল তার দৃষ্টি, চেহারায় উদাস একটা ভাব ফুটে উঠল। খানিক পর রানার দিকে ফিরল সে। ‘এই যে এই মুহূর্তে এখানে আমরা বসে আছি, সেটা আমাদের নেহাতই সৌভাগ্য, তাই না?’
‘হ্যাঁ,’ মৃদু কণ্ঠে বলল রানা। ওপরে থাকতে অন্তত বার দুয়েক মনে হয়েছে আমার, বাঁচার কোন আশা নেই।’
‘জানতে ইচ্ছে করে, এসবের মানে কি?’
কৌতূহল ঝিক্ করে উঠল রানার চোখেও। ‘গোলাপী অ্যালব্যাট্রেসই বোধহয় রহস্যের একমাত্র সূত্র।’
“অমন জ্বলজ্বলে গোলাপী রঙের প্লেন জীবনে দেখিনি,’ বলল বেন। ‘এই রঙের কি কোন তাৎপর্য আছে?’
“বোঝা গেল, এভিয়েশন হিস্ট্রি-মন দিয়ে পড়োনি, কটাক্ষ করল রানা। ‘পড়লে মনে থাকত, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান পাইলটদের যার যার রুচি মত প্লেন রঙ করার অনুমতি দেয়া হত।
হঠাৎ ব্রেক করায় হড়কে গেল স্টেশনওয়াগনের চাকা, কংক্রিটের সাথে রাবারের তীব্র ঘষা লাগায় তীক্ষ্ণ আওয়াজ উঠল, বিরাট সিলভার ফ্লাইং বোটের পাশে দাঁড়িয়ে পড়ল গাড়ি। ভেতরে যেন বিস্ফোরণ হলো; এক সাথে খুলে গেল ‘চারটে দরজা। হৈ-হুল্লোড় করতে করতে লাফ দিয়ে বেরিয়ে এল প্যাসেঞ্জাররা। ছুটে এসে প্লেনের অ্যালুমিনিয়াম হ্যাচের গায়ে দমাদম কিল-চড়-ঘুসি মারতে শুরু করল। অপর দলটাও পৌঁছল। এয়ারক্রাফটটাকে ঘিরে ফেলল তারা। উল্লাসের আতিশয্যে গলা ফাটাচ্ছে সবাই। ককপিটের উদ্দেশে হাত নাড়ছে।
নিজের সীটে বসে থাকল রানা, জানালার নিচে দাড়ানো লোকগুলোকে উদ্দেশ্য করে হাত নাড়ল। শরীরটা ক্লান্ত এবং অসাড় লাগছে ওর, কিন্তু মাথার ভেতরটা পুরোমাত্রায় সজাগ। স্মৃতির মণিকোঠা থেকে হঠাৎ করেই বেরিয়ে এল একটা লেখা। বিড় বিড় করে লেখাটা উচ্চারণ করল রানা–“দি হক (HAWK ) অভ ম্যাসেডোনিয়া।’
দরজার কাছ থেকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল বেন। “কি বললে?’
ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ল রানা। ‘না না, কিছু না!” সীট ছেড়ে উঠে পড়ল ও। ‘চলো, একটু ঘুমাতে পারা যায় কিনা দেখি,
চার
কতক্ষণ ঘুমিয়েছে বলতে পারবে না রানা, চোখ মেলে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখতে পেল না? একবার মনে হলো শুধু একটু তন্দ্রা মত এসেছিল, তারপরই সন্দেহ করল, পাঁচ-সাত ঘণ্টার কম ঘুমায়নি। কেউ যখন বিরক্ত করছে না, আরেকটু ঘুমিয়ে নিতে অসুবিধে কোথায়? চোখ বুজল ও, এবং আবার ঘুমিয়ে পড়তে শুরু করল। কিন্তু এবারের ঘুমটা কোনমতেই গভীর হতে চাইল না, তন্দ্রা মত একটা পর্যায়ে স্থির হয়ে থাকল। এই আধো ঘুম আধো জাগরণের মধ্যে আবার সেই লেখাটা দেখতে পেল ও।
ইমপিরিয়াল ওয়র মিউজিয়ামের গ্যালারি অনেক ফটোগ্রাফ পাশাপাশি ঝুলছে, তার মধ্যে একটা দৃষ্টি আকর্ষণ করল ওর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটা ফাইটার প্লেনের পাশে পোজ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে একজন অ্যাভিয়েটর পরনে ফ্লাইং স্যুট, হাতটা রয়েছে ধবধবে সাদা একটা জার্মান শেফার্ড কুকুরের মাথায়। মুখ আর জিভ দেখে বুঝতে অসুবিধে হয় না, কুকুরটা হাপাচ্ছে, চোখ তুলে তাকিয়ে আছে পাইলটের দিকে, দৃষ্টিতে প্রভু-ভক্তি এবং প্রশংসা। ফটোর নিচে ক্যাপসন । এই লেখাটাই ওর স্মৃতি মণিকোঠা থেকে উঠে এসেছিল। ক্যাপসনটা এই রকম *দি হক অর্ড ম্যাসেডোনিয়া
লেফটেন্যান্ট অ্যালবার্ট কেসারলিং, অ্যাটেইনড থারটি-টু ভিক্টোরিজ ওভার দি অ্যালাইজ অন দি ম্যাসেডোনিয়ান ফ্রন্ট; ওয়ান অভ দি আউটস্ট্যান্ডিং এসেস অফ দি গ্রেট ওয়র। প্রিজিউমড্ শট ডাউন অ্যান্ড লস্ট ইন দা ঈজিয়ান সী অন জুলাই ফিফটিন, নাইনটিন এইটিন।’
তন্দ্রার ভাবটা চট করে ছুটে গেল। কনুইয়ের ওপর ভর দিয়ে শরীরটাকে উঁচু করল ও, ক্যাঁচ ক্যাঁচ করে উঠল এয়ার ফোর্স কটের মেটাল স্ত্রীও। হাত বাড়িয়ে টেবিল থেকে তুলে নিল ওমেগা হাতঘড়ি। চোখের সামনে লিউমিনাস ডায়াল ধরে
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!