গোলাপের কাটাঁ – আব্দুস সালাম মিতুল – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

গোলাপের কাটাঁ – আব্দুস সালাম মিতুল – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ আব্দুস সালাম মিতুল

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৪৮

গোলাপের কাটাঁ – বইটির এক ঝলকঃ

নিজেকে এত গরীব ভাবো কেন বলতো? তুমি যার কাছে এসেছো তার সম্মান আর তোমার সমান এখন এক হয়ে গিয়েছে। আর তুমি এত ভালো রেজাল্ট করে ছোট কলেজে কেন ভর্তি হবে?
আজাদ কি যেন বলতে যাচ্ছিল। কিন্তু ভয়ে থেমে যায়। কি জানি সালমা আবার কোন দিক থেকে আক্রমণ করে বসে কে জানে। ওর কথার যে ধার এত সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা শিখলো কেমন করে সালমা। তাহলে সে-ও কি তার মত সাহিত্য চর্চা করে না কি?
আচ্ছা সালমা, তুমি বই পড়তে ভালোবাসো?
কি যে বলো। আমার তো সময়ই কাটে বই পড়ে। বাসায় গিয়ে আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহ বই তোমাকে দেখাবো। তুমি বই পড়োনা
হ্যাঁ আমিও বই পড়ি আর গান গাইতে-
কি কি বললে? তুমি গান গাইতে জানো? আনন্দে সালমা আজাদের দিকে মুখ করে। একটু কাছে সরে আসে।
না মানে গাইতে তেমন জানিনা। আমার কন্ঠ ভালো না।
তা হবে না। আজই রাতে ডিনারের পরেই তোমার গান শুনবো।
এর মধ্যেই গাড়ি এসে বাড়ির গেটে প্রবেশ করে। রাতের অন্ধকার তখন ক্রমে পৃথিবীর উপরে একটা কালো আবরণ টেনে দিচ্ছে। বাড়ির সামনে চাঁদের আলোয় আলোকিত উদ্যানে রকমারী ফুলের সমাবেশ। তার মনমুগ্ধকর সৌরভে বাড়ির সামনের অঙ্গন আমোদিত। ফাগুনের স্পর্শে প্রতিটি বৃক্ষ তরুলতার কিশলয়ে গাঢ় সবুজের মন মাতানো যৌবনের উনেষ। দক্ষিণা মলয় সমীরণে পুষ্প শাখা যেন মিলন হিল্লোলে দোল খাচ্ছে। নিজের পরিপূর্ণতার গৌরবে দিগন্তে সৌরভ ছড়িয়ে দিতে ফুলগুলি পাপড়ি মেলে দিয়ে ঐ দূর নীলিমায় নিহারীকা পরের দিকে তাকিয়ে মহা মিলনের ইশারা দিচ্ছে। আজাদের কবি মনে এ দৃশ্য ভাবের সৃষ্টি করে। সে উদাসভাবে বাগানের দিকে তাকিয়ে ছিল। সালমার ডাকে সে যেন চমকে উঠে।
সালমা গাড়ি থেকে নেমে দরোজা খুলে ধরে বলে- নেমে এসো আজাদ ভাইয়া।
এ্যা- আচ্ছা নামছি। দু’ জনে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে যায়। আজাদকে ওর রুম দেখিয়ে দিয়ে সালমা তার আধা-আমার কাছে গিয়ে বলে, এই যে দেখো আব্বা আজাদ ভাইয়ার জামা প্যান্ট জুতো। তোমাদের পছন্দ হয়েছে তো?
হ্যাঁ, মা ভালই হয়েছে, আমি তো সব দিকে লক্ষ্য রাখতে পারি না মা ওর ভালো মন্দের দিকে তুই একটু নজর রাখিস। ওর যা কিছু লাগবে তোর আমার কাছে থেকে টাকা নিয়ে তুই-ই কিনে দিস। সালমার আম্মা সালমাকে বলে।
তুমি কিছু চিন্তা করো না আচ্ছা, তোমার বন্ধুর ছেলের অমর্যাদা যাতে না হয় আমি দেখবো। আর গুতো এবার পরীক্ষায় স্টার পেয়েছে আধা আনন্দ যেন সালমার কণ্ঠে ঝরে পড়ে। ওতো ঢাকাতে ভর্তি হতে এসেছে- তাই নাকি-তাহলে তুই আর আজান একই কলেজে ভর্তি হ- বলেই মেয়ের মুখের দিকে তাকায় মঈন চৌধুরী।
হ্যাঁ আম্বা, আমিও তাই ভাবছি। আর ও নাকি গান গাইতে জানে। আজ ডিনারের পরে ওর গান শুনবো। কালকে ওকে একটা ঘড়ি কিনে দিতে হবে- বলেই সালমা রুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমের দিকে যায়।
আজাদের জন্যে নির্ধারিত রুমে সে প্রবেশ করেই তার চোখ ছানাবরা হয়ে যায়। আলোয় ঝলমল করছে ঘরটি। মাথার উপরে ফ্যান। সাদা লম্বা একটি টিউব লাইট তো জ্বলছেই তার উপরে আবার একটি সবুজ লাইট। মেহগনী কাঠের তৈরি বড় খাটের উপরে প্রায় দশ ইঞ্চি মোটা গদি। উপরে বড় বড় ফুল পাতা আঁকা সবুজ চাদর। একই রং এর কতার দেওয়া দু’ টো বড় বড় বালিশ। একটি লম্বা কোল বালিশ। এক পাশে বাথরুমের দরজা। ঘরের মধ্যে পাশাপাশি দু’টো দামী সোফা। তার সামনে একটি টি-টেবিল। দক্ষিণ দিকের জানালার সামনে একটি পড়ার টেবিল চেয়ার। টেবিলের উপরে টেবিল ল্যাম্প। জানালা দিয়ে নীচের ফুল বাগান দেখা যাচ্ছে। আজান পাজামা পাঞ্জাবী খুলে লুঙ্গী পরতে থাকে আর ভাবতে থাকে বিছানায় বালিশ দু’টো কেন। আর কেউ ওর কাছে শোবে নাকি? সে তো বুদ্ধির বিকাশের পর থেকে এক আদরের রুমী ছাড়া আর কারো সাথে এক বিছানায় শোয়নি। কেউ যদি শোয়-ই তাহলে মাঝখানে সে কোল বালিশ দিয়ে রাখবে। নাহ্, তাহলে এরা বলবে গরীবের আবার ঘোড়া রোগ। তার মত গরীবের এ ধরনের বিলাসিতা মানায় না। এরা শুর মত গরীবকে আশ্রয় দিয়েছে এই অনেক। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাবার ভাষা তার নেই। জামা কাপড়গুলো সে আলনায় রেখে জানালার কাছে বসে ফুল বাগানের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার কল্পনা প্রবণ কবি মন চলে যায় দূরে-বহুদূরে সবুজ শ্যামল বনানী আচ্ছাদিত মায়াময় শেখপাড়া গ্রামে। পাখির কলকাকলী মুখরিত ছায়া সুনিবিড় পল্লী বাগানে।
সালমা নিজের রুমে গিয়ে সালোয়ার কামিজ খুলে পা পর্যন্ত লম্বা কালোর উপরে লাল ফুল প্রিন্টের ম্যাকসি পরে ওড়না গায়ে দিয়ে আজাদের রুমে প্রবেশ করতেই দরোজার কাছে থমকে দাঁড়ায়।
আজাদ দরোজার দিকে পিট দিয়ে জানালার কাছে বসে আছে। মাথার ঘন কালো কোকড়ানো চুলগুলো ফ্যানের বাতাসে অবিন্যস্ত ভাবে উড়ছে। অপূর্ব সুগঠিত স্বাস্থ্য। গায়ের রং যেন কাঁচা হলুদ, বৈদ্যুতিক আলোয় অপূর্ব লাগছে। কিছুক্ষণ মোহাবিটের মতই তাকিয়ে থাকে ওর দিকে সালমা। তারপর পায়ে পায়ে এগিয়ে ডাকে- আজাদ ভাইয়া, অমন করে কি ভাবছো? বাড়ির কথা মনে পড়েছে বুঝি?
কে? ও সালমা, চমকে ফিরে তাকায় আজাদ। মুখে মৃদু হাসি টেনে বলে- না, ফুল বাগান দেখছিলাম। তুমি দাড়িয়ে রইলে যে বসো।
. তুমি কবি-সাহিত্যিক মানুষ, ফুল বাগান তো তোমার হৃদয়ের ক্ষুধা মেটাবে। বসতে বসতে বলে সালমা।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top