ঘুরে দারাও – ওয়ায়েল ইব্রাহিম – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

ঘুরে দারাও – ওয়ায়েল ইব্রাহিম – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ মিনহাজ মোহাম্মদ

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২০৪

ঘুরে দারাও – বইটির এক ঝলকঃ

প্রথম যেদিন কেউ আমার নিকট তার পর্ন-আসক্তির কথা স্বীকার করেছিল, আমি শুনে আকাশ থেকে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম, সে হয়তো পাগল হয়ে গেছে, না হয় মজা করছে। আমি কখনোই ভাবিনি, সেক্স, পর্ন বা হস্তমৈথুন কোনো ধরনের আসক্তি হতে পারে; এমন আসক্তি যা জীবনকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে টেনে নিয়ে যায়।
যখন আমি হাই স্কুলে ছিলাম তখন বন্ধুদের মধ্যে প্রচুর পর্ন ম্যাগাজিন আদান প্রদান হতো, কারও লাজ-লজ্জা বলতে কিছু ছিল না। আমরা আলোচনা করতাম সেক্স পজিশন নিয়ে, নতুন নতুন পর্ন নিয়ে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ছিল, যখন বন্ধুরা একজন আরেকজনকে গর্বের সাথে বলত, কে দিনে কতবার হস্তমৈথুন করতে পারে। আজ তাদের জীবন পর্ন দ্বারা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, কারও নিকট নিজের সমস্যার কথা খুলে বলার সময় চলে এসেছে। তারপরও তারা বলতে চাচ্ছে না, শেয়ার করতে লজ্জা পাচ্ছে। অথচ তারা প্রতিনিয়ত এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে নিজের প্রবৃত্তির সাথে লড়াই করে যাচ্ছে। এতদিন ধরে তাদের এই আসক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হার মানার কারণ একটাই—তারা কারও সাহায্য কামনা করেনি। আচ্ছা আমরা কেন নিজেদের আসক্তির কথা বিশেষজ্ঞদের কাছে স্বীকার করতে পারি না, যারা আমাদের এই যাত্রায় সফল হতে সাহায্য করতে পারবে। আমরা কেন অন্য আসক্তদের সাথে এক জায়গায় মিলিত হতে পারি না, যারা নিজেরাও এই আসক্তি থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে বা কারও সাহায্য চাচ্ছে। কেন আমরা সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিই না। অন্তত বিশ্বাসযোগ্য কোনো বন্ধুর কাছে না-বলা কথাগুলো বলি না।
প্রয়োজনে ‘সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া নিয়েই এই অধ্যায়ের আলোচনা। বিশ্বাসযোগ্য কাউকে কীভাবে সংকোচ বোধ ছাড়া নিজের আসক্তির কথা বলবেন। আসক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে গড়া কোনো সাপোর্ট গ্রুপে যুক্ত হওয়া কেন প্রয়োজন তা জানতে হবে। তাদের সহায়তায় আপনি সকল বাধা অতিক্রম করে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনি কিন্তু একা নন, আপনার মতো লাখ লাখ পর্ন-আসক্ত ব্যক্তি আছেন, যারা অনেকদিন ধরে কার্যকরী কোনো সমাধান খুঁজছেন। তাদের সাহায্য করার মাধ্যমেও আপনি উপকৃত হবেন।
আপনাকে আমার এক ক্লায়েন্ট এর কথা বলি, যিনি গত দু-বছর আগে আমার কাছে প্রথম নিজের আসক্তির কথা স্বীকার করেছলেন। আমি তাকে নিজের অনুভূতিগু
লিখতে বলেছিলাম । তিনি লিখেছিলেন,
“আমি গত ১০ বছর আগে আমার স্ত্রীর কাছে নিজের আসক্তির কথা স্বীকার করতে চেয়েছিলাম। সংকোচ বোধ হচ্ছিল। ভাবতে পারছিলাম না ও ব্যাপারটা কীভা নেবে। কিন্তু সঠিক কাজটা না করে, ওর কাছে সত্য লুকিয়ে রেখে আমি বা ব্যাপারটা এড়িয়ে যেতাম। যৌন সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য, ডোপামিন দিয়ে ব্রেইন ভরিয়ে রাখার জন্য যা করা দরকার করতাম। শেষ পর্যন্ত আমি অন্য কাউকে বলার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। ১০ বছর পর এই প্রথম আমি হালকা অনুভব করছি, মনে হচ্ছে আমি এখন আর একা নই।”
নিজের আসক্তির কথা অন্যের কাছে স্বীকার করা অনেকের কাছেই বেশ কঠিন একটা কাজ। আর নিজের স্ত্রী বা স্বামীর কাছে বলা তো আরও দুরূহ ব্যাপার। অতীতে আমার কাছে এমন অনেক ক্লায়েন্ট এসেছিল, যারা একসময় নিজের আসক্তির কথা অন্যের কাছে বলার চেয়ে বিষণ্নতার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করাকেই বেছে নিয়েছিল। যদিও তারা জানতো আসক্তির কারণে তাদের জীবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কারও কাছে নিজের গোপন কষ্টের কথা শেয়ার করতে পারা এতটাই কঠিন হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আপনার আশেপাশের অনেকেই আছেন যারা অবশ্যই আপনার এই সমস্যা নিয়ে ঠাট্টা করবেন না বা আপনার কষ্ট বাড়িয়ে দেবে না। বরং তারা আপনাকে এই আসক্তি থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করবে, অনুপ্রেরণা দেবে। আপনার স্ত্রী থেকে শুরু করে বাবা-মা, ভাই-বোন, কাছের বন্ধু কিংবা শিক্ষকের কাছে পর্যন্ত আপনি নিজের আসক্তির কথা স্বীকার করতে পারেন। আর যার কাছে আসক্তির কথা স্বীকার করা হয় তাকে আমরা বলি অ্যাকাউন্টেবিলিটি পার্টনার (accountability partner)। তারা আপনার দিকে সব সময় নজর রাখবে যাতে আপনি আসক্তির দিকে ফিরে না যান। আপনি আগে কী করেছেন তা তাদের কাছে ব্যাপার না; তারা আপনাকে ভালোবাসে। তাই আপনাকে কাঙ্ক্ষিত গন্তবো পৌঁছাতে তারা নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করে যাবে। আপনি নিজেই এতদিন ধরে সেভাবে চাননি বলে এই আসক্তি থেকে মুক্তির পথে অগ্রসর হতে পারেননি।
তবে তাদের বললে হয়তো কাজ হতো।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top