ড্রাগ লর্ড – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৪৭
ড্রাগ লর্ড – বইটির এক ঝলকঃ
‘তা দিতে পারেন। দশ মিনিটের মধ্যেই হয়ে যাবে আমার।’
গোসল সেরে এসে পরিষ্কার শার্ট গায়ে দিল রানা। নেভি ব্লু রঙের সুট আর হাতে বোনা কালো টাই। অদ্ভুত এক ধরনের স্বস্তি বোধ করছে, মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনীতে থাকার সময়কার ইউনিফর্ম পরেছে আবার। সকাল ছ’টায় রোম থেকে রওনা দেয়ার আগে শেভ করেছে, তাই এখন আরেকবার শেভ করার প্রয়োজন বোধ করল না। চুল ছাঁটিয়েছে সাত দিন আগে ।
বসার ঘরে ঢুকে দেখল ছোট্ট ট্রে-র উপর এক গ্লাস কমলার রস রাখা, বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটছে গ্লাসের গায়ে। এক চুমুকে ঢক ঢক করে রসটুকু খেয়ে নিল ও। তারপর টেনে নিল টেবিলে রাখা আজকের খবরের কাগজ। তা-ই দেখে মিসেস ট্যানার বলল, ‘দারুণ খবর আছে, সার। পঁচানব্বই বছরের বুড়োটা ঠিকই পালতোলা নৌকায় করে সারা দুনিয়া ঘুরে ফিরে এসেছে।’
‘রবার্টসন?’
‘আপনি জানেন নাকি?’
‘না, আপনার মুখে শুনেই বুঝলাম। ওর বেরোনোর খবরটা জানতাম, টিভিতে দেখেছি।’
‘পারল কী করে, বলুন তো? এই বয়েসে এত এনার্জি!’
‘কিছু কিছু মানুষ ওরকম এনার্জি নিয়েই জন্মায়। আপনারও তো কাছাকাছি বয়েস। কিন্তু দেখে বোঝা যায়? সারাটা দিন যা খাটনি খাটেন, জোয়ান মেয়েগুলো পারবে?’
খুশি হলো মিসেস ট্যানার। ‘জানেন, ওই পপ সিঙ্গার দুটো ড্রাগ নেবার অভিযোগে অ্যারেস্ট হয়েছে।’
‘বিটলস?’
‘আরে না। বিটলস কী এখন আছে নাকি–ও তো বহু পুরানো কসমিক সোলজার। ওই যে, দুটো ছোকরা, পিঠ পর্যন্ত মেয়েদের মত চুল রাখে আর গলা ফাটিয়ে চেঁচায়। বিচ্ছিরি।’
‘কী ড্রাগ? মারিজুয়ানা?
‘কী জানি, ওসব জানি না। ড্রাগ, ব্যস, ওটুকুই জেনেছি।’
‘হুঁ, ইদানীং ড্রাগের ব্যবহার অতিরিক্ত বেড়ে গেছে।’ কাগজে হালকা ভাবে চোখ বুলিয়ে উঠে দাঁড়াল রানা ।
‘যাচ্ছেন?’ ‘হ্যাঁ?’
‘কখন ফিরবেন?’
‘জানি না।’ ‘একটা ফোন করে জানিয়ে দিলে ভাল হতো। খাবার রেডি করে রাখতে পরতাম।’
‘আচ্ছা, জানাব।’
গ্যারেজে রানার অপেক্ষায় চুপচাপ বসে রয়েছে ওর বেন্টলি কন্টিনেন্টাল। কেনার পর কারখানায় নিয়ে গিয়ে কিছু বিশেষ পরিবর্তন করিয়েছিল, কিন্তু পরীক্ষা করে। দেখা হয়নি ফলাফলটা। এ-ই সুযোগ। গ্যারেজ থেকে ওটা বের করে রাস্তায় নামল।
ক্যারিবিয়ান আর ভূমধ্যসাগরের তীর থেকে ঘুরে এসে লণ্ডন শহরটাকে মোটেও ভাল লাগল না ওর। ধূসর হয়ে আছে আকাশ, রোদ নেই, মন খারাপ করে দেয়া কালচে একটা ভাব। রাস্তায় অতি ব্যস্ততা। আরেকটা জিনিস লক্ষ করে মেজাজ খারাপ লাগল। কিং’স রোডটা যেন বোঝাই হয়ে আছে মেয়েদের মত করে রাখা লম্বা চুলওয়ালা কমবয়েসী ছেলেদের ভিড়ে। রাস্তা পেরোচ্ছে, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে জটলা করছে, কেউ কেউ রাস্তায় পা রেখে ফুটপাতের কিনারে বসে গল্প করছে। হুডখোলা গাড়িতে করে চলার সময় বাতাসে মাদকের গন্ধ পেল রানা। ইদানীং পৃথিবীর অনেক জায়গার মত লণ্ডন শহরেও মাদকের ব্যবহারটা অতিরিক্ত বেড়েছে ৷
এক্সেলারেটরে পায়ের চাপ বাড়াল ও। গতি বেড়ে গেল গাড়ির। টুইন টু-ইঞ্চ এগজস্টের ভারী শব্দ কানে আসছে। হাইড পার্ক ছাড়ানোর সময় স্পিডোমিটারের কাঁটা নব্বই আর একশো কিলোমিটারের ঘরে ওঠানামা করতে থাকল ।
রিজেন্ট পার্কে ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের পার্কিং লটে থামল রানার বেন্টলি । লিফটের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। বোতাম টিপতে গিয়েও কী ভেবে সরিয়ে নিল হাতটা। সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে উঠতে শুরু করল। অ্যাসাইনমেন্টের গন্ধ পাচ্ছে। যতটা সম্ভব শরীরটাকে চালু রাখা দরকার, পেশিগুলোকে আরও সক্রিয় করা
দরকার।
ছয় তলায় চিফ মার্ভিন লংফেলোর দপ্তর। ওর আগমনের সংবাদ জেনে গেছে। সবাই। অফিসের দরজা দিয়ে ঢোকার সময় স্যালুট করল চেনা সিকিউরিটি গার্ড। মাথা ঝুঁকিয়ে মৃদু হাসল রানা, আউটার অফিসে পা রাখল। ওকে দেখে ঝলমল করে উঠল অ্যাডমিরাল লংফেলোর সুন্দরী সেক্রেটারি জুলিয়া লোগান। ‘আরে, রানা যে! স্বপ্ন দেখছি না তো? কত দিন পর এলে! রানার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখল ও। ‘আগের চেয়ে আরও স্মার্ট লাগছে!’
‘পছন্দ হয়েছে তা হলে?’
‘পছন্দ তো সেই কবেই হয়ে বসে আছে। কিন্তু তোমার তো নাগালই পাওয়া যায় না…’
*এবার তা হলে একটা ডেট পাওয়া যাবে মনে হচ্ছে! আজ সন্ধ্যায় কি ফ্রি আছো? ভাল কোনও রেস্টুরেন্টে ডিনার…’
‘রানা, এসে গেছ,’ কখন যে ভারি দরজাটা নিঃশব্দে খুলে গেছে, টেরই পায়নি ওরা। দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান মারভিন লংফেলো।
মুখ লাল হয়ে গেছে জুলিয়ার। মিস্টার লংফেলো বললেন, ‘জুলি, দু’ কাপ কফি পাঠিয়ে দিয়ো আমাদের জন্যে।’ রানার দিকে ফিরলেন। ‘এসো।’
ভিতরে চলে গেলেন মিস্টার লংফেলো।
জুলিয়ার বিব্রত মুখের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট টিপে হাসল রানা। ‘কী, ডিনারের দাওয়াতটার জবাব দিলে না যে?’
‘নেগেটিভ!’ বলল জুলিয়া দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে। বসের কামরার দিকে চোখের ইশারা করে বলল, “গিয়ে দেখো কী আছে কপালে! গতকাল অনেক গুজুর গুজুর করেছে তোমার বসের সঙ্গে।
মুচকি হেসে ওক কাঠের দরজাটার দিকে এগোল রানা। ভিতরে ঢুকল। বসতে ইঙ্গিত করলেন মিস্টার লংফেলো। ডেস্কে মুখোমুখি চেয়ারে বসল রানা। খসাৎ খসাৎ করে ঘষে দিয়াশলাইয়ের অনেকগুলো কাঠি নষ্ট করে অবশেষে পাইপ ধরিয়ে সন্তুষ্ট হলেন মিস্টার লংফেলো। রানার ছুটি বাতিল হতে চলেছে বলে দুঃখ প্রকাশ করলেন। তারপর দাঁতে পাইপ চেপে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন। দীর্ঘ কয়েকটা মুহূর্ত ব্যস্ত রাস্তার দিকে তাকিয়ে যেন ভয়ঙ্কর সব অপরাধীদের খুঁজে বেড়াল তাঁর চোখ ।
‘তোমার সাহায্য দরকার আমাদের, রানা,’ বলতে বলতে চেয়ারে এসে বসলেন তিনি। ‘ব্যাপারটা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট না হলেও কিছু একটা যে ঘটতে যাচ্ছে, খুব বড় কিছু, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ড. অ্যালফ্রেড পিটসেনের নাম শুনেছ?’
*কোনও বিখ্যাত ডাক্তার, সার?’
‘না, এ লোক চিকিৎসক নয়, এটা ওর অ্যাকাডেমিক টাইটেল। সরবন থেকে নিয়েছে, আমার যদ্দূর মনে হয়। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আর পূর্ব ইয়োরোপের সবচেয়ে পুরানো বিশ্ববিদ্যালয় লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াস থেকেও ডিগ্রি নিয়েছে লোকটা। অক্সফোর্ড থেকে পলিটিকস, ফিলোসফি আর ইকোনমিক্স ডিগ্রি নিয়েছে। তারপর কেমিস্ট্রির দিকে ঝুঁকেছে। অবাক লাগে না?’
জবাব না দিয়ে তাকিয়ে রইল রানা। শোনার অপেক্ষা করছে।
কাশি দিলেন মিস্টার লংফেলো। আর এসব ডিগ্রি নিতে ওকে সামান্যতম বেগ পেতে হয়নি। বছরখানেক হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলেও পড়েছে, বিষয়টা নিজের উপযুক্ত মনে না হওয়ায় ছেড়ে দিয়েছে। প্রথমে ইসটোনিয়ায় ছোটখাট ওষুধের ব্যবসা করেছে, তারপর প্যারিসের কাছে কারখানা খুলেছে।’
‘কী ধরনের ওষুধ?’
‘অ্যানালজিযিক। সোজা কথায় বেদনানাশক। তারপর একে একে নিউরোলজিকাল ওষুধ, এই যেমন, পার্কিনসন্স ডিয্যি, মাল্টিপল স্ক্লেরসিস, এসব রোগের জন্যে। এ কাজে ফাইযার, জনসন অ্যাণ্ড জনসনের মত বড় বড় কারখানাগুলোর সহায়তা নিয়েছে। তারপর সুযোগ বুঝে সরে এসেছে তাদের কাছ থেকে। তাতে কোনই অসুবিধে হয়নি ওর। ইণ্ডাস্ট্রিয়াল এসপিওনাজ, নিম্ন ব্যয় আর স্ট্রং-আর্ম সেলস টেকনিক দ্রুত উন্নতির শিখরে তুলে দিয়েছে ওকে, পৌঁছে দিয়েছে বিগ মার্কেটে। তারপর একদিন, পপির দিকে নজর গেছে ওর। ‘পপি?’
‘হ্যাঁ, ঘুমের ওষুধ আর বেদনানাশক ড্রাগগুলোর উৎস। হাসপাতালগুলোতে দেহ অবশ করার কাজে হরদম ব্যবহার হয়। তোমার নিশ্চয় জানা আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর লোকেরা পকেটে মরফিন রাখত, শেলের আঘাতে হাত-পা উড়ে গেলে দ্রুত ব্যথা কমানোর জন্যে। হেরোইন নামটা শুনলেই এখন মাদকাসক্তদের কথা মনে আসে, অথচ কাশির ওষুধে এই জিনিসটাকে প্রথম ব্যবহার করেছিল বিখ্যাত জার্মান ওষুধ কোম্পানি বেয়ার। মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হবে ভেবে এখন অবশ্য এ ধরনের জিনিস ওষুধে মেশানো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে আফিমকে এখনও বৈধভাবে ওষুধ বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়, আবার এর অবৈধ ব্যবহারেরও কমতি নেই।’
‘আমাদের এই বিশেষ লোকটি কোনটিতে জড়িত?’
‘খোলাখুলিভাবে, অবশ্যই, প্রথমটিতে। তবে আমাদের সন্দেহ, পরেরটি থেকেও পিছিয়ে তো নেইই, বরং অনেকের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। সেটা কতখানি, সঠিকভাবে জানার প্রয়োজন আছে আমাদের।’ উঠে দাঁড়িয়ে আবার জানালার কাছে চলে গেলেন অ্যাডমিরাল লংফেলো। তারপর বললেন, ‘শুধু আমাদেরই নয়, তোমাদেরও। যাই হোক, ধাপে ধাপে এগোতে হবে তোমাকে। প্রথমে পিটসেনকে খুঁজে বের করো। ওর সঙ্গে কথা বলো। জানার চেষ্টা করো, কীসে বেশি ক্ষিপ্ত হয়। মানসিক রোগী মনে হচ্ছে,’ বিড়বিড় করল রানা ।
‘হ্যাঁ।’
‘হয়তো ভাবছ, ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের কোনও এজেন্টকে পাঠাচ্ছি না কেন। ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছি, কিন্তু তেমন কোনও অগ্রগতি নেই। ড. পিটসেনের ব্যাপারে তোমার বস্ রাহাত খানও সমান আগ্রহী। সে-ই আমাকে ফোন করে খোঁজ নিচ্ছিল। আমরাও এ-ব্যাপারে দুশ্চিন্তায় রুয়েছি বুঝে তোমাকে পাঠিয়েছে আমার কাছে।’
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বৃদ্ধ লংফেলোর দিকে তাকিয়ে আছে রানা ।
পরের কথাটা বলার আগে একটু বিরতি নিলেন মিস্টার লংফেলো। ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তো আছেই, বাংলাদেশের জন্যেও একটা মস্ত হুমকি এই লোকটা। এত বেশি ড্রাগ ঢুকছে তোমাদের দেশের ভিতর, শঙ্কিত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সরকার-রাহাত আমাকে জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের অসংখ্য ছেলেমেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে, সংখ্যাটা চমকে দেয়ার মত। মাদকসেবী আগেও ছিল সারা দুনিয়ায়, তবে হঠাৎ করে এতটা বেড়ে যায়নি আর কখনও। কোনমতেই আর ব্যাপারটাকে উপেক্ষা করা যাচ্ছে না। আমেরিকাও শঙ্কিত হয়ে উঠেছে। ওদের সমাজে তো ড্রাগ নেয়াটা স্মার্টনেসের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, বিশেষ করে শো-বিজের লোকেদের কাছে, আমাদের দেশেও সেটা সংক্রমিত হচ্ছে, বাংলাদেশেও তাই।’
‘হুঁ,’ মাথা ঝাঁকাল রানা। ‘এই ড. পিটসেনকে কোথায় পাওয়া যাবে?’
‘সবখানেই তো দেখা যায় ওকে। এভিয়েশন ওর হবি। দুটো প্রাইভেট প্লেন আছে। ওগুলো উড়িয়ে যেখানে-সেখানে চলে যায়। তবে প্যারিসেই বেশি দেখা যায় ওকে। তা ছাড়া ওকে চিনে নিতে খুব বেশি অসুবিধে হবে না তোমার। কারণ, ওর একটা হাত,’ ফিরে এসে আবার চেয়ারে বসলেন মিস্টার লংফেলো, সরাসরি রানার দিকে তাকালেন। ‘ওর বাঁ হাতটা, মাংকি’য পোঅ। একটা দুর্লভ জন্মবিকৃতি। বানুরে হাত বলে এটাকে, বুড়ো আঙুলটা আলাদা থাকে, কিন্তু বাকি আঙুলগুলো জোড়া লাগা। কিছু ধরতে অসুবিধে হয়। যেমন ধরো পেন্সিল ধরতে পারে, কিন্তু খুবই কষ্ট করে, স্বাভাবিক আঙুলওয়ালা মানুষের মত পারে না। তার ওপর আরও বিকৃতি রয়েছে ওর হাতটায়, স্বাভাবিক হাতের চেয়ে লম্বা, শিম্পাঞ্জির মত। কনুই পর্যন্ত গোটা হাত ঘন কালো রোমে ঢাকা ।’
কী যেন একটা খচখচ করছে রানার মনে, স্মৃতি থেকে বের করে আনার চেষ্টায়। বিড়বিড় করল, ‘ডান হাতের চেয়ে বাঁ হাতটা লম্বা।’
“হ্যাঁ। তবে দুর্লভ হলেও অসম্ভব নয়, এ রকম বিকৃতি ঘটে।’
‘সঙ্গে কি কেপি পরা একজন লোক থাকে?’
‘জানি না।’
‘আমার মনে হয় ওকে আমি দেখেছি, সার। মার্সেই-এ। ‘ডকের কাছে?’
‘হ্যাঁ।’
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!