দখল – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৬৬
দখল – বইটির এক ঝলকঃ
ঃ হ্যাঁ। তবে একথা ঐ মহিলা এসে বলেননি। ওদের চাকর ইরফান মিয়া এসে নাকি বলে গেছে কদর আলীকে। কদরকে বলেছে, তোমার মুনিবকে একটু সাবধান হতে ব’লো । বাইরের যে সব লোক আসে ও বাড়িতে, তারা সবাই গুন্ডাপান্ডা মানুষ । কখন কি করে বসে বলা যায় না।
ফারুক মাহমুদ প্রশ্ন করলো — ইরফান মিয়া এসে বলেছে?
ঃ হ্যাঁ, ইরফান মিয়া। কি? ঘটনা কি? এসব কি ঠিক?
ঃ হ্যাঁ কিছুটা ঠিক। তবে ওরা যতটা না গুন্ডাপান্ডা তার অধিক বেহায়া আর বেয়াদব। ঈমান-আকিদা বর্জিত তথাকথিত প্রগতির পোলা সবাই। চরম ইসলাম বিদ্বেষী আর নাস্তিক গোছের মানুষ। বিশেষভাবে খেয়াল করে দেখলাম, যারা ওখানে আসে সবাই তারা নির্জলা “ভাদা” অর্থাৎ ভারতীয় দালাল। ঐ যে ঐ কানাইয়ের কথা মনে আছে? আবুল কাশেম কানাই? ঐ যে আমার দোকানে ভারতীয় মাল কিনতে এসেছিল সেবার, ঐ কানাই আর ঐ গোত্রের লোক সব।
ঃ গায়ে পড়েই ঝগড়া বাধায় ওরা। মাথায় টুপি দেখলেই মেজাজ ওদের বিগড়ে যায়।
ঃ ভয় পাস্ তুই?
ঃ নাঃ। ভয় পাবো কেন?
ঃ পাবিনে। মনে করিসনে এই শহরে তুই একা আর অসহায়। আমাদের ইসলাম পন্থী নওজোয়ানরাও কিন্তু সংখ্যায় অনেক। ইসলামের সৈনিক সবাই। তোর কথা তাদের আমি বলেছি আর তাদের অনেকেরই নজর আছে তোর উপর। কেউ বাড়বাড়ি করলে একটু আভাস দিস্, দু’একটাকে শক্ত দাবাড় দিলেই সবগুলো ঠান্ডা মেরে যাবে। আসলে মুখে ওরা যতই বাহদুরী করুক, ভেতরে কিন্তু বেজায় ভীতু ওরা।
ঃ হতেই হবে। ঈমান যাদের থাকে না, তাদের ভেতরে সাহস যোগানোর উৎস আর অবলম্বনও কিছু থাকে না। স্বাভাবিক ভাবেই ভীতু হয় তারা। ঐ বেঈমানী চরিত্রের জন্যে তারা ভয় পায় সব কিছুতেই।
ঃ শুধু তাই নয়, মানে ভীতুই নয়। ঐ যে বললি, বেআদব আর বে আক্কেল? অন্যেরা তাদের কি চোখে দেখে, সে বোধটাও উদয় হয় না তাদের মধ্যে । আসলেই ওরা মানুষ নয়, অবতার। মানুষ না বলে ওদের অবতার বলাই ভাল।
ফারুক মাহমুদ হেসে বললো, সে কিরে! অবতার?
মনোয়ার হোসেন বললো, অল্ মোস্ট। ইসলাম বিদ্বেষী ঐ সব প্রগতির ফেরিওয়ালাদের যতই দেখছি, ততই তাদের মানুষ বলে আর মনে হচ্ছে না আমার। মনে হচ্ছে, আসলেই ওরা অবতার। এই দুনিয়া আর দুনিয়ার মানুষদের বাঁচানোর জন্যেই বুঝি ওদের এ দুনিয়ায় আবির্ভাব। যেমন বুশ্ আর টনী এই ধরনী বাঁচাতে বর্তমানে আবির্ভূত হয়েছে, মনে হচ্ছে—ঐ একই ইরাদা নিয়ে এই অবতারেরাও এই দুনিয়ায় এসেছে। কার্যত বুশ্ টনীর মতো বাঁচানোর বিপরীতটাই করতে এসেছে ওরা ।
ঃ আচ্ছা!
ঃ এমনই এক অবতারের কাহিনী শুনলাম সেদিন। শুনে হাসবো না কাঁদবো, কিছু স্থির করতে পারলাম না। মনে হলো কোন ইতর-ইন্নতের রুচি আর চরিত্রও বুঝি এতটা নিম্ন মানের নয়। এদের চরিত্রের মান নির্ণয় করে, সাধ্য কার। বুঝলাম, মানুষ তো নয়ই এরা ইতর ইল্লতও নয়, এরা অবতার ।
ফারুক মাহমুদ ফের হেসে বললো, অবতার?
মনোয়ার হোসেন বললো, খাস অবতার। তাহলে কাহিনীটা বলি, শোন্— অত:পর মনোয়ার হোসেন ভূমিকা করে শুরু করলো কাহিনী। বললো,
একগুলো পয়গম্বর আর একগুলো অবতার। আদব-আখলাক, চাল-চলন আলাদা হলেও, কাজটা দুইয়ের প্রায় একই। অর্থাৎ মানুষের মনের ময়লা পরিষ্কার করে তার পরম কল্যান সাধন করা। সূক্ষ্ম পার্থক্যটা হলোঃ পয়গম্বরেরা পরকাল ও পরমজন প্রত্যাশী আর অবতারেরা ইহলোকে আত্মপ্রচারে বিশ্বাসী। পয়গম্বর পাঠান আল্লাহ। অপরদিকে, পরমপ্রভু নিজেই নাকি অবতার হয়ে ইহলোকে আসেন। শাস্ত্রকারদের
কথা ৷
তা আসুন । অবতারেরা আসুন। তবে পয়গম্বর আর আসবেন না। শেষ পয়গম্বরের মাধ্যমেই পয়গম্বর পাঠানো শেষ করেছেন আল্লাহ। রইলো এখন অবতার। পরম প্রভু বিশ্ববাজার গরম করে কতবার যে অবতার হয়ে এ বিশ্বে অবতরণ করলেন, তার ইয়ত্তা নেই । তবে ভাব দেখে ধরে নেয়া হয়েছিল, শরম পেয়েই পরম প্রভুও শেষমেষ চরম অবস্থান নিয়েছেন। মেকার হয়ে এসে বেকার মানুষকে দেখার মতো করে মেরামত করার খাহেশ তাঁর মিটেছে। কয়লার ময়লা যে ধুলেও যায় না— —এটুকু শেখার মতো আক্কেল তার হয়েছে। অমানুষকে মানুষ বানানোর ঠেকা আর তাঁর নেই।
কিন্তু ওরে-ব্বাবা। একি উল্টাদৃশ্য! পরম প্রভু তো পরম প্রভু, তেত্রিশ কোটি দেবতারাই যে গোষ্ঠী সমেত অবতার হয়ে এ দুনিয়ায় অবতীর্ণ হবেন—এটা কি ভাবার কথা? কিন্তু বাস্তবে তাই হয়েছে। স্বর্গীয় মালগাড়ী ভর্তি হয়ে এসে তাঁরা এ দুনিয়ায় অবতরণ করেছেন। তা করবেন করুন আর পড়বেন অন্যের ঘাড়ে পড়ুন। কিন্তু না, এই অবতরণ করার পথে এ্যাক্সিডেন্টের কারণে মালগাড়ীর কয়েকটা বগি হঠাৎ করে উল্টে একদম আপ সাইড ডাউন। ফলে মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ার মতো প্রায় কোটি খানেক অবতার আগেই ঝর ঝর করে ঝরে পড়েছেন আমাদের এই সোনার বাংলার বুকে। ব্যস! কম্মকাবার! অবতারগণ কোমর বেঁধে এখানেই স্বকর্মে মনোনিবেশ করেছেন। সোনার বাংলার মানুষকে সোনার মানুষ বানানোর দুর্মদ মানসিকতা নিয়ে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। স্বর্গের সুখ মর্তেই তারা দিতে চান সোনার বাংলার মানুষদের। বাংলাদেশটাকে বানাতে চান হাস্যে লাস্যে ভরা স্বর্গের নন্দন কানন।
ঃ হ্যাঁ। তবে একথা ঐ মহিলা এসে বলেননি। ওদের চাকর ইরফান মিয়া এসে নাকি বলে গেছে কদর আলীকে। কদরকে বলেছে, তোমার মুনিবকে একটু সাবধান হতে ব’লো । বাইরের যে সব লোক আসে ও বাড়িতে, তারা সবাই গুন্ডাপান্ডা মানুষ । কখন কি করে বসে বলা যায় না।
ফারুক মাহমুদ প্রশ্ন করলো — ইরফান মিয়া এসে বলেছে?
ঃ হ্যাঁ, ইরফান মিয়া। কি? ঘটনা কি? এসব কি ঠিক?
ঃ হ্যাঁ কিছুটা ঠিক। তবে ওরা যতটা না গুন্ডাপান্ডা তার অধিক বেহায়া আর বেয়াদব। ঈমান-আকিদা বর্জিত তথাকথিত প্রগতির পোলা সবাই। চরম ইসলাম বিদ্বেষী আর নাস্তিক গোছের মানুষ। বিশেষভাবে খেয়াল করে দেখলাম, যারা ওখানে আসে সবাই তারা নির্জলা “ভাদা” অর্থাৎ ভারতীয় দালাল । ঐ যে ঐ কানাইয়ের কথা মনে আছে? আবুল কাশেম কানাই? ঐ যে আমার দোকানে ভারতীয় মাল কিনতে এসেছিল সেবার, ঐ কানাই আর ঐ গোত্রের লোক সব।
ঃ গায়ে পড়েই ঝগড়া বাধায় ওরা। মাথায় টুপি দেখলেই মেজাজ ওদের বিগড়ে যায়।
ঃ ভয় পাস্ তুই?
ঃ নাঃ। ভয় পাবো কেন?
ঃ পারিনে। মনে করিসনে এই শহরে তুই একা আর অসহায়। আমাদের ইসলাম পন্থী নওজোয়ানরাও কিন্তু সংখ্যায় অনেক। ইসলামের সৈনিক সবাই। তোর কথা তাদের আমি বলেছি আর তাদের অনেকেরই নজর আছে তোর উপর। কেউ বাড়বাড়ি করলে একটু আভাস দিস্, দু’একটাকে শক্ত দাবাড় দিলেই সবগুলো ঠান্ডা মেরে যাবে। আসলে মুখে ওরা যতই বাহদুরী করুক, ভেতরে কিন্তু বেজায় ভীতু ওরা ।
ঃ হতেই হবে। ঈমান যাদের থাকে না, তাদের ভেতরে সাহস যোগানোর উৎস আর অবলম্বনও কিছু থাকে না। স্বাভাবিক ভাবেই ভীতু হয় তারা। ঐ বেঈমানী চরিত্রের জন্যে তারা ভয় পায় সব কিছুতেই।
ঃ শুধু তাই নয়, মানে ভীতুই নয়। ঐ যে বললি, বেআদব আর বে আক্কেল অন্যেরা তাদের কি চোখে দেখে, সে বোধটাও উদয় হয় না তাদের মধ্যে। আসলেই ওরা মানুষ নয়, অবতার। মানুষ না বলে ওদের অবতার বলাই ভাল।
ফারুক মাহমুদ হেসে বললো, সে কিরে! অবতার?
মনোয়ার হোসেন বললো, অল্ মোস্ট। ইসলাম বিদ্বেষী ঐ সব প্রগতির ফেরিওয়ালাদের যতই দেখছি, ততই তাদের মানুষ বলে আর মনে হচ্ছে না আমার। মনে হচ্ছে, আসলেই ওরা অবতার। এই দুনিয়া আর দুনিয়ার মানুষদের বাঁচানোর জন্যেই বুঝি ওদের এ দুনিয়ায় আবির্ভাব। যেমন বুশ্ আর টনী এই ধরনী বাঁচাতে বর্তমানে আবির্ভূত হয়েছে, মনে হচ্ছে—ঐ একই ইরাদা নিয়ে এই অবতারেরাও এই দুনিয়ায় এসেছে। কার্যত বুশ্ টনীর মতো বাঁচানোর বিপরীতটাই
করতে এসেছে ওরা ।
ঃ আচ্ছা !
ঃ এমনই এক অবতারের কাহিনী শুনলাম সেদিন। শুনে হাসবো না কাঁদবো, কিছু স্থির করতে পারলাম না। মনে হলো কোন ইতর-ইল্লতের রুচি আর চরিত্রও বুঝি এতটা নিম্ন মানের নয়। এদের চরিত্রের মান নির্ণয় করে, সাধ্য কার। বুঝলাম, মানুষ তো নয়ই এরা ইতর-ইল্লতও নয়, এরা অবতার ।
ফারুক মাহমুদ ফের হেসে বললো, অবতার?
মনোয়ার হোসেন বললো, খাস অবতার। তাহলে কাহিনীটা বলি, শোন্ অত:পর মনোয়ার হোসেন ভূমিকা করে শুরু করলো কাহিনী । বললো,
একগুলো পয়গম্বর আর একগুলো অবতার । আদব-আখলাক, চাল-চলন আলাদা হলেও, কাজটা দুইয়ের প্রায় একই। অর্থাৎ মানুষের মনের ময়লা পরিষ্কার করে তার পরম কল্যান সাধন করা। সূক্ষ্ম পার্থক্যটা হলোঃ পয়গম্বরেরা পরকাল ও পরমজন প্রত্যাশী আর অবতারেরা ইহলোকে আত্মপ্রচারে বিশ্বাসী। পয়গম্বর পাঠান আল্লাহ । অপরদিকে, পরমপ্রভু নিজেই নাকি অবতার হয়ে ইহলোকে আসেন। শাস্ত্রকারদের
কথা ।
তা আসুন! অবতারেরা আসুন । তবে পয়গম্বর আর আসবেন না। শেষ পয়গম্বরের মাধ্যমেই পয়গম্বর পাঠানো শেষ করেছেন আল্লাহ। রইলো এখন অবতার। পরম প্রভু বিশ্ববাজার গরম করে কতবার যে অবতার হয়ে এ বিশ্বে অবতরণ করলেন, তার ইয়ত্তা নেই । তবে ভাব দেখে ধরে নেয়া হয়েছিল, শরম পেয়েই পরম প্রভুও শেষমেষ চরম অবস্থান নিয়েছেন। মেকার হয়ে এসে বেকার মানুষকে দেখার মতো করে মেরামত করার খাহেশ তাঁর মিটেছে। কয়লার ময়লা যে ধুলেও যায় না— -এটুকু শেখার মতো আক্কেল তার হয়েছে। অমানুষকে মানুষ বানানোর ঠেকা আর তাঁর নেই।
কিন্তু ওরে-ব্বাবা। একি উল্টাদৃশ্য! পরম প্রভু তো পরম প্রভু, তেত্রিশ কোটি দেবতারাই যে গোষ্ঠী সমেত অবতার হয়ে এ দুনিয়ায় অবতীর্ণ হবেন—এটা কি ভাবার কথা? কিন্তু বাস্তবে তাই হয়েছে। স্বর্গীয় মালগাড়ী ভর্তি হয়ে এসে তাঁরা এ দুনিয়ায় অবতরণ করেছেন। তা করবেন করুন আর পড়বেন অন্যের ঘাড়ে পড়ুন। কিন্তু না, এই অবতরণ করার পথে এ্যাক্সিডেন্টের কারণে মালগাড়ীর কয়েকটা বগি হঠাৎ করে উল্টে একদম আপ সাইড-ডাউন। ফলে মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ার মতো প্রায় কোটি খানেক অবতার আগেই ঝর ঝর করে ঝরে পড়েছেন আমাদের এই সোনার বাংলার বুকে। ব্যস! কম্মকাবার ! অবতারগণ কোমর বেঁধে এখানেই স্বকর্মে মনোনিবেশ করেছেন। সোনার বাংলার মানুষকে সোনার মানুষ বানানোর দুর্মদ মানসিকতা নিয়ে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। স্বর্গের সুখ মর্তেই তারা দিতে চান সোনার বাংলার মানুষদের। বাংলাদেশটাকে বানাতে চান হাস্যে লাস্যে ভরা স্বর্গের নন্দন কানন ছুটাতে চান এখানে ডু-ফূর্তির ফোয়ারা। বিভিন্ন নামে আর বিভিন্ন পরিচয়ে এই বাংলাদেশে তাঁরা কর্মরত আছেন মানুষের রূপ ধরে। ছোট্ট বাংলাদেশ আর প্রায় কোটি খানেক অবতার। তাই ঘুরতে ফিরতে প্রায়শই সাক্ষাত ঘটে এঁদের।
হাসি সম্বরণ করতে না পেরে ফারুক মাহমুদ হেসে ফেললো সশব্দে। বললো, সোবহান আল্লাহ! তার পর?
মনোয়ার হোসেন বললো, এমনই একজন অবতার এই শহরের কৌশিক আহম্মদ কেদার । বড়ই বিজ্ঞজন। পেশায় স্কুলের পণ্ডিত। লোকে বলে উনি পণ্ডিত নন, স্কুলের প্রভাষক। মিন্মিন্ করে ছাত্র পড়ান না কৌশিক আহম্মদ কেদার । মহাপ্রভুর ভাষণ দেন ক্লাসে। তাক্ লাগান নাবালক ছাত্র ছাত্রীদের। ভাষণ দেন সহকর্মীদের মাঝেও। অনগ্রসর, ধর্মান্ধ আর কূপমন্ডুক মানুষেরাই অগ্রগতির বাধা—এই তথ্যই এই অবতার অহরহ প্রচার করে বেড়ান। বলাবাহুল্য, এটা ঐকতানে প্রচার করে বেড়ান এই প্ৰায় কোটি খানেক অবতারেরা সকলেই। এঁরা জরাজীর্ণ সমাজটাকে একটা ফূর্তিভর্তি বাগান বাড়ি বানানোর বাণী শোনান জনগণকে। কৌশিক আহম্মদ কেদারও সেই বাণী মানুষকে শোনান আর সেই স্বর্গীয় বাণী দ্বারে দ্বারে ফেরি করে বেড়ান।
কৌশিক আহম্মদ ভাষণ দেন গুরুগম্ভীর। মোহন্তজীর মতো ভাবগম্ভীর তাঁর চাল চলন । স্বদেশেী আন্দোলনের নেতার মতো এই কেদার মিয়া কাঁধে রাখেন সাইডব্যাগ, মাথায় রাখেন কাঁধ-ছোঁয়া বাবরী চুল, গায়ে দেন খদ্দরের লম্বা পাঞ্জাবী, পরিধান করেন ইয়াংকীদের পরিত্যক্ত তালি দেয়া জিংকের প্যান্ট। ভাবটা কবি কবি, মুখে চটুল কবিতা। লেখা পড়েন কালকুটেড, বুলি কপচান কার্ল মার্কসের। অস্তিত্বে তার ডারউইন, মস্তিষ্কে ফ্রয়েড্ ।
এহেন জনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার বাঙ্গালী কি কম আছে সোনার বাংলায়? অল্পদিনেই বেশ কিছু সাহাবা, তওবা নন্দী-ভিরিঙ্গী জুটে গেছে কেদার নাথের, থুড়ি কেদার মিয়ার চারপাশে । নূর মুহম্মদ পার্থ কেদার মিয়ার এমনই একজন সদ্য দীক্ষিত সাগরেদ। পার্থ নামটা কৌশিক মিয়াই জুড়ে দিয়েছেন তার মূল নামের সাথে। এতে নাকি জৌলুশ বাড়ে নামের। অসাম্প্রদায়িকতার খোশবু ছড়ায় ভুর ভুর করে। তবে নূর মুহম্মদ পার্থ কৌশিক আহম্মদ কেদারের সদ্য দীক্ষিত শিষ্য হেতু, গুরু আদর্শ সে পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। মাঝে মাঝেই প্রশ্ন তোলে নানা রকম এবং শেষ অবধি বিদ্রোহ করেও বসে।
মনোয়ার হোসেন এই পর্যন্ত বলতেই ফারুক মাহমুদ জোশের বশে প্রশ্ন করলো— এ্যা বিদ্রোহ? কি রকম—কি রকম?
মনোয়ার হোসেন বললো, সে প্রসঙ্গ পরে। আগে মূল কাহিনীটা শোন্ ।
নড়েচড়ে বসে মনোয়ার হোসেন ফের শুরু করলো কাহিনী। বললো,
একদিন খবরের কাগজ হাতে মুড় নিয়ে বসেছিল কেদার মিয়া। এই সময় নূর মুহম্মদ পার্থ এসে বললো, কি গুরু, খুব খুশি-খুশি ভাব যে?
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!