ধ্বংস টাওয়ার – আবুল আসাদ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ আবুল আসাদ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৭৭
ধ্বংস টাওয়ার – বইটির এক ঝলকঃ
মিসেস প্যাকারকে কথা শেষ করতে না দিয়েই বলে উঠল, ‘সুযোগ পেলে বলব একদিন সব। আমাকে এখনি যেতে হবে। তাড়া আছে।’
আহমদ মুসা কথা শেষ করতেই তার মোবাইল বেজে উঠল।
মোবাইল হাতে নিয়ে তাকাল মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠা টেলিফোন নাম্বারের দিকে। অপরিচিত নাম্বার দেখে ভ্রু কুঁচকে উঠল তার।
টেলিফোন রিসিভ করল আহমদ মুসা। ‘হ্যালো’ বলে সাড়া দিতেই ওপ্রান্ত থেকে একটা মেয়ে কন্ঠ বলে উঠল, “আমি নুমা। লিসাকে ওরা গুলী করে মেরে ফেলেছে।’ কান্নায় তার কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেল।
নুমা মানে নুমা ইয়াহুদের টেলিফোন।
কথাটা শোনার সাথে সাথে আকস্মিক শক খাওয়ার প্রচন্ড এক যন্ত্রণা আহমদ মুসার গোটা দেহে ছড়িয়ে পড়ল। মুহূর্তের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গেল যেন তার।
নিজেকে সামলে নিয়ে আহমদ মুসা বলল, ‘স্যরি। এমন আশংকার কথা আমি ভেবেছিলাম। কিন্তু তাকে সাবধান করার সময় পেলাম না। মোবাইলে তাকে পাইনি। ওঁর কাছেই যাচ্ছিলাম আমি। স্যরি।’
‘ক্যাসেটের খবর কি? ওদের হাতে পড়েনি তো?” বলল নুমা ইয়াহুদ। কাঁপা কন্ঠে ঝরে পড়ছে সীমাহীন উদ্বেগ।
“ভয় নেই। ক্যাসেটটি এখন আমার কাছে। এতেই ওরা ক্ষেপেছে। ওরা মনে করেছে, লিসাই সব জানিয়ে দিয়েছে ওদের শত্রু পক্ষকে।’ বলে মুহূর্তের জন্য থেমেই আবার বলা শুরু করল, “আমি লিসাদের ওখানে যাচ্ছি নুমা। বেচারার পরিবার খুব সংকটে পড়ল।’
সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত কন্ঠে বলে উঠল নুমা, ‘আমি লিসাদের ওখান থেকেই কথা বলছি। আমরা সবাই এখন লিসাদের বাড়িতে।’
‘নুমা আমি আসছি। বাই।’ বলে আহমদ মুসা টেলিফোন শেষ করতেই মিসেস প্যাকার বলল, ‘কিছু ঘটেছে? কোন দুঃসংবাদ?” উদ্বিগ্ন কন্ঠ মিসেস প্যাকারের। একই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে দ্বিধায় পড়ে গেল আহমদ মুসা। শুনলে মিসেস প্যাকার ভয় পেয়ে যাবে। তার ছেলের ব্যাপারে আরও উদ্বিগ্ন হবে। কিন্তু পরে ভাবল, তাদের ভয় পাওয়ার দরকার। তাতেই বাস্তবতার ব্যাপারে তারা সাবধান হতে পারবে। এই চিন্তা করে আহমদ মুসা বলল, যারা আপনার ছেলেকে কাজে লাগিয়েছে, যারা আবার তাকে খুন করার চেষ্টা করেছে, তারা রাব্বানিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের পি.এ মিস লিসাকে খুন করেছে।’
“কেন?” উদ্বিগ প্রশ্ন মিসেস প্যাকারের।
“লিসাকে ওরা জোর করে কাজে লাগিয়েছিল। লিসা তাদের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে বলে ওদের ধারণা।’ আহমদ মুসা বলল।
প্রবল এক ভয়ের অন্ধকার নতুন করে নেমে এল মিসেস প্যাকারের মুখে। বলল, ‘আসলে ঘটনা কি মি. আইজ্যাক দানিয়েল?” ওরা কি চাচ্ছে, কি করছে?’
‘রাব্বানিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. হাইকেল নিরুদ্দেশ হয়েছেন। তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। তার ব্যাপারে যাতে কেউ কিছু জানতেই না পারে এজন্যই অজ্ঞাত পরিচয় ঐ লোকেরা এসব করছে।’ বলল আহমদ মুসা।
বিস্ময় ফুটে উঠল মিসেস প্যাকারের চোখে-মুখে। মুহূর্ত কয়েক চিন্তা করল। তারপর বলল, ‘ড. হাইম হাইকেলকে নিরুদ্দেশ বলা হচ্ছে কেন? আমি যতদূর জানি, তিনি একজন মানসিক রোগী হিসাবে কোন এক মানসিক হাসপাতালে আছেন।’
বিস্ময় ফুটে উঠল আহমদ মুসার চোখেও। বলল, “আপনি জানেন কিছু? কি করে জানেন?
“আমার স্নায়ু সংক্রান্ত অসুখের জন্যে আমি কিছুদিন সাইক্রিয়াটিস্ট ড. নিউম্যান-এর প্যাসেন্ট ছিলাম। আমি দুদিন তাকে টেলিফোনে ড. হাইম হাইকেলের বিষয় আলোচনা করতে শুনেছি। দুদিনই আমি তার কাছেই বসা অবস্থায় তিনি টেলিফোন ধরেন। ঘরের একপ্রান্তে সরে কথা বললেও তার সব কথাই আমার কানে এসেছিল। প্রথম দিন তিনি যা বলেছিলেন তার সার কথা হলো, ‘আমি ভেবে দেখেছি, ড. হাইম হাইকেলকে মানসিক হাসপাতালে রাখাই নিরাপদ। আজীবনও রাখা যাবে। আমি একটা সার্টিফিকেট দেব, তবে ঐভাবে।” দ্বিতীয় দিন তিনি যা বলেছিলেন তাহলো, হ্যাঁ ড. হাইম হাইকেলের পরিবার সবচেয়ে বড় সমস্যা। তবে অন্য সবদিক ঠিক থাকলে, হাইম হাইকেলের পরিবারও এক সময় বিষয়টাকে স্বাভাবিক হিসাবে মেনে নেবে। যে কোন মূল্যে তার পরিবারকে শান্ত রাখতে হবে।’
থামল একটু মিসেস প্যাকার। থেমেই আবার বলে উঠল, কথাগুলো থেকে তখন আমি যে অর্থ ধরেছিলাম, তাহলো ‘ড. হাইম হাইকেল অসুস্থ। তাকে মানসিক হাসপাতালেই রাখা হচ্ছে। তিনি ড. নিউম্যানের প্যসেন্ট। ড. হাইম হাইকেলের এই অবস্থায় তার পরিবার নিয়ে তারা সমস্যায় পড়েছেন।’
“ধন্যবাদ মিসেস প্যাকার। আপনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। দয়া করে কি ডা. নিউম্যানের ঠিকানা দিতে পারেন?’ আহমদ মুসা বলল।
ডা. নিউম্যানের ঠিকানাটা আহমদ মুসাকে দিতে দিতে বলল, ‘আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি বুঝতে পারছি আমার ছেলের সম্পর্কে আমাকে আরও সাবধান হতে হবে।
‘ধন্যবাদ ম্যাডাম, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আবার দেখা হবে। বাই।’ বলে আহমদ মুসা ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্রুত দরজার দিকে পা বাড়াল।
আহমদ মুসার ট্যাক্সি ছুটছে ডা. নিউম্যানের বাড়ির দিকে। ডা. নিউম্যানের সন্ধান পেয়ে আহমদ মুসা দারুন খুশি। প্রথমে সে ডা. নিউম্যানের কথা শুনেছিল ড. আয়াজ ইয়াহুদের কাছে। কিন্তু ডা. নিউম্যানের ঠিকানাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে মিসেস প্যাকার।
লিসার ওখানে গিয়ে আহমদ মুসা খুব বেশি দেরি করেনি। ওখানে তার যাওয়া ছিল লিসার বাবা-মাকে সমাবেদনা জানানো, তাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানা এবং লিসার মোবাইল পরীক্ষা করা। কিন্তু গিয়ে শোনে যে, খুনিরা লিসাকে খুন করে তার মোবাইল নিয়ে গেছে। আহমদ মুসা দেখল, লিসার আব্বা- আম্মা সহজ সরল খুবই ভালো মানুষ। কিন্তু তাদের চোখে-মুখে মহাবিপর্যয়ের ছাপ। আহমদ মুসা ড. আয়াজ ইয়াহুদকে জিজ্ঞাসা করেছিল, লিসার পরিবার তো তার উপর নির্ভরশীল ছিল। এখন চলবে কি করে ওদের।
আহমদ মুসার প্রশ্ন শুনে পিতার পাশে দাঁড়ানো বিস্মিত নুমা ইয়াহুদ প্রশ্ন করেছিল আহমদ মুসাকে, ‘এ প্রশ্ন আপনার মাথায় এল কি করে? আপনি তো কোনভাবেই লিসার পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট নন?’ আহমদ মুসা বলেছিল, লিসা নিহত হয়েছে আমাকে সাহায্যে করতে গিয়েই। আমি আপরাধবোধ করছি এই অসহায় পরিবারের কাছে। ত
‘এখন কি করতে চান?” জিজ্ঞাসা করল নুমা ইয়াহুদ। তার ঠোঁটে মুখ টেপা হাসি।
‘যতটা সম্ভব আমি পরিবারটির ক্ষতিপূরণ করতে চাই।’ বলে আহমদ মুসা।
‘সত্যি আপনি প্রয়োজনের চেয়েও ভালো মানুষ। লিসা তো আপনাকে সাহায্য করতে যেয়ে খুন হয়নি। খুন হয়েছে আমাদেরকে সাহায্য করতে গিয়ে।’ বলেছিল নুমা ইয়াহুদ।
‘কেমন করে?’ আহমদ মুসা বলেছিল।
‘প্রকৃতপক্ষে লিসা সাহায্য করেছিল ড. হাইম হাইকেল আংকেলকে আপনাকে নয়। সুতরাং লিসার দায়িত্বটা আমাদের।’ বলেছিল নুমা ইয়াহুদ।
নুমার কথা শেষ হতেই ড. আয়াজ ইয়াহুদ বলে উঠেছিল, ‘হ্যাঁ মি. আইজ্যাক দানিয়েল, আমরাই ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে লিসার নামে একটা পেনশন তার পরিবারকে দেব।’
ধন্যবাদ জানিয়েছিল আহমদ মুসা ড. আয়াজ ইয়াহুদকে। তারপর আহমদ মুসা ক্যাসেটকে কেন্দ্র করে বালক জুনিয়র প্যাকারের দুর্ঘটনার কথা তাদের জানিয়েছিল। কাহিনীটা শুনে নুমা ইয়াহুদ বলেছিল, ‘আপনিও নিশ্চয় আহত। আপনার বাম বাহুটাকে আজ শুরু থেকেই একটু বাঁকা অবস্থায় দেখছি কোটের হাতার আড়াল সত্ত্বেও।’
‘ও কিছু না, সামান্য।’ বলেছিল আহমদ মুসা।
‘গুলীর আঘাত?” উদ্বিগ কন্ঠে প্রশ্ন করেছিল মিসেস ইয়াহুদ। ‘জি, হ্যাঁ।’ বলেছিল আহমদ মুসা। তারপরই সে তার ডান হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ড. আয়াজ ইয়াহুদের দিকে হ্যান্ডশেকের জন্য। বলেছিল, ‘স্যার বিদায় দিন, জরুরি একটা কাজ আছে।’
“কি কাজ?’ হ্যান্ডশেক করতে করতে জিজ্ঞেস করে ড. আয়াজ ইয়াহুদ। ‘স্যার আপনার কাছে ডা. নিউম্যান এর নাম শুনেছিলাম। আর ঠিকানা পেয়েছি মিসেস প্যাকারের কাছে। তার দেয়া তথ্য অনুসারে ডা. নিউম্যান জানেন ড. হাইম হাইকেল কোথায় আছেন। আমি এখন তার সন্ধানে যাব।’ বলেছিল আহমদ মুসা।
‘এই আহত অবস্থায়?” বিস্মিত কন্ঠে প্রশ্ন করেছিল নুমা ইয়াহুদ ।
নুমার কথা শেষ হতেই ড. আয়াজ ইয়াহুদও বলেছিল, ‘তুমি জান ওরা কত বেপরোয়া, ভয়াবহ। লিসা, জুনিয়র প্যাকার এবং তার আগে ড. জ্যাকবের দৃষ্টান্ত তোমার সামনেই আছে। আহত অবস্থা নিয়ে তোমার ঐ ধরনের কাজে যাওয়া ঠিক নয়।’
‘আপনাদের এই শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ স্যার। কিন্তু ওরা যতটা বেপরোয়া, তার চেয়ে বেশি বেপরোয়া হতে না পারলে ওদের সাথে পারা যাবেনা। ওদের কোন সময় দেয়া যাবে না। ক্যাসেট উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গেই যদি আমি লিসার সাথে যোগাযোগ করতে পারতাম, তাহলে এই দুর্ঘটনা রোধ করা যেতেও পারতো।’ বলেছিল আহমদ মুসা।
“কিন্তু তুমি একা ওদের সাথে লড়াই করবে কি করে? পুলিশের উপরের অবস্থা কি আমি জানি না। কিন্তু পুলিশের নিচের লোকেরা ওদের কেনা।’ বলেছিল আয়াজ ইয়াহুদ।
‘এই অবস্থার মধ্যেই কাউকে না কাউকে এগুতে হবে স্যার, পথ তো বের করতে হবে।’
কথা শেষ করেই ‘বাই টু অল’ বলে ঘুরে দাঁড়াতে যাচ্ছিল আহমদ মুসা। চোখ ভরা একরাশ বিস্ময় নিয়ে ভাবছিল নুমা ইয়াহুদ। আহমদ মুসা ঘুরে দাঁড়াতে গেলে সে বলে উঠল, ‘মি. আইজ্যাক দানিয়েল, আপনি কি শুধুই একজন আইজ্যাক দানিয়েল? শুধুই কি একজন শুভকাঙ্ক্ষী ড. হাইম হাইকেল
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!