চুড়ান্ত লড়াই – নসীম হেজাযী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ ফজলুদ্দীন শিবলী
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৭৭
খুন রাঙা পথ – বইটির এক ঝলকঃ
‘ডাকো নরাধমকে!’ ঝাঝালো কণ্ঠে বলল জয়কৃষ্ণ ।
নওকর কুর্নিশ করতে করতে করতে বেরিয়ে গেল। অধর দংশন করে জয়কৃষ্ণ বিক্ষিপ্ত পায়চারী করতে লাগলো। খানিক পর মহলে প্রবেশ করলো জনা চারেক নওকর। জয়কৃষ্ণের পার্শ্বস্থ এক নওকর বলে উঠলো, ‘মহরাজ! সে এসে গেছে।
“মহারাজ! আমরা নৌকা করে ওপারে…………. Ľ
জয়কৃষ্ণ তার কথা কেটে বললো, ‘বদমাশ! জানি, তুমি নৌকায় ছিলে। জিজ্ঞেস করছি, দেরী করলে কেন? আর তোমার সঙ্গীদের দেখছি না কেন?” ‘জানিনা মহারাজ! নদীর ওপার গিয়েই আমরা নৌকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।’ — কোথায়?”
‘এপার মহারাজ!’
‘এপার! এপার!! প্যান প্যানানী রাখতো!’
সেপাই ভগ্নোৎসাহ হয়ে বললো, ‘মহারাজ নৌকা পাঠিয়ে আমরা অপেক্ষা করছিলাম। ভগবানই ভালো জানেন, ওরা এলো না কেন? আর নৌকাই বা গেল কোথায়?”
জয়কৃষ্ণ তার কথার জওয়াব না দিয়ে অগ্রসর হয়ে সপাং সপাং দু’ঘা লাগিয়ে দিলো। বললো তার সঙ্গীদের দিকে নজর করে, ‘তোমরা চক্ষু বিস্ফোরিত করে কি দেখছো?’ ‘ওপার! এপার প্যান প্যানানী থামালে কেন? কার অপেক্ষা করেছিলে তোমরা ? আর কে এলো না? বলো!’
নিরুৎসাহিত হয়ে এক সেপাই শুকনো আওয়াজে বললো, ‘নদীর তীরে গিয়ে পেয়ারলাল ভেবেছিলেন, সবাই এক সাথে পার হতে পারবো না। এ জন্য তিনি ভগগ্রামের সাথে জনা চারেক সেপাইকে প্রথমে পার হতে নির্দেশ দেন। ওপার গিয়ে ভগত্রামকে পাঠালাম। অপেক্ষা করতে লাগলাম কয়েদী ও বাকী তিন সাথীর । ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করলাম। কিন্তু ওপার থেকে নৌকা আর এলো না। ভাবছিলাম, স্রোতের তোড়ে নৌকা ভাটিতে নেমে গেল কি-না। সাথীরা বললো, “না! নৌকাডুবি হয়েছে বোধ হয়।
জয়কৃষ্ণ বললো, ‘আচ্ছা! কয়েদীকে তোমরা হত্যা করেছ কি?”
‘মহারাজ! কয়েদী জয়চাদ ও সীতারামের সাথে এপারে ছিলো।’
‘আমি জানতে চাই, কোন্ সাহসে তোমরা মাত্র তিনজন সেপাই রেখে ওপার গেলে?”
‘পেয়ার লালের হুকুম ছিলো এ রকম। কয়েদী বাঁধা ছিলো মজবুত রশি দিয়ে। তার থেকে আমাদের কোনই শংকা ছিল না।’ গোস্বায় কাপতে জয়কৃষ্ণ ছড়ি ঘুরিয়ে বললো, ‘মাথা মুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারছি না। গর্দভ কোথাকার। ফাঁসি কাষ্ঠে ঝোলার জন্য প্রস্তুত হও। একটারও রেহাই নেই । এখানে হা করে কি দেখছো? যাও! নদীর তীর চষে ফেলো । তালাশ কর ওকে।
নওকর উর্দ্ধশ্বাসে ছুটলো। শিকার হাতছাড়া হয়ে যাওয়া হিংস্র শার্দুলের মত অধর দংশন করছিলো জয়কৃষ্ণ। রণবীরের অপ্রত্যাশিত পলায়নে তার পেরেশানী শংকায় রূপ নিলো। খানিক পর মহলের দরজা ঠেলে ডগগ্রাম প্রবেশ করলো। তাকে দেখে জয়কৃষ্ণ বলে উঠলো, ‘কোথায় ছিলে এতোক্ষণ? গোপাল গেল কৈ?”
‘মহারাজ!’ বুকে হাত বেঁধে সে বললো, ‘আমাকে নৌকায় বেঁধে রেখে যায় সে। ভাটিতে নৌকা বেশ দূরে গিয়েছিলো। এক জেলের নৌকা আমাকে উদ্ধার করে। “কে তোমায় বেঁধেছিলো?”
‘কয়েদী মহারাজ!”
‘কোথায়! কখন?’
‘মহারাজ! প্রথমে চারজনকে পার করে ওপার নিয়ে গিয়েছিলাম।’
জয়কৃষ্ণ কথার মাঝখানে বললো, এ প্যান প্যানানি শুনতে শুনতে আমার কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। তুমি আমার প্রশ্নের জবাব দাও।’
‘আমি আপনার প্রশ্নের জবাবই দিচ্ছি মহারাজ! পেয়ার লাল আমাকে বলেছিলো, নৌকা ফুটো। এজন্য প্রথমে……….
জয়কৃষ্ণ ক্ষোভে-দুঃখে চুল ছিড়তে ছিড়তে বললো, ‘ভগবান তোমাদের মুখ ধূলি ধূসরিত করুক। আবার সেই প্যান প্যানানি ?”
ভৎগরাম বললো, ‘মহারাজ! আমি চারজনকে প্রথমে পার করি। পরের বার জয়চাদ, পেয়ার লাল ও সীতারামসহ কয়েদীকে পার করতে আসতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। অকস্মাৎ আমাকে চিৎ করে বেঁধে ফেলে নৌকার গলুই’র সাথে। ভাসিয়ে দেয় নৌকা।
‘ওরা কারা?”
‘মহারাজ। কয়েদী সর্বপ্রথম আমার উপর চড়াও হয়েছিলো। আমাদের লোকজন মাথা নীচু করে ছিলো তখন।’
‘কে! পেয়ার লাল ও তার সাথীরা?”
‘হ্যাঁ মহারাজ! ওখানে আর কাউকে দেখেছি বলে মনে হয় না। কয়েদী শান্তভাবে পানিতে মুখ ধুতেছিলো। আর ওরা ছিলো শুকনো তীরে। কয়েদী আমার উপর হামলা করলো। এগিয়ে এলো কোত্থেকে যেন অপরিচিত ক’জন ওর সাহায্যার্থে। আমি ওদের চিনতে পারিনি। মহারাজ আপনিই বলুন, জনশূন্য শেষ রাতে সীতারাম, পেয়ার লাল আর জয়চাঁদ ছাড়া ওর মদদগার আর কে হতে পারে ?”
‘পাজি, নেমকহারাম কোথাকার। আমি সকলকে ক্ষুধার্ত সিংহের খাঁচায় ফেলবো। আমার ঘোড়া প্রস্তুত করো। খবর দাও আমার তামাম সেপাইকে এখানে সমবেত হতে।’
॥ দুই ॥
মহলের বাইরে জয়কৃষ্ণ ছোট ছোট সেনাদল ভাগ করে ত্রিশোর্ধ সৈন্য বহর নিয়ে উত্তরাভিমুখী হলো। গাঁয়ের অনতিদূরে পেয়ার লাল ও তার দু’সাথীকে মহলের দিকে রোখ করতে দেখে সে হাতের ইশারায় ওদের থামাল। ‘কয়েদী কোথায়?” ঘোড়ার জিন কষে জয়কৃষ্ণ জলদ গম্ভীর স্বরে প্রশ্ন ছুঁড়লো।
“মহারাজ! কয়েদী ফেরার হয়েছে।’
‘কোথায়?’
‘যেখানে তার ফৌজ ছিলো।’
ঘোড়া শান্ত করে জয়কৃষ্ণ পেয়ার লালকে নির্মমভাবে পিটুনি দিতে লাগলো। ব্যথা ও যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে।
“মহারাজ! দয়া করুন মহারাজ! আমরা বেকসুর। এক দল ভাজাদম ফৌজ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। সংখ্যায় ওরা ঢের ছিলো। এসেছিলো জনপদের উপর চড়াও হতে। ভগবানের দোহাই! রাগ সম্বরণ করুন মহারাজ! জয়চাদ, সীতারামকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন।
এবার জয়কৃষ্ণ জয়চাদ ও সীতারামের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো ।
জয়কৃষ্ণের রাগ ঠাণ্ডা হলে পেয়ারলাল তার পায়ে পড়ে বললো, ‘ওরা অক্যাৎ হামলা চালায় যে, আমরা তরবারী কোষমুক্ত করার অবকাশ পাইনি। আমাদের বেঁধে ওরা গহীন অরণ্যে নিয়ে গেলো। বাধলো গাছের সাথে। এইমাত্র এক বাওয়ালী কাঠ কাটতে এসে আমাদের যুক্ত করে।
“তোমরা মিথ্যা বলছো। ওটা তোমাদের একটা চাল। আমাকে হাঁদারাম মনে করছো? তোমাদের সকলকে জিন্দা কবর দেব। সত্যি করে বলো কয়েদীকে কোথায় রেখে এসেছো?”
‘মহারাজ! ভগবানের দোহাই, আমরা এক বর্ণও মিথ্যা বলছি না। বাওয়ালীকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন। উনি কাঠ কাটছেন এখনও।’
জয়কৃষ্ণ কিছুটা নম্রস্বরে বললো, ‘তোমাদের কথা সত্যি হলে, কয়েদী কোনদিকে রোখ করেছে বলে মনে কর?”
*তার সাথে ঘোড়া ছিলো মহারাজ! দ্রুত গতিতে ঘোড়া চেপে সে জংগলে অদৃশ্য হয়ে গেছে। ফৌজকে লক্ষ্য করে সে বলেছিলো, ‘তোমরা বাকী সৈন্যদের সাথে গিয়ে একত্রিত হও। আমি আসছি। এরপর সে ও অন্য একজন আমাদের নিয়ে জংগলে প্রবেশ করে। মহারাজ! তার ফৌজ বোধহয় জংগল অতিক্রম করতে পারেনি এখনও। ওদের শরীরে ছিলো কিষাণের লেবাছ। আমার ভয় হচ্ছে, দলবল নিয়ে ওরা জনপদে হামলা করে বসে কিনা।’
‘আচ্ছা ওর সাথে ক’জন সেপাই ছিলো বলে তোমাদের ধারণা?’
*৮/১০ জনের মত। তার কথায় বোঝা গেছে আরো বেশী।’
‘তুমি একটা পাগলা গাধা! তোমাদের বোকা বানানোর জন্য সে এ চালবাজি করেছে। নন্দনার থেকে সে বিশাল এক সৈন্য বহর নিয়ে আসবে, আর আমরা জানতে পারবো না, তা হয় কি করে? তার সাথে বিপুল সৈন্য থাকলে মহলে হামলা করলো না কেন? আমার মনে হয়, ‘ওর সাথে স্রেফ একজন লোক ছিলো।
*মহারাজ! আপনি শান্ত হোন! আমরা কাউকে ছাড়বো না।’
জয়কৃষ্ণ যৎকিঞ্চিত শক্তি নিয়ে জংগলে ঢুকতে সাহস করল না। সুতরাং পার্শ্ববর্তী কয়েক বস্তির সর্দারদেরকে পত্র মারফত অবহিত করলো, ‘মাহমুদ গজনবীর ফৌজ জংগলে আত্মগোপন করে আছে। তোমরা সর্বশক্তি নিয়ে এগিয়ে এসো।’ অতঃপর অন্যান্য সঙ্গীদের লক্ষ্য করে বললো, ‘তোমরা জংগলের বাইরে থেকে.. পাহারা দেবে। জংগল অতিক্রম না করে থাকলে এখন বেরুতে হবে। ওদিকে ততোক্ষণে আমি জনপদের তামাম ফৌজ জমা করে ফেলবো। তোমাদের গাফিলতির কারণে ওদের একজন লোকও পালিয়ে বাঁচলে কাউকে আমি রেহাই দিব না।
সংলগ্ন বস্তিগুলির রাখাল ও বাওয়ালীদের কাছে ওদের সন্ধান চেয়ো। মহল প্রতিরক্ষাকল্পে কিছু ফৌজ নিযুক্ত করে আমি ফিরে আসছি। পেয়ার লাল! ভালো করে শুনে রাখ। এবার ভুল করলে তোমার আর রক্ষা নেই। কয়েকজন ফৌজ নিয়ে তুমি জংগলের অপর দিকে চলে যাও। ঘোষণা করো, রণবীর ও তার সাথীদের কেউ জীবন্ত কিংবা মৃত ধরে দিতে পারলে সোনার মোহর দিয়ে তার ঝুলি ভরে দেয়া হবে ।
তিন ৷
সূর্যের তাপ কমে আসছে। কমছে দাবদাহ গরম। পেয়ার লাল ও ভগগ্রাম জংগলের অতি নিকটে বসে গল্প করছিলো। তাদের চারপাশে গেঁয়ো লোকজন ঝুড়ি নিয়ে ঘুরছিল খড়কুটো ও শুকনো কাঠের অন্বেষায় ।
পেয়ারলাল ভগত্রামকে বললো, ‘ভগত্তাম! আমাদের মুসিবতের দ্বিতীয় রাত্রী শুরু হতে যাচ্ছে।
*রাত তার নিজস্ব গতিতে চলে যাবে। কিন্তু সকাল নাগাদ রণবীরকে খুঁজে না পেলে তোমার পরিণতি কি হবে । ?”
‘বলো, আমার কসুর কতটুকু! কয়েদী জংগলে বসে থাকবে? খেয়ে বসে তার তো কোন কাজ নেই!’
‘হতে পারে, মেষ রাখালদের বেশে জংগল ছেড়ে পালিয়েছে ও। রাতে এ এলাকা পাহারা দেয়া কি চাট্টিখানি কথা?’
‘তোমার কথার মতলব হচ্ছে, এলাকার লোকের গলতির দরুণ পুরো সাজাটা আমি পাবো?”
“দোস্ত! রণবীরের ফৌজের বিবরণ সর্দারের সামনে প্রকাশ করা ঠিক হয়নি। এক্ষণে তোমাকে প্রমাণ করতে হবে যে, রণবীরের সাথে স্রেফ একজন ছিলো।’ পেয়ারলাল জয়কৃষ্ণের তামাম নওকরের মধ্যে সবচে’ বিশ্বস্ত ।
অন্য সময় হলে এ ধরনের কথা শুনে সে বের হয়ে যেত। কিন্তু গতকালের ঘটনার পর তার মেজাজ বিগড়ে গেছে। ভগগ্রামের ফালাফালি দেখে গোস্বা ভরে সে বললো, ‘ভগৎ! বেশী ফালাফালি করনা তো! ভুলে গেছ, সরদার যদি দৈনিক আমাকে সাতবার নিন্দামন্দ বলেন- তাহলে সাতবার তোমাকে গালি দিয়ে থাকেন।’
ভগত্রাম খামোশ হয়ে গেল। খানিকপর সে এক গেঁয়ো লোককে ডেকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘ভাই! এখানে জলপানের ব্যবস্থা আছে? আমার তৃষ্ণা পেয়েছে।’ গেঁয়ো লোকটি জওয়াব দিলো, ‘জলপান করতে হলে আপনাকে নদীতে যেতে হবে।’
‘নদী কত দূর?” সে প্রশ্ন ছুঁড়লো।
‘কাছে। এই আধা ক্রোশের মত হবে আর কি।
পেয়ার লাল দাঁড়িয়ে বললো, ‘দোস্ত! পিপাসা লেগেছে আমারও। চলো, ঘোড়ায় চড়ে যাব আর আসবো। এখনও সময় আছে। অন্যথায় সারা রাত পিপাসায় কষ্ট পেতে হবে।
ভগত্রাম উঠে ঘোড়া প্রস্তুত করে গেঁয়ো লোকটিকে বললো, ‘তোমাকে খুব চৌকস মনে হচ্ছে। আমাদের কথা কেউ জিজ্ঞেস করলে বলো, ‘আমরা জংগলে টহল দিচ্ছি।’
নদীর তীর। কুল বেয়ে গড়ে উঠেছে দীর্ঘ বন-বাদাড়। পেয়ারলাল ও ভগত্রাম নদীর তীরে এসে দাঁড়াল। পানি পান করে ঘোড়ার পিঠে ওঠতে গিয়ে জংগলের সামনে অপরিচিত একজনকে দেখে ওরা সচকিত হয়ে উঠলো। লোকটির একহাতে লাগাম। পেয়ারলাল কৌতূহলী হয়ে তাকিয়ে রইলো লোকটির প্রতি। তার ঘোড়া
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!