চার চান্দের কেচ্ছা – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

চার চান্দের কেচ্ছা – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৯৮

চার চান্দের কেচ্ছা – বইটির এক ঝলকঃ

সাথে বললেন— ‘শয়তানের প্রতিপত্তি বেড়েই যাচ্ছে হু হু করে। মর্তলোকে গিয়ে যে কি ঘাসটাই কেটে এলে তোমরা তার মাথামুণ্ডু বুঝতে পারছি না।
জনৈক অবতার নতশিরে বললেন – ‘চেষ্টার তো কসুর কেউ করিনি প্রভু! তবু যদি …….. !’
নাখোশ হলেন বিধাতা। বললেন – ‘অবশ্যই কসুর আছে কারো কারো। সমানভাবে চেষ্টা সবাই করোনি। মর্তলোকে খাঁটি সরিষার তেল পেয়ে তোমাদের কেউ কেউ আবার এয়সা ঘুমই ঘুমিয়ে নিয়েছো যে, তারা মর্তছাড়া না হতেই তাদের অনুগামীরা হুড় হুড় করে চলে গেছে শয়তানের ছাউনির তলে।’
দুসরা এক অবতার বিজ্ঞের মতো বললেন – ‘সে দোষ খুব একটা আমাদের কারো নয় প্রভু। কিছু মানবসন্তান আসলেই এক নম্বরের বেঈমান। রাজনীতির সর্বদলীয় পাণ্ডার মতো ওরা যখন যেদিকে সুবিধে দেখে সেইদিকেই ঝুঁকে পড়ে। হুজুরের দরবারে ওদের বিচারটা খুব কড়াভাবে হওয়া উচিত।’
তিসরা এক অবতার মাথা চুলকিয়ে বললেন— ‘পাপ-পুণ্যের হিসেবটাই যদি ঢিলেভাবে হয়, বিচারটা আর কড়াভাবে হবে ক্যামনে?”
দুরা জন প্রশ্ন করলেন— ‘মানে?’
চতুর্থ এক অবতার কষ্টেশিষ্টে বললেন— ‘হুজুর তো ইদানীং হিসেব লেখার ব্যাপারে একেবারেই লিবারাল হয়ে উঠেছেন। খুঁটিনাটি কথার মধ্যে থাকতেই আর চাচ্ছেন না। এছাড়া কোন কোন জায়গা থেকে বিলকুল উঠিয়ে নিচ্ছেন হিসেব লেখক কারনিকদের।’
এবার পহেলী বক্তা সরাসরি প্রশ্ন করলেন, – ‘ব্যাপারটা কি ট্রান্সফার, প্রভু?” বিধাতা পুরুষ ঠাণ্ডা কণ্ঠে জবাব দিলেন—’হ্যাঁ।’
ঃ করাপশান ধরতে গিয়ে ওরাও বুঝি করাপশানে……….! ঃ না ।
ঃ ও। তাহলে কাদের আবার ওখানে পোস্ট করছেন প্রভু?
ঃ কাউকেই না।
ঃ সে কি প্রভু! একস্ট্রাহ্যান্ড না থাকলে কিছু প্রেত বা জিনদেরই না হয় ওদের ঘাড়ে অফিসিয়ালী বসিয়ে দিন। ফাঁকা ফিল্ড পেলে তো শয়তান একদম ফ্রি কীক্ মেরে বসবে।
ঃ সে মওকা নেই । আর তাই ওদের পাপ-পুণ্যের হিসেব আর রাখবো না । ঃ কেন প্ৰভু?
: আমার লড়াই শয়তানের সাথে। সেই শয়তানকেই ওরা ওদের মুলুক থেকে আউট করে দিয়েছে। ব্যাস! আর কি চাই?
ধমকে উঠলেন পয়লা বক্তা। বললেন – ‘খামোশ! সকলের সব কথাই শুনলাম । সবই অন্তঃসারহীন ফাঁকাবুলি। সে সেরা জাতি আমারই অনুগামীরা ।’
অন্য আর একজন অবতার প্রায় চেঁচিয়ে উঠতেই যাচ্ছিলেন। নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন— ‘না, আমারই অনুগামী তারা ।
শুরু হলো বাহাস্। এ বলে সেই ইনসানগোষ্ঠী তারই অনুগামী জাতি, ও বলে তারই। যদিও চাপাকণ্ঠে কথা বলছেন সবাই তবু তাঁদের বাৎচিতে এয়সা জোশ্ বিচ্ছুরিত হতে লাগলো যে, বিধাতার দরবারের পরিবর্তে মুক্ত মাঠে হলে ছাতি-লাঠি, জামা-কাপড় কিছুই আর সাথে তাঁদের থাকতো না। তামামগুলোই উড়াল দিতো শূন্যে ।
একসাথে সকলে অস্থির হয়ে উঠতেই তাঁদের ধরে ধরে সুস্থির করলেন অন্য এক অবতার। তিনি বললেন – ‘আরে ব্রাদার, থামো থামো। গোয়ালার দই গোয়ালার কাছে চিরদিনই উত্তম। এ নিয়ে কেচ্ছা গেয়ে লাভ নেই। আসলে এটা হলো বিধাতার অন্তরগত ব্যাপার-স্যাপার। সামান্য আউরাতকুলের মনটাই নাকি আসমানী ব্যক্তিকুলের অজ্ঞাত, আর বিধাতার মন বলে মন। তাঁর বর্তমানের শয়তানঘটিত চিন্তাধারায় কোন্ ধরনের ইনসানকে তিনি শ্রেষ্ঠ বলে ভাবছেন, তা এক কথায় অনুমান করা শক্ত। কাজেই কাইজ্যা-ফ্যাসাদ না করে ব্যাপারটা তাঁর মুখ থেকেই শুনে নেয়ার আর এক দফা কোশেশ করা হোক।’
এ কথায় আস্তে আস্তে সকলেই খামোশ হলেন এবং বললেন—’সেই ভাল, সেই ভাল ।’
কিন্তু সে মওকা তাঁরা তৎক্ষণাৎ পেলেন না। যুক্ত করে দণ্ডায়মান বিশ্বকর্মার পায়ে এতক্ষণে রস জমে গিয়েছিল। তিনি অতিষ্ঠ হয়ে বললেন – ‘প্রভু, আমাকে কিন্তু এগুলো দিয়েছেন অনেক আগে।’
সচকিত বিধাতা অনুতাপের সাথে বললেন – ‘ওহহো! আইয়্যাম অ’ফুলী সরি! খুবই দুঃখিত হে! ঐ ব্যাটা শয়তানকে সামলা আমি এখন এতই পেরেশান যে, আর কোনদিকে ঠিকমতো নজর রাখতে পারছিনে। তোমাকে আমি ডেকেছি প্রোগ্রেস রিপোর্ট নেয়ার জন্যে। যে এ্যায়ারক। উশান্‌ড্ স্পেশাল স্বৰ্গ তোমাকে নির্মাণ করতে বলেছিলাম তার কাজ কত দূর এগিয়েছে?’
আসমানী ইঞ্জিনিয়ার ইনিয়ে বিনিয়ে বললেন— ‘এগিয়েছে তো অনেকখানি প্রভু, তবে অনেক সমস্যা হয়েছে এ নিয়ে।’
ঃ কি রকম?
: আজ্ঞে, বিদ্যমান স্বর্গগুলোর চাইতে এটাকে আরো উন্নতমানের করার বা ভিন্ন স্বাদের স্পেশাল গ্ল্যামার যোগ করার প্ল্যানটা মাথায় তেমন খেলছে না ।
ঃ খেলতেই হবে। এটাকেই আমি এ-ক্লাশ স্বর্গরূপে চিহ্নিত করতে চাই। বিদ্যমান সবগুলোই এর পাশে বি-ক্লাশ স্বর্গ হয়ে থাকবে। তোমার মাথায় তেমন না খেললে, দুনিয়ায় চলে যাও। ওখানকার বালাখানা, প্রমোদ উদ্যান, সোনারগাঁও, শেরাটন ইত্যাদিতে ঘুরে ফিরে ব্রেনটা একটু ওয়াশ্ করে নিয়ে এসো ।
: তা না হয় হলো হুজুর, কিন্তু অপ্সরী বিদ্যমান, অপ্সরীদের চেয়ে মোর বিউটিফুল প্রমোদবাল’ না হলে তো এ ক্লাশ জমবে না। এমনটি এখন পাই কোথায়?
ঃ ওসব অপ্সরী-টপ্সরী চলবে না হে। ওদের প্রতি আর তিল পরিমাণ আকর্ষণ নেই মানুষের। তা থাকলে সেই লোভেও শয়তানের পথ ছেড়ে আমার পথে চলে আসতো মানুষ ।
ঃ সর্বনাশ! তাহলে উপায়?
ঃ উপায় খুব সোজা। গণ্ডাকয়েক তোফা তোফা সিনেমার নায়িকাদের বায়না করে এসো । কয় পয়সা দেয় ওদের প্রডিউসাররা? তারচেয়ে দশগুণে বেশি পয়সা দিয়ে ওদের এনে পুরে দাও ওখানে। বোম্বাই ফিল্মস্-এর না পাও ঢাকাই ফিল্মসের কিছু কান গরমকরা নাচনেওয়ালী নায়িকা হলেও চলবে।
ঃ সে কি প্রভৃ?
ঃ সে কি মানে? শুনতে পাও না, কত মানুষ বলে — এদের সঙ্গ পাবার জন্যে স্বর্গ ছেড়ে নরকে যেতেই অধিক আগ্রহী তারা? যা বললাম তাই করোগে। দেখবে মানুষের আচরণ কেমন ম্যাজিকের মতো পাল্টে যায় রাতারাতি। এহেন কর্ম নেই এদের জন্যে যা তারা করতে নারাজ ।
: যথাদেশ মালিক
তাজিমের সাথে বেরিয়ে গেলেন বিধাতার ইঞ্জিনিয়ার। আগ্রহটা চেপে রাখতে না পেরে জনৈক অবতার সাথে সাথে প্রশ্ন করলেন— ‘ঐ এ-ক্লাশ স্বর্গে কারা যাবে প্রভু? নিশ্চয়ই যারা সর্বাধিক নেকমা?”
বিধাতাপুরুষ সগর্জনে বললেন— ‘নেভার। এ নেকমান্দেরা আমার কাছে বি- ক্লাশ সিটিজেন। সেরেফ অপ্সরীর আশায় পুণ্য কামাই করে ওরা, শয়তানকে আউট করতে পারে না। ওদের জন্যে সব সময়ই থাকবে ঐ বি-ক্লাশ স্বর্গ । এ- ক্লাশ সিটিজেন হলো তারাই, যারা শয়তানকে একদম সীমানাছাড়া করেছে। তাদের জন্যেই রিজার্ভড় থাকবে এই এ-ক্লাশ স্পেশাল স্বৰ্গ।’
ঃ তাহলে কোন্ অবতারের অনুগামী এরা প্রভু?
ঃ কোনো অবতারের কেরামতি এর মধ্যে নেই ।
ঃ তাহলে এরা কারা?
ঃ কেন, ঐ যে দেখছো না হালের একটা স্বাধীন দেশ জ্বল জ্বল করছে বিশ্বের মানচিত্রে? এই স্পেশাল স্বর্গে যাবে ঐ সোনার দেশের সোনার মানুষ।
ঃ সে কি প্রভু! সেদেশের প্রায় বারো আনা মানুষই তো শয়তানের অন্ধভক্ত । এমন কোন অপকর্ম নেই, যা তারা করে না। শয়তানই ওদের প্রভু, শয়তানই ওদের গুরু। ওরা প্রায় বারো আনাই শয়তানের একনিষ্ঠ শিষ্য ।
ঃ তোমরা কিছুই জানো না
ঃ প্ৰভু ।
ঃ শিষ্য হয়ে চিরদিন থাকবে ওরা কোন্ দুঃখে? শয়তানীতে হাত পাকানোর ইচ্ছে থাকলে কয়দিন লাগে?
ঃ জ্বি?
ঃ শয়তানীতে হাত ওদের এয়সা পোক্ত হয়েছে যে, ওদের কাছে শয়তান এখন নিতান্তই শিশু। একটা অপগণ্ড, না-লায়েক ।
: সে কি!
ঃ সেই জন্যেই তো শয়তান এখন আউট। মানে শয়তান এখন ওদের আর ত্রিসীমানা মাড়ায় না প্রভুত্ব হারানোর ভয়ে ।
টান হয়ে শুয়ে পড়লেন হতাশাবিদ্ধ অবতারগণ ।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top