ক্যাসিনো আন্দামান – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৫৭
ক্যাসিনো আন্দামান – বইটির এক ঝলকঃ
আওতার বাইরে নয়। কাজেই নড়েচড়ে বসল সব কটা সুপারপাওয়ার।
তারপর যেন কী হলো? ও, হ্যাঁ, মনে পড়ছে।
একটা ভারতীয় সাবমেরিন কী কারণে প্রতিবেশী বাংলাদেশ বা মায়ানমারের জলসীমায় বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়ল, ঘটনার তিন-চারদিন পর তারও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । এবং সেই সঙ্গে দেশ দুটোর উপকূলে তল্লাশি চালাবার অনুমতি প্রার্থনা করেছে।
অর্জুনের রেডিও রুম থেকে কোড করা সর্বশেষ স্যাটেলাইট মেসেজটা ভিশাখাপতনম বেসে ঠিকই পৌঁছেছিল। অর্জুন নিখোঁজ হওয়ার পর সেই মেসেজ আর রিখটার স্কেলের রিডিং সামনে নিয়ে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা হিসাব কষতে বসেছেন।
জানা গেছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে যথেষ্ট দূরে থাকলেও, মেসেজটা পাঠানোর সময় নাড়াচাড়া খেয়ে হঠাৎ জ্যান্ত হয়ে ওঠা একটা আগ্নেয়গিরির ঠিক মাথার উপর ছিল অর্জুন।
ভূমিকম্পের ফলে তৈরি সুনামির গতিপথ অনুসরণ করেছে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর তদন্ত টিম। ইমার্জেন্সি মেসেজ পাঠানোর সময় ও স্থান মাথায় রেখে হিসাব কষে বের করা হয়েছে মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূল রেখার পঞ্চাশ কিলোমিটারের মধ্যে কোথাও আসবার পর ডুবে গেছে ওদের সাবমেরিন। ক্রু আর অফিসার মিলিয়ে একশ’ বিশজন ছিল ওটায়। ওদেরকে জীবিত উদ্ধার করবার জন্য মরিয়া হয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে তারা সৎ-প্রতিবেশীসুলভ মনোভাব দেখিয়ে বাংলাদেশ
মায়ানমার ভারতীয় নৌ-বাহিনীকে তল্লাশি চালাবার অনুমতি তো দিয়েছেই, সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করবার প্রস্তাবও করেছে। তবে সবার আগে মার্কিন সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় সেটাই গ্রহণ করেছে ইন্ডিয়ান নেভি, কারণ ওদের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আছে, আছে এ-ধরনের অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজের অভিজ্ঞতা ।
ভারত-মার্কিন যৌথ তদন্ত টিম বঙ্গোপসাগরের এমন কোনও এলাকা নেই যেখানে সার্চ করেনি। কিন্তু বৃথাই—কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি অর্জুনকে। গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যর্থ হওয়ার পর মার্কিন উদ্ধারকারী দলের হতাশ লিডার বলল, ‘আমাদের সন্দেহ হচ্ছে এদিকে আদৌ কোনও নিউক্লিয়ার সাবমেরিন নিখোঁজ হয়েছিল কি না।’
সাবমেরিন অর্জুনকে তো পাওয়া গেলই না, মিসাইলগুলোর ওঅরহেড থেকে যে রেডিয়েশন বিকিরণের কথা তারও কোনও লক্ষণ দেখা গেল না কোথাও ।
দু’মাস পর তদন্ত ও তল্লাশি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাগরের আরও একটা অমীমাংসিত রহস্য হিসাবে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন অর্জুন ও তার দুর্ভাগা যাত্রীরা।
‘সার, আমার যতদূর মনে পড়ছে,’ সবশেষে বলল রানা, “তদন্ত বন্ধ হয়েছে, তা-ও তো দু’মাস পার হয়ে গেছে।’
‘হ্যাঁ, তোমার হিসেব ঠিক আছে,’ বললেন বিসিআই চিফ, কাঁচা-পাকা ঘন ভ্রূ জোড়া কুঁচকে আছে। ‘মাঝখানের এই সময়টায় বেশ কিছু অস্বাভাবিক তথ্য জানতে পেরেছি আমরা।’ নড়েচড়ে বসল রানা, ব্রিফিং জমে উঠছে।
পরিস্থিতি সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা দিলেন রাহাত খান । আশ্চর্য খবরটা হলো, বাংলাদেশের সন্দেহভাজন কট্টর, জঙ্গি মৌলবাদী সংগঠনগুলোর মধ্যে ব্যাপক ব্যস্ততা ও কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। চুপিচুপি দেশ ত্যাগ করে চলে যাচ্ছে। চারদিকে লোক পাঠানো হলো, দেখো তো কোথায় যায় ।
জানা গেল, কিছুদিন এদিক-ওদিক ঘুরে লোকের চোখে : ধুলো দেয়ার চেষ্টা করে প্রথম সুযোগেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমারের আরাকান এলাকায় চলে যাচ্ছে তারা।
তারপর খবর এল: না, সবাই আরাকানে যাচ্ছে না; যাচ্ছে কেবল নেতৃস্থানীয় জঙ্গিরা। অন্যান্য সাধারণ জঙ্গিরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকা শহর ছেড়ে নিজ নিজ গ্রামের দিকে সরে যাচ্ছে।
অথচ কারও কোনও ধারণা নেই কী কারণে এভাবে তারা দেশ বা শহর ত্যাগ করছে।
আরও একটা ব্যাপার হলো, তাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে না ভয় পেয়ে পালাচ্ছে, বরং যে-কোনও কারণেই হোক খুবই চঞ্চল ও উৎফুল্ল তারা, যেন এতদিনে তাদের কী একটা গোপন আশা পূরণ হতে চলেছে !
এই সময় রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে আত্মঘাতী জঙ্গিদের একটা তথ্য লিক হয়ে গেল। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের শাসক জিহাদের নামে ইসলামী জঙ্গিবাদকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য গোপনে ফান্ড সরবরাহ করে, এটা একটা ওপেন সিক্রেট। তারা নাকি আল-কায়দার মাধ্যমে সম্প্রতি আরাকানে জমা হওয়া বাংলাদেশী জঙ্গিদেরকে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার দিচ্ছে। সন্দেহ নেই, এই টাকা দিয়ে জঙ্গিরা ওখানে বসে শুধু বাংলাদেশই নয়, গোটা পৃথিবীর বিরুদ্ধে মারাত্মক কিছু একটা
করতে চলেছে।
তথ্যটা যে মিথ্যে নয় তার প্রমাণও পাওয়া গেল ।
কৌতূহলী হলো রানা: কী প্রমাণ, সার?
রাহাত খান ব্যাখ্যা করলেন। মাছ ধরতে গিয়ে মাঝসাগরে উভয়সংকটে পড়ে গেছে বাংলাদেশ আর মায়ানমারের জেলেরা । কারণ ওদিকে মাছ ধরতে গেলেই ধাওয়া করে ভাগিয়ে দেয়া হচ্ছে ওদেরকে। ভাগিয়ে দিচ্ছে দুদিক থেকে দু’দল মানুষ ।
বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের কাছাকাছি খোলা সাগরে, মধ্যপ্রাচ্যের একটা দেশের জাহাজ অনুমতি ছাড়াই নোঙর ফেলেছে। সেই জাহাজ থেকে ডলার ভর্তি বস্তা নামানো হচ্ছে ট্রলারে। কয়েকটা বস্তার মুখ খুলে যাওয়ায় জেলেরা পরিষ্কার দেখেছে ওগুলোয় রাশি রাশি ডলারের বান্ডিল আছে। ওই একবারই জাহাজটার কাছাকাছি যেতে পেরেছিল ওরা। তারপর দেখা মাত্র ধাওয়া করছে ডলারবাহী ট্রলারের লোকজন, ফাঁকা গুলি করে ভয় দেখাচ্ছে।
ধাওয়া খেয়ে আরাকান উপকূলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে জেলেরা, কিন্তু সেখানে আবার আরেক বিপদ। খুব নাকি কুখ্যাত একজন তাইওয়ানিজ জলদস্যু আস্তানা গেড়েছে ওদিকে কোথাও, ওর লোকজন মাছ ধরার ট্রলার দেখলেই মারমুখো হয়ে তেড়ে আসছে। বিশেষ করে ক্যাকটাস দ্বীপের ধারেকাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না কাউকে। অসহায় জেলেরা জানতে চাইছে, আমরা তা হলে এখন কোথায় মাছ ধরব?
আরাকানের জঙ্গলঢাকা পাহাড়ি এলাকায় চলছে জঙ্গিদের, প্রশিক্ষণ। সেখানকার অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোয় সপরিবারে বসবাস করছে বাংলাদেশ থেকে আসা ওদের লিডাররাও। আত্মীয়-স্বজন ও আপনজনদের গ্রামের বাড়িতে রেখে প্রায় প্রতিদিনই দু-একশ’ করে জঙ্গি জড়ো হচ্ছে ওখানে।
রানা জানতে চাইল, ‘এদের পরিচয় কী, সার? জেএমবি?’
মাথা নাড়লেন বিসিআই চিফ, তারপর ব্যাখ্যা করলেন। আমাদের আরাকানী কন্টাক্টদের পাঠানো খবরে জানা গেছে। জেএমবি ছাড়াও এদেশের সাতটা জঙ্গি সংগঠন এক হয়েছে ওখানে। নেতৃত্ব দিচ্ছে সালাউদ্দিন শাহ কুতুব নামে ধুরন্ধর এক প্রভাবশালী জঙ্গি মাওলানা।
“তামার কাজটা কী হবে, সার?’ ভয়ে ভয়ে নিজ্ঞেস করল রানা। ‘কোত্থেকে শুরু করব আমি? –
“ধর্মান্ধ জঙ্গিরা দুনিয়ার নিকৃষ্টতম ক্রিমিনাল। দেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে ওরা; আরও ক্ষতি করার আগেই তাদেরকে আমরা বাধা দেব,’ বললেন রাহাত খান। ‘শুধু আরাকানে কেন, প্রয়োজন হলে নরকে গিয়েও ওদেরকে শায়েস্তা করে আসতে হবে।’
বসের এই কথা থেকেই যা বোঝার বুঝে নিল রানা। ‘কোনও ক্রু আছে, সার?’ জানতে চাইল ও ।
একদৃষ্টে তিন সেকেন্ড তাকিয়ে থাকবার পর বিসিআই চিফ তাঁর প্রিয় এজেন্টকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন। ‘সুরাইয়া জেবিন নামটা আগে শুনেছ কখনও?’
মাথা নাড়ল রানা। ‘জী-না, সার।’
‘সুরাইয়া মালয়েশিয়ান মেয়ে,’ বললেন বিসিআই চিফ, ফোল্ডার থেকে সুরাইয়া আর তুং শানের ফটো বের করে ঠেলে দিলেন রানার দিকে। ‘হটস্পট ফ্যাশন হাউসের মালিক। ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে বেশ নাম করেছে।’
সুরাইয়ার ফটোর উপর চোখ বুলাল রানা। ভাবল, ওর আসল পরিচয় কী? এই অ্যাসাইনমেন্টের সঙ্গেই বা কী সম্পর্ক মেয়েটির?
আর সুদর্শন এই চিনা তরুণ? ফটোর উল্টোপিঠটাও দেখল রানা, লেখা রয়েছে-তুং শান ।
যেন রানার মনের কথা বুঝতে পেরেই বিসিআই চিফ বললেন, “সুরাইয়া জেবিন আমাদের একজন ইনঅ্যাকটিভ এজেন্ট-স্লিপার। পাঁচদিন আগে তুং শান নামে ওই তাইওয়ানিজ ট্যুরিস্টের বডিগার্ডরা হুমকি দিয়ে বলেছে সাতদিনের মধ্যে ওকে নিতে আসবে তারা।’
‘নিতে আসবে মানে, সার?’ নিজের অজান্তেই প্রশ্নটা রানার মুখ থেকে বেরিয়ে গেল। ‘জোর করে নিয়ে যাবে কোথাও?’
‘হ্যাঁ, জোর করেই নিয়ে যেতে চাইছে।’ পাঁচদিন আগে সুরাইয়ার দোকানে কী ঘটেছে, এবং পুলিশের প্রতিক্রিয়া কেমন
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!