বুড়ির ঘুড়ি – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

বুড়ির ঘুড়ি – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৪৮

বুড়ির ঘুড়ি – বইটির এক ঝলকঃ

ঃ সব কথা বলবো?
ঃ হ্যাঁ উস্তাদ । সব কথা বললে আবার আমি পোঁটলা নিয়ে আপনার পিছে পিছে যাবো। পোঁটলাটা আপনাকে একা বইতে হবে না।
উস্তাদ আর কি করে! তারও আর উঠা হলো না। বাধ্য হয়ে ওখানে বসে থেকেই উস্তাদ
ঘটনাটা বলতে শুরু করলো-
অনেক দিন আগের কথা। এই বনের পাশেই ছিল এক মস্তবড় রাজ্য। নাম নূরনগর। নূরনগর রাজ্যের সুলতান শাহ আলম ছিলেন খুবই ভাল মানুষ। তাঁর উজির নূরে আলম ছিলেন আরো ভাল মানুষ। সৎ, দয়ালু আর বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন নূরে আলম। এই উজিরের সৎ পরামর্শেই রাজ্যের চরম উন্নতি হয়েছিল। চরম সুখ শান্তি বিরাজ করতো দেশে। ধনে জনে ভরপুর ছিল সকল লোকের ঘর।
এই নূরে আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলী ছিল এক আজব ছেলে। যেমনই তার সুন্দর চেহারা, তেমনই তার শক্তি। যুদ্ধ লড়াইয়ে কেউ তার সাথে পারতো না। আর বিদ্যা-বুদ্ধি- জ্ঞান? ওরে বাবা! সে ঐ রাজ্যের সকল স্কুল-মাদ্রাসা থেকে ফার্স্ট হয়ে পাশ করা ছেলে। এদিকে আবার তার বুদ্ধির তুলনা নেই। তার বুদ্ধির কথা বলেই শেষ করা যাবে না। তার যতো এত বুদ্ধিমান মানুষ আর একটাও ঐ রাজ্যে ছিল না।
কোন সমস্যা দেখা দিলেই সবাই ছুটে আসতো মুহাম্মদ আলীর কাছে। তার কাছে আসতো পরামর্শ নেয়ার জন্যে। সমস্যা দূর করার পরামর্শ। সকল সমস্যা, সকল বিপদ- আপদ মুহাম্মদ আলীর বুদ্ধিতেই, মানে মুহাম্মদ আলীর পরামর্শেই দূর হয়ে যেতো। মুহাম্মদ আলী ছিল উজির সাহেবের একমাত্র ছেলে। মুহাম্মদ আলী ছাড়া উজির সাহেবের আর কোন ছেলে মেয়ে ছিল না।
ওদিকে সুলতান শাহ আলমেরও আবার একটাই মাত্র সন্তান। সন্তান মানে, একটাই মাত্র মেয়ে। নাম আলেয়া বেগম। সুলতানের কোন পুত্র সন্তান না থাকলেও সুলতানের কোন দুঃখ ছিল না। তাঁর মেয়ে আলেয়া বেগমই সুলতানের সকল অভাব পূরণ করে দিয়েছিল। আলেয়া বেগম ও আবার খুবই সুন্দরী মেয়ে। তার উপর, সে খুবই বুদ্ধিমতী, সৎ আর লেখা পড়া জানা মেয়ে। কোন অহংকার বা হিংসা তার মধ্যে ছিল না।
এই আলেয়া বেগম ভালবাসতো মুহাম্মদ আলীকে। মুহাম্মদ আলীও ভালবাসতো আলেয়াকে। ছোটকালেই আলীর ভাল লাগে আলেয়াকে আর আলেয়ারও ভাল লাগে আলীকে। বড় হওয়ার পার তাদের সেই ভাল লাগার জন্যে তাদের মধ্যে গভীর ভালবাসা হয়ে যায়। এই ভালবাসা হওয়ার পর আলেয়াকে এক মুহূর্ত না দেখলে আলীর মন খারাপ
হয়ে যায়। সে কারণে সুলতানও চান তাঁর মেয়ে আলেয়াকে আলীর সাথে বিয়ে, মানে শাদি দিতে, উজির সাহেবও চায় তাঁর ছেলে আলীকে আলেয়ার সাথে শাদি দিতে। সব ঠিকঠাক হয়ে আছে। কিছু দিন পরেই ধুমধাম করে শাদি হবে এদের।
কিন্তু এই সময়ই দেশে এক মহা বিপদ দেখা দিল। হঠাৎ করেই দেশের সুন্দরী মেয়েরা হারিয়ে যেতে লাগলো। কোন গরীব ঘরের সুন্দরী মেয়ে নয়। রাজা-বাদশাহ আর জমিদারের ঘরের সুন্দরী মেয়েরা হারিয়ে যেতে লাগলো। এ নিয়ে দেশে হাহাকার পড়ে গেল। এর মধ্যে শাদি এদের হয় কি করে?
সবারই এখন চিন্তা হলো- এ সমস্যা নিয়ে কি করা যায়? যাদের মেয়ে হারিয়ে যেতে লাগলো তারা ছাড়াও, যে সব রাজা জমিদারের ঘরে সুন্দরী মেয়ে ছিল তারাও ভাবতে লাগলো- এ সমস্যার সমাধান কি? মানে, এই সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় কি?
অনেকেই বলতে লাগলো এই বিপদ থেকে বাঁচতে যদি চাও তো উজিরের ছেলে আলীর কাছে যাও। আলী ছাড়া এ সমস্যার সমাধান আর কেউ দিতে পারবে না।
ব্যাস্। আর কথা কি? দলে দলে লোক মুহাম্মদ আলীর কাছে আসতে লাগলো এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে। এই সমস্যা থেকে কিভাবে বাঁচা যাবে, সেই পরামর্শ
চাওয়ার জন্যে।
শুনে মুহাম্মদ আলী বললো- পরামর্শ তো এখনই দেয়া যাবে না। মেয়েরা কিভাবে হারিয়ে যাচ্ছে, সেটা আগে জানা দরকার। আপনারা আমাকে কিছুদিন সময় দিন। আমি আগে খোঁজ নিয়ে দেখি, ঘটনাটা কি। ঘটনাটা জানতে পারলে কিভাবে এই বিপদ থেকে বাঁচা যায় সে পরামর্শ দিতে পারবো আমি। বাঁচার পথটা বলে দিতে পারবো।
সবাইকে বিদায় করে দিয়ে আলী এবার বেরোলো ঘটনাটা খুঁজে দেখতে। নানান কায়দায় খবর নিয়ে আলী জানতে পারলো এটা একটা ডাইনী বুড়ির কাজ। এই ডাইনী বুড়ি ভিক্ষে করার নামে ঐ সব বড়লোকের সুন্দরী মেয়েদের খুঁজে বেড়ায়। তাদের পেলেই ঐ বুড়ি আজব জিনিস দেখাবো বলে মেয়েদের ডেকে নিয়ে যায়। ডাইনীর চোখে ভানুমতির মন্ত্র আছে। ঐ চোখের দিকে তাকালেই ঐ মেয়েরা তখন আছে আপ্‌ বুড়ির পেছনে
পেছনে চলে যায়।
এটা জানতে পেরেই আলী বুড়ির পিছু নিলো। আড়ালে আড়ালে থেকে বুড়ির সাথে যেতে লাগলো। বুড়ির সাথে গিয়ে আলী দেখলো, বুড়ি গভীর জঙ্গলের মধ্যে এক গোপন ঘরে থাকে। মেয়েরা সে ঘরে গেলেই ডাইনীটা মন্ত্র দিয়ে তাদের বোবা বানিয়ে রাখে। তারা

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top