ব্লাড অব দ্য প্রিন্সেস ২য় খণ্ড – ড. করম হোসাইন শাহরাহি – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

ব্লাড অব দ্য প্রিন্সেস ২য় খণ্ড – ড. করম হোসাইন শাহরাহি – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২২৪

ব্লাড অব দ্য প্রিন্সেস ২য় খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ

‘মহারানিজি! উঠুন। দেবতা মন্দিরে আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
‘আমার দেবতা আমার জন্য অপেক্ষা করছেন।… আমাকে জলদি নিয়ে চলো। তোমরা আমাকে আগেই কেন বলোনি যে, দেবতা আমার জন্য অপেক্ষা করছেন!’
মহারানি উঠে দাঁড়ালো। তার দুই পা নেশায় দুলতে লাগলো। দুজন সেবিকা তরুণী তাকে রক্ষা করলো। নচেৎ সে মাটিতে লুটে পড়তো। মহারানি বললো- ‘পুরো মন্দিরে এ সংবাদ জানিয়ে দাও। সকলকে নেচে-গেয়ে আমার সাথে চলতে বলো।’
একজন তরুণী বললো- ‘প্রথমে স্নান করে কাপড়চোপড় ধুয়ে নিন। দেবতা সুন্দর। তিনি সুন্দরকেই পছন্দ করবেন। তিনি সুগন্ধির মতো। সুবাসিত ব্যক্তিকেই তিনি নিজের কাছে বসাবেন।’
মহারানি খুশি হয়ে বললো- ‘তুমি ঠিকই বলেছো। আমি তোমাকে পুরস্কৃত করবো। আমাদের দেবতাকে শুধু সুন্দর বলো না; বরং অনিন্দ্যসুন্দর বলো।’
সে মাদকের নেশায় হেলেদুলে কক্ষের দিকে যাচ্ছিল। এটি ওই প্রক্ষালন কক্ষ, যেখানে রাজকুমারী চন্দ্রকান্ত স্নান করতো। তরুণীরা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যবয়স্ক মহারানিকে এক নববধূরূপে সাজিয়ে তুললো। মহারানি পালকিতে চড়ে এক বিশাল জনসমুদ্রকে সঙ্গে করে মন্দিরের দিকে রওনা দিলো। অসংখ্য তরুণী মহারানির পালকিকে বেষ্টন করে আছে। ৰাজতে লাগলো ঢোল, তবলা, সানাইসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র। মহারানির আগমনের সংবাদ পেয়ে শিব দেবতা হাশিমকে বললেন- ‘তুমি তোমার কক্ষে চলে যাও। মহারানি আসছে। তোমাকে দেখলে তার চেহারা পাল্টে যেতে পারে। যা-ই বলো না কেন! তুমিই তো তার যুবক ছেলেকে হত্যা করেছো।’ হাশিম ভারাক্রান্ত মনে বললো- ‘দেবতাও কি আমাকে ঘাতক মনে করেন?’
‘না।’
শিব দেবতা তাকে বুকে টেনে ধরে বললেন- ‘আমি তোমাকে ঘাতক মনে করি না। অজয় পাপিষ্ঠ ছিলো। হত্যার উপযোগী। তাকে হত্যা না করলে সীমাহীন ক্ষতি হয়ে যেতো।
হাশিম মুচকি হেসে বললো- ‘প্রভুর শপথ! যদি আপনি মুসলিম হতেন, তাহলে আল্লাহর একজন খাঁটি অলি হতেন।’
‘ধন্যবাদ।’ শিব দেবতা বললেন- ‘তুমি যাও। সে মন্দিরে পৌঁছে গেছে। নাখোশ হয়ো না। আমি দেবতা হওয়া সত্ত্বেও অনেক কাজ বাধ্য হয়ে করতে হয়।
হাশিম শিব দেবতার কক্ষ থেকে বেরিয়ে নিজের কক্ষে চলে গেলো।
মহারানি মাদকতায় মাতালের মতো দুলতে লাগলো। শিব দেবতা তাকে টেনে ধরে বুকের কাছে নিয়ে বললেন- “তোমাকে আমার অতি নিকটে কালের পাশে বসার জন্যই বানানো হয়েছে।
কথাটি শুনে মহারানির মনে খুশির বন্যা বয়ে যায়। সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে শিব দেবতার দিকে তাকিয়ে রইলো।
শিব দেবতা তার এ অবস্থা দেখে তৃপ্ত।
তিনি পূর্বেকার কোনো কাহিনি বর্ণনা করার ভঙ্গিতে বললেন- ‘আমার ধারণা, সেটা এমনই একটি দুর্গ, এমনই একটি মন্দির ছিলো; যার ছাদের ওপর গভীর রাতের নিস্তব্ধতায় আমি তোমার সাথে মিলিত হয়েছিলাম। আমি আজ রাত তোমার সাথে এই দুর্গের ছাদের ওপর কাটাবো এবং ইচ্ছেমতো মনোবাসনা পূরণ করবো। তোমার দুর্গের প্রাচীরের উচ্চতা কি পাহাড়ের চূড়াসম? মেঘের ক্ষুদ্রাংশ ছাদের ওপর চুমু খেয়ে যায়?’
মহারানি শিব দেবতার পায়ে চুমু খেয়ে বললো- ‘দেবতা! এটা কি সত্য, যে আমাকে দেখতে পার্বতীর মতো লাগছে? খুশিতে তো আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে! আমার সারা শরীরে পুরো জগতের খুশির জোয়ার বইছে। আমার উন্মাদনা নিয়ন্ত্রণহারা হয়ে উঠেছে। আমাকে আপনার শরীরের গোপন অংশে ছাপিয়ে নিন। আমাকে আশ্রয় দিন। আমি পড়ে যাচ্ছি। আমার ভেতর চূর্ণ- বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে ।
মহারানির পুরো শরীরে কম্পন শুরু হলো। তার শ্বাস-প্রশ্বাসে নষ্টামির গন্ধ। চোখে-মুখে দুষ্টের হাসি। মহারানি কামাসক্তিতে উত্তেজিত হয়ে অশুভ আচরণ শুরু করলো। যৌনক্ষুধা তার পুরো শরীর যেন জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
সে এমন একটা জগতের দিকে দেবতাকে আহ্বান করছে, যেখানকার তপ্ত আগুনই মন ঠান্ডা করতে পারে। যেখানে পৌঁছালে মানুষের উভয় জগৎ সম্পর্কে কোনো খবর থাকে না। এক কথায় সে একপ্রকার জৈবিক তাড়নার শিকার।
শিব দেবতার জন্য এ পরিস্থিতি বড়ই অসন্তোষজনক। তিনি মানবসভ্যতার দেয়ালকে ধসে পড়তে দেখছেন। তাই তিনি রাগান্বিত হয়ে মহারানির হাত সবেগে ঝাঁকি মেরে বললেন- ‘তুমি পার্বতী? কক্ষনোই না ! তুমি পার্বতী হতে পারো না। তুমি আমার স্বপ্ন ভঙ্গ করেছো। পার্বতীরা এমন অসভ্য ও সাধারণ কখনোই হতে পারে না। তোমার কী হয়ে গেলো? তুমি আমার কল্পিত সুন্দর স্বপ্নের সব শিষমহল এক মুহূর্তেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিলে!’
মহারানি তার ভুল অনুভব করতে পেরে বললো- ‘আমি আপনার রাজপ্রাসাদ ধ্বংস করিনি। আমিই পার্বতী।’
শিব দেবতা বললেন- ‘সেটা তো আমারও বিশ্বাস ছিলো। কিন্তু পার্বতী তো তোমার মতো এতো দুর্বল ও অসভ্য হতে পারে না! তার বুক বরফের মতো কোমল ছিলো, আবার ছিলো আগুনের স্ফুলিঙ্গও।’
মহারানি মাথা নত করে বললো- ‘আসলে আপনার নৈকট্যের জাদুময়ী আকর্ষণ আমাকে বিমোহিত করে ফেলেছে। দয়া করুন, সরকার। আমি মিনতি করছি।’
মহারানি শিব দেবতার বগল থেকে দাঁড়িয়ে হাত জোড় করে কান্না জুড়ে দিলো।
কিছুক্ষণ পর শিব দেবতা বললেন- ‘ঠিক আছে। এখন গিয়ে আরাম করো। আজকে চান্দ্র মাসের দশম দিন।’
‘জি, আজ চান্দ্র মাসের দশম দিন।’
শিব দেবতা বললেন- ‘ছাদের ওপর আমার আগমনের অপেক্ষা করো। আমি আসবো। পুরো রাত তোমাকে আমার বাহুর আশ্রয়ে আগলে রাখবো।’
মহারানি ক্রন্দনরত অবস্থায় বললো- ‘আমি হয়তো কোনো ধরনের ধোঁকায় পড়েছি। আমি জ্ঞান-বুদ্ধি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। আমার মাঝে একধরনের মস্তিষ্কহীনতা কাজ করছে। ‘
শিব দেবতা বললেন- ‘এখন তুমি একটু হাসো। আমি আমার কক্ষে তোমার মনকাড়া হাসির ফুলেল সৌরভের ছড়াছড়ি দেখতে চাই।’
মহারানি মুচকি হাসি দিলো।
শিব দেবতা বললেন- ‘আমি চাই তুমি জোরে অট্টহাসি দাও। তুমি এতো জোরে হাসবে- যাতে তোমার হাসিতে পুরো জগৎ মুগ্ধতা পায়।’
শিব দেবতা আবেগী অবস্থাকে বিচক্ষণতার সাথে কাজে লাগাতে পারেন। মহারানি খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। তার হাসি পুরো কক্ষকে অনেকক্ষণ কাঁপিয়ে রাখলো ।
শিব দেবতা বললেন- ‘আমি তোমাকে সব সময় হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় দেখতে চাই। তুমি যখন হাসো, তখন তোমাকে পুরো পার্বতীর মতো দেখায়। আমার এখন দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে, আমরা দুজন একটা রাত কাটানোর স্থান পেয়েছিলাম। এখন তুমি যাও এবং রাত হওয়ার অপেক্ষা করো।’
মহারানি হাসিমাখা মুখে কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলো। ঢোল, সানাই, তবলা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র আবার বেজে উঠলো। শিব দেবতা হাশিমকে ডাকলেন।
তারপর দুজনে চুপি চুপি গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে মন্দিরের পেছনের দিকে চলে গেলেন। হাশিম চুপচাপ নীরবে শিব দেবতার পেছনে পেছনে চলছে। একটা খোলা প্রশস্ত জায়গায় গিয়ে শিব দেবতা আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন— ‘মনে হচ্ছে আজ প্রচণ্ড বৃষ্টি হবে।’
‘হ্যাঁ’ হাশিম বললো- ‘এখানে তো প্রতি দু-তিন দিন পর পরই বৃষ্টি হয়। পাহাড়ের ওপর যতোই বৃষ্টি হোক, অনুমান করা যায় না। কারণ, সব পানি নদী, খাল বা ছড়ায় চলে যায়।
কোমল হাওয়ায় রঙ-বেরঙের পাখিরা ওড়াউড়ি করছে। বড়ই সুন্দর পরিবেশ। শিব দেবতার চোখ আকাশে কিছু একটা যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ সাদা একটি বিন্দু দৃষ্টিগোচর হলো।
তিনি নির্ধারিত একটি নিয়মে হাত উঁচু করে নড়াচড়া করতে লাগলেন । কিছুক্ষণ পর ওই সাদা বিন্দুটি ফুলতে ফুলতে কবুতরে পরিণত হয় এবং শিব দেবতার মাথার ওপর চক্কর দিতে থাকে। হাশিম ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে শিব দেবতার কারিশমা দেখতে থাকে। কবুতর শিব দেবতার ডান কাঁধে এসে বসলো । সে বেশ হাঁপাচ্ছে। শিব দেবতা হাত প্রসারিত করে কবুতরটি ধরলেন এবং চটজলদি তার গলা থেকে লটকানো তাবিজটি খুলে কোর্তায় লুকিয়ে নিলেন ।
তারপর ডাক দিলেন— ‘হাশিম! এসে পড়ো!’
কবুতরটি তখনো শিব দেবতার কাঁধে বসা। তিনি দ্রুত হেঁটে গোপন পথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলেন। শিব দেবতার চেহারায় সিদ্ধান্তহীনতা ও শঙ্কিত ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। তারপরও তিনি মন্দিরের পূজারি ও তীর্থযাত্রীদের সাথে হাসি-খুশির সাথে কথা বলছেন। খুব তাড়াতাড়ি নিজের কক্ষে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন। একজন পূজারি খুশি প্রকাশ করে বললো- ‘এই কবুতরটিকেও তো একটা দেবতার মতো লাগছে।’
শিব দেবতা বললেন- ‘এটাকে এখনই ভগবান পাঠিয়েছেন। সে একটা বার্তা নিয়ে এসেছে। বার্তাটি নিয়ে একটু বিবেচনা করতে হবে।
পূজারি একটু পেছনে সরে গেলো। তারপর তিনি দ্রুত পায়ে হেঁটে সামনে অগ্রসর হতে থাকেন।
একটি নীরব স্থানে এসে হাশিমকে ধমকের স্বরে বললেন- ‘বোকা! তুমি হচ্ছো নাগ দেবতা। তুমি এখানকার পূজারি নও! নাগ দেবতার বেশ ধরে থাকো! নতুবা মরা পড়বে!’
হাশিম ফের ফোঁসফোঁস শব্দ করে ফোঁপাতে থাকে। শরীরকে সাপের মতো প্যাচাচ্ছে সে। তাকে দেখতে বাস্তবেই একটি নাগের মতো লাগছে। পূজারি ও তীর্থযাত্রীরা তার পায়ের দিকে ঝুঁকে প্রণাম করে নাগ দেবতার ক্ষমতার বিশালত্ব দেখতে লাগলো।
শিব দেবতা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বড় পূজারিকে সম্বোধন করে বললেন– ‘আহাম্মক! বীণ বাদকদের ডাকো। দেখছো না নাগ দেবতার মাঝে ক্রোধের তাপ বিরাজ করছে? আমি নিজেই দেখছি তোমরা নাগ দেবতার কোনো সেবাই করছো না! বীণা বাদকদের ডাকো!”
শিব দেবতা কী যেন পড়ে পড়ে নাগ দেবতাকে ফুঁ দিচ্ছেন। নাগ দেবতার চোখ স্থির। আগুনের মতো লাল। দেবদাসীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ছুটতে লাগলো এদিক-ওদিক। কিছুক্ষণ পর বীণ বাজানো যোগীরা এলো। তারা প্রথমেই নাগ দেবতার সামনে সেজদার নুয়ে পড়লো। তারপর পাগলের মতো বাজাতে লাগলো বীণা। এতে তার চেহারায় ফুটে উঠেছে ফুলের মতো হাসি।
শিব দেবতা বললেন- ‘নাগ দেবতাজি। পূজারি ও তীর্থযাত্রীদের সাথে নম্র ব্যবহার করবেন। তাদের হৃদয় অত্যন্ত কোমল। অল্পতে তারা অনেক কষ্ট পায়। হৃদয় ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।’
নাগ দেবতা মুচকি হেসে বললো- বোকা পূজারিদেরও একটু জানিয়ে দিন, কোনো ধারণাই রাখে না।’
‘আমি সব জানি। কিন্তু এই অজ্ঞ তারা আমার ভয়াবহতা সম্পর্কে
পূজারি, দাসী, সেবক ও পণ্ডিতমশাইরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মাটিতে শুয়ে ছটফট শুরু করে দেয়। কনারত কণ্ঠে বলতে থাকে- ‘নাগ দেবতা! ভগবানের দোহাই দিয়ে বলছি, আমাদের অক্ষমতা ক্ষমা করুন! সৌম্য করুন!’
নাগ দেবতা বললো- ‘আজকের মতো ক্ষমা করলাম।’
কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর সে বললো- ‘আমি চাই জেলখানার সকল বন্দীকে আগামীকাল সমবেত করা হোক। আমি সকলকে দর্শন দেবো।’

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.