বিষাক্ত ছোবল – আসাদ বিন হানিফ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ আসাদ বিন হানিফ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৬৩
বিষাক্ত ছোবল – বইটির এক ঝলকঃ
‘আপনি হয়ত মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে ততটা জ্ঞাত নন।’ বললো খৃস্টান অফিসার, ‘সুলতান আইয়ূবীকে যারাই খুনের পরিকল্পনা নিয়ে যায়, তাদের উপর নেশার ঘোর চেপে থাকে । যখন তাদের সামনে কোন বাঁধা আসে তখনই তাদের নেশার ঘোর কেটে যায়। তখন আক্রমণকারী তার জান বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে। এদের পরিবর্তে যদি আপনি হিংসার আবেগে ক্ষিপ্ত করে তাদের মনে ঘৃণার আগুন জ্বালিয়ে হত্যার জন্য পাঠান, তবে সে অবশ্যই হত্যা করতে সক্ষম হবে ।
‘শেখ মান্নান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীকে হত্যার জন্য চারজন কমাণ্ডো পাঠিয়ে দিয়েছে।’ গুমান্তগীন বললো, ‘তারা কতদূর কি করতে পারে আগে দেখি। যদি তারা ব্যর্থ হয় তবে আমি নিজেই তাকে খুন করার জন্য যাবো। শেখ মান্নান আমাকেও চারজন কমাণ্ডো দিয়েছে। তবে তারা ‘ফেদাইন দলের কেউ নয়, আইয়ূবীরই চার জানবাজ কমাণ্ডো। এদেরকে আমার কাছে দিয়ে বলেছে, এদের তৈরী করে সাইফুদ্দিনকে আগে হত্যা করো। কারণ এই কমাণ্ডো চারজন সাইফুদ্দিনকে শত্রু জানে। ফলে তারা তাকে হত্যা করে আনন্দ বোধ করবে। আমি তাদেরকে এ সুযোগ করে দেবো। সাইফুদ্দিনকে মৃত্যুর জালে ফেলানো আমার দায়িত্ব। তার অযোগ্যতা এবং আমাদের অপদস্ত করার শাস্তি হিসাবে এটাই তার পাওনা।’
“তার চেয়ে এদেরকে সুলতান আইয়ুবীর নিধনে প্রস্তুত করা হোক না কেন?’ খৃষ্টান অফিসারটি বললো, ‘এদেরকে নেশায় আচ্ছন্ন না করে এদের মনে ঘৃণার আক্রোশ জাগিয়ে তুলতে পারলে এরা সহজেই আইয়ুবীকে হত্যা করতে পারবে।’ “কিন্তু কিভাবে তাদের মনে আইয়ুবীর বিরুদ্ধে ঘৃণা জন্মানো সম্ভব? এরা তো আইয়ুবীরই লোক! শুনেছি, তার কমাণ্ডোরা তাকে অসম্ভব ভক্তি শ্রদ্ধা করে!’ বললো শুমাস্তগীন।
এতক্ষণ পর এই প্রথম মুখ খুললো লিজা। বললো, ‘দুনিয়াতে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। যদি আপনারা চান এ দায়িত্ব আমরা নিতে পারি। ওদের কমাণ্ডারের নাম আন নাসের। আমি ওদের এই কমাণ্ডারকে তৈরী করার দায়িত্ব নেবো। বাকী তিনজনকে সামলাবে কারিশমা।’
শুমাস্তগীনের দিকে তাকিয়ে খৃস্টান অফিসার সামালো। এরপর কারিশমা ও লিজার দিকে ইঙ্গিত করে বললো, ‘এদের আপনি চেনেন না, এরা লোক তৈরীর ক্ষেত্রে ওস্তাদ কারিগর।’ খৃষ্টান অফিসার লিজার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘বেশ, তুমি আন নাসেরকে তৈরী করো। আর অন্যান্যদের দায়িত্ব কারিশমার ওপরই ছেড়ে দাও । মানুষকে বশ করার যাদু সে ভালই জানে। তার সাথীদেরকে সে একাই সামলাতে পারবে।’
কারিশমা মুচকি হাসলো শুধু মুখে কিছু বললো না । শুমান্তগীন বললো, ‘কিন্তু কিভাবে তোমরা এটা করবে? ‘সে ব্যবস্থা আমি করছি।’ বললো খৃস্টান অফিসার। সে কারিশমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘জান নাসের এখন কোথায়?’
‘ওরা ফেদাইন প্রহরীদের হেফাজতে আছে।
‘তাকে এখানে নিয়ে এসো।’ অফিসার বললো, “আন নাসেরকে এখন থেকে পৃথক কামরায় রাখবে, আর তার সাথীদের রাখবে অন্য কামরায়। তারপর লিজাকে উদ্দেশ্য করে বললো, ‘আর তুমি খুব সাবধানে থাকবে। শেখ মান্নানের লালসার চোখ পড়েছে তোমার ওপর। সে সহজে তোমাকে ছাড়বে না। সে তোমার জন্য এতটা উতলা হয়ে পড়েছে যে, তোমার জন্য আমাকে পর্যন্ত চোখ রাঙানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
গুমান্তগীন অবাক হয়ে বললো, “কি বললে! একটা মেয়ের জন্য সে তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে?’
অফিসার বললো, ‘তার কথা আর বলবেন না। আমাকে ধমক দিতেও বাঁধেনি তার। সে আমাকে এই বলে শাসিয়েছে, মেয়েটাকে আমার কাছে সঁপে দাও নইলে তুমি মেহমান থেকে কয়েদীতে পরিণত হবে। সে আমাকে খুন করার হুমকিও দিয়েছিল। আমি ধৈর্য না ধরলে এতক্ষণে খুনাখুনি কাণ্ড ঘটে যেতো। আমি ‘চিন্তা করে দেখবো’ বলে ওদের নিয়ে এসেছি।’
‘তাহলে এখন আর ওদের এখানে আনার দরকার নেই। ‘ শুমান্তগীন বললো, ‘আমি চার কমাণ্ডোকে আমার সঙ্গে নিয়ে যাই। আপনিও এই দুই মেয়েকে নিয়ে একসাথে চলুন এখান থেকে বের হই। আমি এবং আপনি দু’জন এক সাথে থাকলে সে হয়তো বেশী বাড়াবাড়ি করার সাহস পাবে না।’ গুমান্তগীনের কামরা থেকে বেরিয়ে এলো ওরা। আন নাসের ও তার তিন সঙ্গীকে ডেকে আনা হলো খৃস্টানদের জন্য নির্ধারিত কেল্লার বিশেষ এলাকায়। এখানে ক্রুসেডারদের মেহমান রাখার জন্য বিশেষ কামরার ব্যবস্থা আছে।
আন নাসেরকে পৃথক কামরা দেয়া হলো। কিন্তু বেঁকে বসলো আন নাসের। সে বললো, ‘আমি আমার সাথীদের সাথে একত্রে থাকতে চাই। যদি আমরা বন্দী হয়ে থাকি তবে আমাদের কয়েদখানায় পাঠিয়ে দাও। আর যদি বন্দী না হই তাহলে আমাদের একত্রে থাকতে দাও।’
এ কথা শুনে খৃস্টান অফিসার একটু অবাক হলো। সে চাচ্ছিল, কারিশমা ও লিজা আজ থেকেই তাদের মিশন শুরু করে দিক। কিন্তু এঁদের আলাদা করা না গেলে তো মিশন শুরু করা সম্ভব নয়! সে আন নাসেরকে বললো, ‘একি বলছো তুমি! তুমি এদের কমাণ্ডার! আমি তোমাদের পৃথক হওয়ার কথা বলছি না, যখন ইচ্ছা তুমি ওদের কাছে যেতে পারবে, ওরা তোমার কাছে আসতে পারবে। আমি তো শুধু তোমাকে তোমার মর্যাদা অনুযায়ী থাকতে বলছি। কমাণ্ডার ও সৈনিকদের মর্যাদা তো আর এক নয়, তাহলে তুমি আপত্তি করছো কেন?’,
‘আমাদের কাছে কোন উঁচু-নিচু ভেদাভেদ নেই।’ আন নাসের বললো, ‘আমাদের সুলতানও তাঁর সৈন্যদের সাথে থাকেন। আমি তাঁর তুলনায় কিছুই না, সামান্য এক কমাণ্ডার মাত্র। আমি তাদের থেকে আলাদা হলেই বরং অস্বস্তি বোধ করবো। নিজের মধ্যে কখন গর্ব ও অহংকার এসে যায় এই ভয়ে আমার ঘুম হবে না। এক অন্যায় ও পাপ বোধে জর্জরিত হবো শুধু।’ ‘আমরা তোমাকে সম্মান করতে চাই, তোমার উপযুক্ত মূল্য দিতে চাই। এটাই আমাদের রীতি।’ খৃষ্টান অফিসার বললো, ‘তোমাদের ওখানে গিয়ে তুমি যা ইচ্ছা করো, তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যতক্ষণ আমাদের এখানে আছো ততক্ষণ তোমার প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধাবোধ আছে তা বজায় রাখার জন্য আমাদের সহায়তা করবে, আমাদের রীতিকে শ্রদ্ধা করবে, এটুকু সৌজন্যও কি আমি তোমাদের কাছে আশা করতে পারি না?’
এ কথার কি জবাব দেবে ভেবে পাচ্ছিল না আন নাসের। ওরা তো ওদের রীতি অনুযায়ী তাকে সম্মান দেখাতে চাইতেই পারে! এ ব্যাপারে তাদের আহত করা কি তার উচিত হবে? আবার ভাবছিল, এটা তো কোন ষড়যন্ত্রের অংশ নয়? দ্বিধা কম্পিত কণ্ঠে আন নাসের বললো, ‘আমাদের কমাণ্ডো বাহিনীর কমাণ্ডার তার সৈন্যদের সাথে একত্রে থেকেই জীবন কাটায়। এক সাথেই তারা জীবিত থাকে আর মরতে হলেও একত্রেই তারা মৃত্যু বরণ করে। যেদিন আমরা কমাণ্ডো বাহিনীতে নাম লিখিয়েছি, সেদিন থেকেই মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছি আমরা। আমরা বেঁচে আছি সেই আকাঙ্খিত মৃত্যুর প্রত্যাশায়।’ আন নাসের বললো, ‘মৃত্যু পথের যাত্রী হিসাবে আমরা কখনও একে অপর থেকে দূরে থাকতে চাই না ।
তা ছাড়া, আমরা যদি আপনার এখানে মেহমান হিসাবে আসতাম, তবু না হয় একটা কথা ছিল। কিন্তু আমরা তো
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!