বন্ধু – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৬০
বন্ধু – বইটির এক ঝলকঃ
তিনটে বেজে একচল্লিশ মিনিট ।
‘ঠিক আছে, সোহেল,’ বলল রানা। ‘এখন থেকে আমার দায়িত্ব।’ কি যেন বলতে শুরু করুন সোহেল, কিন্তু সুইচ অফ করে দিল রানা। আট কিংবা নয় মিনিট আছে। স্পীড হবে প্রতি ঘণ্টায় পঁচিশ মাইল বা কাছাকাছি। কল্পনার চোখে মোটর শোভাযাত্রাটাকে আসতে দেখল রানা। প্ল্যান চিৎ রোডের শেষ মাথায় পৌঁছে ডান দিকে বাঁক নিল, ঢুকল বিদ্যায়ু রোডে। ব্রিটিশ দূতাবাসকে পাশ কাটাচ্ছে। রাস্তার ধারে কোলাহলমুখর মানুষের ভিড়। এরপর স্প্যানিশ দূতাবাস। তোরণ। চারদিকে করতালি। ফুল, ফুলের মালা। জাপানী দূতাবাস। বড়দের কাঁধে চড়ে মেহমানকে একনজর দেখে নিচ্ছে শিশুরা। এরপর নেদারল্যান্ডের দূতাবাস। একজন দর্শক অজ্ঞান হয়ে গেছে, ফার্স্ট-এইড কর্মীরা তাকে নিয়ে ব্যস্ত। মার্কিন দূতাবাস। বরফ দেয়া পানি গ্লাসে ভরে বিক্রি করছে হকাররা। লামপিনি পার্ক।
ঘরের একধারে চলে এসেছে রানা, পার্কের ওপর নীল ব্রুস আঁকা হলুদ ঘুড়িটাকে উড়তে দেখল, ঘন ঘন ঝাঁকি খেতে খেতে আকাশের আরও ওপরে উঠে যাচ্ছে।
হাতের ঘাম মুছে ভিজে গেছে রুমালটা। আর তিন মিনিট, খুব বেশি হলে চার। বিল্ডিঙের নিচে লিঙ্ক রোডের খানিকটা অংশ দেখতে পেল। একটা সাইড রোড ধরে ধীর, অলস ভঙ্গিতে পিছু হটছে একটা অ্যাম্বুলেন্স। লোকজনের ঠিক পিছনে পৌঁছে থামল সেটা। একজন লোককে দেখা গেল, গ্যাস বেলুন বিক্রি করছে।
হঠাৎ উথলে উঠল ভিড়। একটানা গর্জনের মত শোনাল হাজার হাজার মানুষের কোলাহল। তারপর হঠাৎ করেই শান্ত হলো ভিড়, আওয়াজটাও ঝিমিয়ে পড়ল। কিছু না, ভুল হয়েছিল দেখতে। পুলিস কারের ছাদকে শোভাযাত্রার ভ্যানগার্ড মনে করে উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল সবাই।
আর মিনিটখানেক ।
এবারের মিশনটাকে বড় বেশি লম্বা মনে হয়েছে। টয়োটার মধ্যে দিন কাটানো, জুপিটারের সাথে বসবাস, টোটাকে ভাল করে চেনা। আওয়াজটা এল অনেক দূর থেকে। হাততালির শব্দ। প্রথম দিকে অস্পষ্ট, ধীরে ধীরে জোরাল হয়ে উঠল। রাইফেলের পিছনে চলে এল রানা। শেষবার হাতের ঘাম মুছল। কব্জি, তালু, আঙুলের ফাঁক, বিশেষ করে ডান হাতের আঙুলের ফাঁকগুলো।
লিঙ্ক রোডের দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়েছে। স্কোপের ক্রস হেয়ার গরাদহীন জানালার মাঝখানে, লোকটার চোয়ালের ওপর সেন্টার করল রানা। রাইফেল তুলল লোকটা। লম্বা চকচকে ব্যারেলটা দেখতে পেল রানা। ট্রিগারে আঙুলের চাপ বাড়াতে শুরু করল ও। লাফ দিয়ে উঠল হাস্কডানা। সাইটে চোখ রেখে এখনও টার্গেট দেখছে ও। লালের বিস্ফোরণ ঘটেছে যেন লোকটার মুখে। খুশি হয়ে উঠতে গিয়েও হঠাৎ উপলব্ধি করুন ও সমস্ত আয়োজন ব্যর্থ হয়েছে।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!