আতংকের দিভিন উপত্যকা – আবুল আসাদ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ আবুল আসাদ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২১২
আতংকের দিভিন উপত্যকা – বইটির এক ঝলকঃ
“বড় একটা ঘটনা ঘটল। কয়েকজন লোক মারা গেছে, তাই শুধু নয় । হত্যা করা হয়েছে বিষাক্ত গ্যাস দিয়ে অত্যন্ত কৌশলে। যাতে সবাই বুঝে কোন কারণে আগুন লেগে বিরাট রকমের ক্ষতি হয়েছে, লোকও মারা গেছে । দিভিনে যা ঘটছে, এটা তারই একটা ধারাবাহিকতা। এখান থেকেই আপনার কাজ শুরু হতে পারে।’
‘আপনার কাজও তো এটাই।’ বলল আহমদ মুসা।
“আমি তো আগারাক যাচ্ছি আমাদের একজন অফিসারের নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে ।’ ইভা নারিন বলল ।
‘সত্যের অর্ধেকটা বললেন। অন্য অর্ধেকটা বলুন।’ বলল আহমদ মুসা ।
অস্পষ্ট এক টুকরো হাসি ফুটে উঠল ইভা নারিনের ঠোঁটে । বলল, “হ্যাঁ, বাবা আমাকে আমাদের অফিসারের নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্তের সাথে সাথে দিভিন উপত্যকার ঘটনাবলির উপর নজর রাখতে বলেছেন। কিন্তু আপনি এটা জানলেন কি করে?’
*আপনার দিভিন পর্যন্ত আসা থেকেই আমি এটা বুঝেছি । আপনার ডেস্টিনেশন শুধু আগারাক হলে আপনি কিছুতেই এ পথে আসতেন না । আর আপনি যে ঘটনার তদন্তে আগারাক যাচ্ছেন, তার মূল তো দিভিনে। বলল আহমদ মুসা।
‘আপনার কথা সত্য । তবে মিশন যাকে বলে, সে রকম কিছু নিয়ে আমি আসিনি । আগারাক গিয়ে কি সিদ্ধান্ত হয় দেখতে হবে। ইভা নারিন বলল ।
“তাহলে আপনি আগারাক যাচ্ছেন । কিন্তু আমি এদের আতিথ্য গ্রহণ করেছি । আপনিও শামিল আছেন। যা ঘটেছে তার গুরুত্ব আপনিও জানেন । তাছাড়া আপনি আহত । আপনার ড্রাইভ করা ঠিক হবে না, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায়, তাও আবার রাতে!’ বলল আহমদ মুসা । *ধন্যবাদ, ঘটনার প্রতি আমারও আগ্রহ আছে । আমি থেকে যাচ্ছি। কিন্তু ভাবছি, ওদের বিব্রত করা হবে না তো?’ ইভা নারিন বলল । আহমদ মুসা হাসল। বলল, ‘এটা ওদের ব্যাপার। জোর করেই তো আতিথ্য নিলাম, আমাদের গরজে।’ বলল আহমদ মুসা ।
আহমদ মুসা ও ইভা নারিন কিছুটা নিচু স্বরে কথা বলছিল। আর শেপলরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল দারা দারিস্তান ও ত্রিফা বেফ্রিনকে পাঠানো, পাহারাদার ঠিক করা ও থানায় লোক পাঠানোর কাজে।
অল্পক্ষণ পর শেপলরা ফিরে এল। বলল শেপলই, ‘এদিকের কাজ শেষ স্যার । আমরা এবার যেতে পারি।’
‘তোমাদের গাড়ি আসবে, তারপর আহত ও অসুস্থদের নিয়ে যাবে । তাতে দেরি হবে । আমাদের গাড়ি করে ওদের নেয়া যায় । মাঝের সিটে শেপল মিসেস ত্রিফাকে নিয়ে বসবে, পেছনের সিটে আহমদ নেবেজ দারা দারিস্তানকে নিয়ে বসবে। অসুবিধা নেই।’ বলল আহমদ মুসা ।
“ধন্যবাদ স্যার। তবে আমাদের ত্রিফা আপা ইয়েরেভেন যেতে চাচ্ছেন। ইয়েরেভেনের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চান।’ বলল শেপল ।
আহমদ মুসা তাকাল শেপল ও আহমদ নেবেজের দিকে । একটু ভাবল আহমদ মুসা। বলল, ‘কেন যেতে চান? তার দু’হাতই আহত, কিন্তু কোনটাই বড় কিছু নয় । তার ইয়েরেভেন হাসপাতালে যাওয়া কি | নিরাপদ হবে? তোমরা কি মনে কর?’ বলল আহমদ মুসা।
*আপনারাও জানেন দেখছি স্যার । অনেক ধন্যবাদ । আমি ও আহমদ নেবেজ দু’জনেই ইয়েরেভেন মেডিকেল কলেজে পড়ি। কলেজে আমরা যেতে পারি না। ইয়েরেভেনের হাসপাতাল, ক্লিনিক, এমনকি ঔষধের দোকানগুলোতেও আমরা অবাঞ্ছিত । প্রায় এক বছর ধরে ইয়েরেভেনের হাসপাতাল ক্লিনিকগুলো আমাদের জন্যে বলা যায় নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। আমাদের দিভিনের নিরাপত্তা প্রধান মোহাম্মাদ বেহেজের স্ত্রী এবং দিভিনের একজন অ্যাকটিভিস্ট হিসাবে ত্রিফা আপা আরও বেশি। পরিচিত । সুতরাং ইয়েরেভেন তার জন্যে নিরাপদ নয়।’ বলল শেপল । “তাহলে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কেন?’ বলল আহমদ মুসা। “রিফা আপা টেলিফোনে কার সাথে যেন আলাপ করলেন। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন। আহমদ নেবেজ বলল।
মিসেস ত্রিফা বেফ্রিনের স্বামী মানে আপনাদের নিরাপত্তা প্রধান মোহাম্মাদ বেহেজ কোথায়?’ জিজ্ঞাসা আহমদ মুসার।
“উনি সন্ধ্যার আগে নদী-বন্দরে গেছেন একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে। রাতের মধ্যেই ফিরবেন। শেপল বলল।
অনেকক্ষণ ধরেই একটা চিন্তা উঁকি দিচ্ছিল আহমদ মুসার মনে। মিসেস ত্রিফা কি শেপল, আহমেদ নেবেজ এবং অন্যদের চেয়ে কিছুট আলাদা? মিসেস রিফা ইভা নারিন মানে আমাদের মেরে ফেলার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছিল কেন? এতটা বৈরিতার কিছু তো সেখানে ঘটেনি? মাত্র একটা সন্দেহ যে, আমরা আগুন লাগানোদের সাথের লোক কিনা! শুধু এজন্যেই কি কেউ এতটা মরিয়া হতে পারে মেরে ফেলার জন্যে! তার মানসিকতা যদি এটাই হয়, তাহলে সে ইয়েরেভেন হাসপাতালে যাওয়ার কথা নয় । অংক মিলছে না! কেন মিলছে না ?
আহমদ নেবেজের কথা আহমদ মুসার কানে গিয়েছিল, কিন্তু উত্তর দেয়া হয়নি। সেই উত্তরটাই অবশেষে সামনে এসে দাঁড়াল। বলল আহমদ মুসা, ‘তাহলে আহমদ নেবেজ তুমি মিসেস ত্রিফাকে বল যে, মোহাম্মাদ বেহেজ ফিরে না আসা পর্যন্ত তার ইয়েরেভেন হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টা চূড়ান্ত করা যাবে না।
“ঠিক আছে স্যার, আমি তাঁর সাথে কথা বলি ।
বলেই আহমদ নেবেজ ফুটল মিসেস ব্রিফার দিকে। ব্যান্ডেজ শেষ হবার পরেই গাড়ির কাছ থেকে সরে গিয়ে একটু দূরে মোবাইল নিয়ে সে বসেছিল। তার সাথে কথা বলল আহমদ নেবেজ ।
মিনিট দুই পরেই ফিরে এল আহমদ নেবেজ। তার মনটা খারাপ। আহমদ মুসা প্রশ্ন করতেই সে বলল, ‘না স্যার, রাজি হলেন না। হাসপাতালেই যাচ্ছেন। হাসপাতালের সাথে কথা হয়েছে। উনি হাসপাতালেই যাবেন স্যার। উনি আমাদের নিরাপত্তা প্রধান মোহাম্মাদ বেহেজের সাথেও কথা বলেছেন।’
আহমদ মুসা হাসল। বলল, ‘এরপর আর কোন কথা থাকতে পারে না । উনি কি এখনি যাচ্ছেন?’
‘গাড়ি রেডি । এখনি বেরুচ্ছেন তারা।’ বলল আহমদ নেবো ।
“ঠিক আছে । এখন মাঝের সিটে উঠবে শেপল ইভা নারিনের সাথে আর তুমি দারা দারিস্তানকে নিয়ে পেছনের সিটে বস’ বলল আহমদ মুসা ।
একটু থেমেই আবার বলল আহমদ মুসা, ‘যাওয়ার আগে আহমদ নেবেজ একটু দেখে নাও পাহারাদাররা তাদের দায়িত্ব নিয়েছে কিনা? থানায় যাদের পাঠিয়েছ তাদের খবর কিছু আছে কিনা। আর পাহারাদারদের ভালো করে বলে যাও পুলিশ আসার আগে অগ্নিদগ্ধ স্থানে কোথাও যেন কেউ প্রবেশ না করে
“ঠিক আছে স্যার । সব খবর আমি নিচ্ছি । আর পাহারাদারদের দায়িত্ব নিয়েছেন আমাদের এই কম্যুনিটি কমপ্লেক্সের পরিচালক জনাব বারজানি । তাঁকেই বিষয়টা বুঝিয়ে আসছি।’
চলে গেল আহমদ নেবেজ কথা শেষ করেই।
সবাইকে নিয়ে আহমদ মুসাদের গাড়ি তখন যাত্রা শুরু করেছে । গাড়ির পেছনে মোবাইল বেজে উঠল ।
আহমদ নেবেজের মোবাইল ।
আহমদ মুসার দৃষ্টি সামনে, মনোযোগও সামনে, ভাবনাও সামনের সময়কে নিয়ে ।-
টেলিফোনে আহমদ নেবেজের কথা আর তার কানে যায়নি ।
কথা শেষ হয়ে গেছে আহমদ নেবেজের।
কল অফ করেই সে বলে উঠল, ‘স্যার, একটা সুসংবাদ । ত্রিফা আপা ইয়েরেভেনের হাসপাতালে যাচ্ছেন না।’
শুনেই ভ্রু কুঞ্চিত হলো আহমদ মুসার। বলল, ‘কেন? কোন কিছু ঘটেনি তো?”
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!