অশ্র ভেজা কাহিনী – মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

অশ্র ভেজা কাহিনী – মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১১৩

অশ্র ভেজা কাহিনী – বইটির এক ঝলকঃ

হিজরতের পর আনসার আর মুহাজিরদের মাঝে গড়ে উঠেছে
ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক। মদীনার আনসারগণ মুহাজির ভাইদের জন্য ত্যাগ ও কুরবানীর অপূর্ব নজির পেশ করছেন। তাদের আরাম ও শান্তির জন্য অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানসহ সকল ধরনের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি একাধিক স্ত্রী থাকলে মুহাজির ভাইয়ের পছন্দমত কোনো একজনকে তালাক দিয়ে তাকে তার হাতে তুলে দেয়ার আগ্রহও পেশ করছেন। মোট কথা মক্কা থেকে আগমনকারী মুহাজির ভাইদের কোনো প্রকার কষ্ট ও অসুবিধা যাতে না হয় সেদিকে পূর্ণ দৃষ্টি রেখে চলছেন মদীনার আনসারগণ।
আনসার ও মুহাজিরদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন স্বয়ং রাসূলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি একেকজন মুহাজিরকে একেকজন আনসারীর ভাই বানিয়ে দিয়েছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই ইচ্ছা ও সিদ্ধান্তকে আনসারগণ এতটাই আনন্দচিত্তে গ্রহণ করেছিলেন যে, পূর্বে কারো দুই ভাই থাকলে এখন তিনি মনে করতেন, আমার ভাই তিনজন। এক কথায় আনসারগণ মুহাজিরদেরকে আপন ভাইয়ের মতোই শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মান দিতেন।
সাঈদ ইবনে আব্দুর রহমান ছিলেন মুহাজির সাহাবী। হিজরতের পর তিনি ও সালাবাতুল আনসারী (রা.)-এর মাঝে সৃষ্টি হয় ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাবুক অভিযানে গেলেন, তখন তাঁর সাথে গমন করেছিলেন হযরত সাঈদ ইবনে আব্দুর রহমান (রা.)। আর সালাবাতুল আনসারী (রা.) পেয়েছিলেন সাঈদ (রা.)- এর বাড়িঘর দেখাশুনার দায়িত্ব। সালাবা (রা.) প্রত্যহ সাঈদ (রা.) এর বাড়িতে আসতেন। খোঁজ- খবর নিতেন। কোনো কাজ থাকলে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে
পালন করতেন।
একদিনের ঘটনা।
সালাবা (রা.) সাঈদ (রা.) এর বাড়ী আসলেন। খোঁজ খবর নিলেন। এ সময় বাড়ীতে সাঈদ (রা.) -এর সুন্দরী স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিল না। এ সুযোগে সালাবা (রা.) কে অভিশপ্ত শয়তান ফুসলাতে লাগল । বারবার ধোঁকা দিল। হযরত সালাবা (রা.) শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গেলেন। তিনি অগ্র-পশ্চাত না ভেবে পর্দা সরিয়ে ঘরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। অতঃপর সাঈদ (রা.)-এর স্ত্রীর হাত স্পর্শ করলেন।
এ অপ্রত্যাশিত অস্বাভাবিক আচরণে সাঈদ (রা.)-এর স্ত্রীর বুক থর থর করে কেঁপে উঠে। শিউরে উঠে তার শরীর। বিবর্ণ হয়ে উঠে মুখমণ্ডল। চোখ দু’টোতে ফুটে উঠে ভয়ার্ত ভাব। তিনি বিস্ময়ভরা কণ্ঠে
বলেন-
“হে আল্লাহর বান্দা! আপনার যে ভাই খোদার রাহে জিহাদে গিয়েছেন, আপনি কি তার আমানতে খেয়ানত করতে উদ্যত হয়েছেন ?” এতটুকু কথা সালাবা (রা.)-এর অন্তরে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু করল। একটা অভূতপূর্ব আলোড়ন দোলা দিয়ে গেল তার হৃদয় মনে। কেঁপে উঠল অন্তরাত্মা। তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারলেন।
ভুল বুঝতে পেরে তিনি এক মুহূর্ত কাল বিলম্ব করলেন না। সাথে সাথে ক্ষমা, ক্ষমা বলে চিৎকার করে সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন। বারবার প্রচণ্ড আওয়াজে বলতে লাগলেন-
দয়াবান।”
“ইলাহী! আমি পাপী। আমি গুনাহগার। কিন্তু তুমি ক্ষমাশীল
ঘটনার কয়েকদিন পর। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুক অভিযান শেষে সাহাবীদের নিয়ে মদীনায় তাশরীফ আনলেন তে তখন মদীনায় যারা ছিলেন তাদের সকলেই গাজী ভাইদের সংবর্ধনার জন্য এগিয়ে এলেন। কিন্তু ‘সালাবা (রা.)-কে কোথাও দেখা গেল না। তিনি ক্ষমা প্রাপ্তির আশায় পাগলের ন্যায় এদিক সেদিক উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরতে লাগলেন ।
সাঈদ (রা.) বাড়ি এসে সব কিছু শুনলেন। সালাবা (রা.)-এর উপর চরম অসন্তুষ্ট হলেন। কিন্তু যখন তিনি ক্ষমা প্রাপ্তির ব্যাপারে তার নজিরবিহীন অস্থিরতার কথা শুনলেন তখন তার রাগ পড়ে গেল। তিনি ভাবলেন, শয়তানের ধোঁকায় পড়েই সালাবা এমনটি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। সুতরাং এখন তার অনুসন্ধান করা দরকার।
সাঈদ (রা.) সালাবা (রা.)-কে এখানে সেখানে সর্বত্র খুঁজে ফিরলেন। অবশেষে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পেয়ে বললেন- ভাই সালাবা! তুমি আমার সঙ্গে চল। আমরা তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি ।
সালাবা (রা.) বললেন, না, আমি এভাবে যাব না। যদি তুমি আমার হাতকে ঘাড়ের সঙ্গে বেঁধে সেই রশি ধরে আমাকে একটি অপমানিত গোলামের ন্যায় টেনে নিয়ে যাও, তবেই আমি যাব, অন্যথায়
নয় ।
চল ।
: এরূপ করার কোনো প্রয়োজন নেই। তুমি আমার সাথে এমনি
: না, এভাবে আমি যাব না। যেতে পারি না। কারণ আমি যে মারাত্মক পাপ করেছি তার পরিণতি আমি দুনিয়াতেই ভোগ করতে চাই, আখিরাতে নয় ।
: মাফ করে দিলে তো সেই পাপের ফল ভোগ করার কোনো প্রয়োজন থাকে না ।
: তা অবশ্য ঠিক। কিন্তু আমি তোমার আমানতে হাত দিয়ে যে জঘন্য অপরাধ করেছি, তার অপমানজনক শাস্তি ভোগ না করলে আমার অস্থির মন কখনোই শান্ত হবে না। অতএব আমাকে নিতে চাইলে আমি যেভাবে বলেছি, সেভাবেই তোমাকে নিতে হবে।
সালাবা (রা.)-এর দৃঢ়তায় সাঈদ (রা.) বিপদে পড়লেন। শেষ পর্যন্ত অপারগ হয়ে তিনি তাই করলেন। সালাবা (রা.) হাত ঘাড়ের সাথে বাঁধা অবস্থায় সর্বপ্রথম হযরত উমর (রা.) এর কাছে পৌঁছলেন। বললেন-আমি এরূপ পাপ করেছি। আমার এ অন্যায়ের জন্য তওবার কোন ব্যবস্থা আছে কি?
ঘটনা শুনে উমর (রা.)-এর সুন্দর মুখমণ্ডল রাগে রক্তাক্ত হয়ে উঠে। উজ্জ্বল দীপ্ত চোখ দু’টোতে যেন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। অধর দংশন করেন তিনি। অবশেষে দাঁতে দাঁত পিষে বলেন, বেরিয়ে যাও এখান থেকে। আমার নিকট তোমার কোনো তওবার ব্যবস্থা নেই।
এরপর তারা হাজির হলেন হযরত আবূ বকর (রা.)-এর দরবারে। তাঁর নিকট সমস্ত ঘটনা খুলে বলার পর তওবার পন্থা বাতলানোর অনুরোধ করলে তিনিও তা প্রত্যাখ্যান করেন ।
সেখান থেকে নিরাশ হয়ে তারা হযরত আলী (রা.)-এর দরবারে পৌঁছলেন। কিন্তু তিনিও তাদেরকে নিরাশ করে ফিরিয়ে দিলেন। বললেন, আমার নিকট তোমার জন্য তওবার কোনো ব্যবস্থা নেই ।
তারপর সালাবা (রা.) এক বুক আশা নিয়ে দয়ার সাগর রাহমাতুল্লিল আলামীন রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে উপস্থিত হলেন। তিনি ভাই সাঈদকে সম্বোধন করে বললেন, ভাই সাঈদ। আশা করি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিরাশ করবেন না।
সেখানে যাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাবা (রা.)-এর মুখের দিকে স্থির দৃষ্টি মেলে তাকালেন। বললেন, সালাবা! তুমি তো আমাকে দোজখের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছ।
তখন সালাবা (রা.) বিনীত কণ্ঠে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোক। আমি আমার মুহাজির ভাইয়ের স্ত্রীর হস্ত স্পর্শ করেছি। এ জন্য আমি অনুতপ্ত। চরমভাবে লজ্জিত। আমি তওবা করতে চাই। আমার তওবার কোনো ব্যবস্থা আছে কি?
সালাবা (রা.)-এর গুরুতর অপরাধের কথা শুনে রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সীমাহীন বিস্মিত হলেন। তাঁর চোখে মুখে ফুটে উঠে ক্রুদ্ধভাব। তিনি কঠিন কণ্ঠে বললেন-সালাবা। এখান থেকে বেরিয়ে যাও। তোমার জন্য তওবা নেই ।
সর্বশেষ আশ্রয়স্থল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবার থেকে নিরাশ হয়ে সালাবা (রা.) আরও বেশি অস্থির হয়ে পড়লেন। মনের অস্থিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে মুখভাবে। এবার কি করবেন তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। চরম পর্যায়ের পেরেশান হয়ে কখনও মাথার চুল টানছেন, কখনো বা অধর দংশন করে চলছেন।
এ অবস্থায় চলে গেল বেশ সময়। অতঃপর এক পর্যায়ে তিনি কি যেন ভেবে পাহাড়ের দিকে দৌড়ে পালালেন। তারপর উচ্চঃস্বরে বলতে লাগলেন-
হে দয়াময় প্রভু। আমি ওমরের নিকট হাজির হয়েছি, তিনি আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি আবূ বকর ও আলীর নিকট উপস্থিত হয়েছি, তারাও আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সর্বশেষ আমি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে বড় আশা নিয়ে হাজির হয়েছি, কিন্তু তিনিও আমাকে নিরাশ করেছেন।
কিন্তু হে দীন দুনিয়ার প্রভু! তুমি আমার মালিক, আর আমি তোমার গোলাম। তোমার সুমহান সুউচ্চ দরবারে তোমার গোলাম হাজির হয়েছে। যদি তুমি আমাকে ক্ষমা কর, তবে আমার খুশির সীমা থাকবে না। আর যদি তুমিও আমাকে নিরাশ কর, তবে আমার ন্যায় হতভাগা আর কেউ নেই ।
এসব কথা বলে তিনি জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন এবং ছোট্ট শিশুটির মতো আকুলভাবে ডুকরে ডুকরে কেঁদে ফিরতেন।
একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে একজন ফেরেশ্তা হাজির হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ পাক আপনাকে জিজ্ঞেস করেছেন, এই বিশ্ব জগত ও সমগ্র মানব জাতিকে কি তিনি সৃষ্টি করেছেন না আপনি?
রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিঃসন্দেহে – সব কিছুর স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা। এরপর ফেরেশতা বললেন, আল্লাহ

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top