আসছে সাইক্লোন – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

আসছে সাইক্লোন – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৯৬

আসছে সাইক্লোন – বইটির এক ঝলকঃ

সাঁতরে ক্যাটামারানে ফিরছে মারভেল, টেনে আনছে মাছটাকে । গানটা পাবলো টিকালা-র হাতে ধরিয়ে দিল সে, ল্যাটিনোদের মধ্যে সেই সবচেয়ে লম্বা, যাকে লিডার বলে মনে হয়েছিল তার । লাইন টেনে মাছটাকে বোটে তুলল টিকালা ।
ল্যাটিনোদের আবার পানিতে ফিরে আসতে বলল মারভেল, কিন্তু তারা তেমন উৎসাহ দেখাল না । ‘সেক্ষেত্রে, আপনারা যদি কিছু মনে না করেন, ডিনারের জন্য আমি কয়েকটা মাছ ধরি।’
আরও প্রায় ঘণ্টাখানেক পানিতে থাকল মারভেল । রিফ যেখানে ভাঙা তার কিনারায় ডুব দিয়ে রেড স্ন্যাপার ধরছে । ফাঁকটা দিয়ে প্রচুর বড় মাছকে খোলা সাগরে বেরিয়ে যেতে দেখল সে ।
ডাইভ দেওয়ার ফাঁকে চার্টার পার্টিকে নিয়ে চিন্তা করছে মারভেল । পুরো তিনদিন রিফ এরিয়ার চারপাশে সময় কাটিয়েছে তারা, বসবাসযোগ্য প্রতিটি কি-র ফটো তুলেছে সম্ভাব্য সবগুলো কোণ থেকে, ব্যাঙ্কিং সেক্টরের আমলাদের একজন খসখস করে কী সব লিখেছে একটা লইয়ার্স প্যাডে ।
দুটোর বেশি বিয়ার খায়নি তারা কেউ, ভুলেও গলা চড়ায়নি, প্রতি সন্ধ্যায় মারভেলের গ্রিল করা মাছ খাওয়ার সময় প্রশংসা করেছে অকুণ্ঠচিত্তে ।
আজ লাঞ্চের সময় তাকে জানানো হয়েছে, তাদের রিসার্চ শেষ হয়েছে, তবে হাতে একটা দিন বেশি থাকায় সময়টা উপভোগ করছে তারা । তারপর পাঁচশো ডলারের আরও তিনটে কড়কড়ে নোট বের করে মারভেলের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে রডরি ।
নিতে রাজি হয়নি মারভেল, বলেছে বোটে আর কেউ থাকুক বা না থাকুক বিকেলটা রিফেই কাটাত – তাদের সঙ্গ পেয়ে খুশি সে ।
খুশি কি খুশি না, সেটা কোনও প্রসঙ্গ নয় । প্রসঙ্গ হলো, কাজ যদি সত্যি শেষ হয়ে গিয়ে থাকে, লোকগুলো এখনও তা হলে অপেক্ষা করছে কী কারণে? মারভেলের ধারণা, চার্টার শুরু হওয়ার পর থেকেই অপেক্ষা করছে তারা । কীসের জন্য?
দশ-বারোটা স্ন্যাপার ধরে নেটে ভরল মারভেল, ধীর ভঙ্গিতে সাঁতার কেটে গ্রাসিয়াসে ফিরে আসছে। সাগর এত শান্ত যে পালিশ করা চামড়ার মত চকচক করছে সারফেস ।
পোর্টসাইড রাডার-এ নেট বাঁধল মারভেল । স্পিয়ার গানটা নেওয়ার জন্য হাত বাড়াল মিশু রডরি । ওয়েটবেল্ট সহ সেটা তার হাতে ধরিয়ে দিল সে, ফ্লিপার আর মাস্ক খুলে ট্যাফরেইল-এর ওপারে ফেলল, তারপর উঠে পড়ল ককপিটে ।
মাথা ও গায়ের পানি মুছল মারভেল, আফটার লকারে ফিশিং গিয়ার রেখে আইসবক্স থেকে একটা ঠাণ্ডা বিয়ার নিল । পোর্ট ও স্টারবোর্ড ককপিট সিটে বসে আমলা দুজন চোখ বুজে ঝিমাচ্ছে । দুটো ডেক চেয়ারের একটায় আধ শোয়া ভঙ্গিতে কাত হয়ে আছে পাবলো টিকালা ।
কম্প্যানিয়নওয়ের দিকে পিঠ দিয়ে উল্টো করা একটা বালতিতে বসেছে রডরি । তার হাতে একটা পিস্তল বেরিয়ে এসেছে। একবার চোখ বুলিয়েই চিনতে পারল মারভেল, নাইনএমএম বেরেটা টেন-শট সেমি-অটোমেটিক ।
অস্ত্রটা তার দিকে তাক করা নয় । আসলে তাক করবার কোনও প্রয়োজনও নেই । মারভেল মনে মনে যেমন আন্দাজ করেছিল, রডরির তর্জনীর দাগ পিস্তলের ট্রিগার ও ট্রিগার গার্ড-এর কিনারার সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে।
ফায়ারিং রেঞ্জে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্র্যাকটিস করার ফলে ওই দাগ তৈরি হয়েছে । এই মুহূর্তে তার ঠোঁটে ক্ষীণ একটু হাসি লেগে রয়েছে, যেন এ-ধরনের একটা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে বলে খুবই বিব্রত বোধ করছে সে ।
‘বিয়ার চলবে?’ একটা ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করল মারভেল । পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ভয় পেয়েছে সে, অবাকও কম হয়নি । কথা বলছে একজন
‘ঠিক এখনই নয়,’ জবাব দিল রডরি প্রফেশনাল, এর মধ্যে ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই ।
ট্যাফরেইল-এ বসল মারভেল। হাতের বিয়ার ক্যানে চুমুক দেওয়ার আগে টিকালার উদ্দেশে সেটা একটু উঁচু করে বলল, ‘স্যালু ।’ জোর করে একটু হাসল সে। ‘জানতে পারি কি ব্যাপার? হাতে অস্ত্র কেন?’
‘প্রয়োজন হতে পারে,’ বলল রডরি ।
নার্ভাস হাসি দেখা গেল মারভেলের ঠোঁটে। ‘মানে?’ ও ভাবছে, বোট চালানোয় ওদের যে অভিজ্ঞতা আমি গুলি খেলে বাকি জীবন কাউকে আর সাগর থেকে বাড়ি ফিরতে হবে না ।
সদা প্রস্তুত রুমালটা নাকে চেপে ধরল টিকালা । ‘আমরা আপনার কাছ থেকে কিছু সার্ভিস চাই ।’
“তা হলে পিস্তলের বদলে ডলার তাক করুন,’ বলল মারভেল । “যত বেশি পরিমাণে তাক করবেন, ততই ভাল হবে আমার সার্ভিস ।’
সকৌতুক হাসির আওয়াজ রুমালে চাপা দিয়ে টিকালা বলল, “পিস্তলটা শুধু আপনাকে বোঝাবার জন্যে যে আমরা সিরিয়াস ।’
‘মনে করুন আমি বুঝে গেছি,’ বলল মারভেল, দেখল এক ঝাঁক সি-গাল ডানা ঝাপটে মেইনল্যান্ডের দিকে উড়ে যাচ্ছে । মনে পড়ল, রিফ-এর ফাঁক গলে বড় আকৃতির মাছগুলোকে খোলা সাগরে বেরিয়ে যেতে দেখেছে খানিক আগে। জিভের ডগা বের করল, যেন ঠোঁট থেকে বিয়ার চাটছে, আসলে বাতাসের স্পর্শ নিতে চাইছে সে । কিন্তু প্রকৃতি যেন নিঃশ্বাস ফেলতেও ভুলে গেছে…
‘আমরা একটা জাহাজের সঙ্গে দেখা করতে চাই,’ বলল পাবলো টিকালা ।
‘সেই রকমই একটা সন্দেহ উঁকি দিয়েছে আমার মনে । রডরি যখন বোটে উঠে লোরান’স রেইডার নেভিগেশনাল ইকুইপমেন্ট কাজ করে কি না চেক করে দেখলেন, তখনই । আপনারা চলে যাচ্ছেন, নাকি জাহাজ থেকে কাউকে রিসিভ করবেন?
নাক টানল টিকালা । ‘রিসিভ করব । বিশজন লোক ।’ দেড় টন । ‘লাগেজ খুব বেশি?
‘দু’হাজার একশো কিলো ।’
মারভেল বলল, “বাতাস বাড়ছে, লোক এটাতেই নেয়া যাবে, কিন্তু কার্গো যোডিয়াকে তুলতে হবে। বিশ ফুটি ইনফ্লেইটেবল অনায়াসে ভারটা বইতে পারবে । রুমালটা সাবধানে চার ভাঁজ করে নিজের চেয়ারের পাশে ডেকের উপর রাখল টিকালা । হাত দুটোকে পরস্পরের সঙ্গে সমান্তরাল করে দুই হাঁটুর উপর ফিরিয়ে নিল, লালচে-বেগুনি চোখের পাতার ভিতর দিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে ওগুলোকে – যেন নিঃসন্দেহ হতে চাইছে ওগুলো ঠিক নিজের কি না, ভাবল মারভেল । তার চোখের পাতা মুহূর্তের জন্য উঁচু হলো । মারভেল অনুভব করল, নিজের হাতের মত করেই তাকে পরীক্ষা করছে টিকালা লোকটার কাছে ও স্রেফ একটা হাতিয়ার, তার বেশি কিছু না, কিছুক্ষণের জন্য কাজ দেবে, কাজ হয়ে গেলে বিনা দ্বিধায় ফেলে দিতে হবে । এটা মৃত্যুদণ্ড, নিশ্চিতভাবে জানে মারভেল, দণ্ডটা এমন একজন দিচ্ছে যে বুদ্ধিমান, এবং মানসিক রোগী ।
একজন খুনি ।
খুনিটা এখন মারভেলের ব্যাখ্যা শোনার অপেক্ষায় আছে । ‘ক্যাটামারান তৈরি করা হয় মাল টানার জন্যে নয়, স্পিড পাবার জন্যে,’ বলল মারভেল ।
আসলেও এটা বোঝা বহনের উপযোগী নয় । দমকা হাওয়ার ধাক্কায় যে-কোনও সাধারণ ইয়ট কাত হয়ে যাবে, ফলে ওটার পাল থেকে বেরিয়ে যাবে অনেকটা বাতাস। ক্যাটামারানের বেলায় ব্যাপারটা উল্টো, বাতাস পাওয়ামাত্র দে ছুট, সেই সঙ্গে দমকা তীব্রতাও কমে যাবে ।
‘বেশি বোঝা তোলা হলে জোরালো বাতাসের প্রথম ধাক্কাটাই ভেঙে নিয়ে যাবে মাস্তুল,’ সাবধান করার ভঙ্গিতে বলল মারভেল । ‘আমরা যোডিয়াক টো করব, ম্যাচেটি হাতে রডরিকে বসিয়ে রাখব ট্যাফরেইল-এ । দমকা বাতাস লাগা মাত্র ঘ্যাচ করে টো-লাইন কেটে দেবে সে।’
কল্পনায় ছবিটা দেখতে পেয়ে হেসে উঠল রডরি ।
‘কী হলো ব্যাপারটা?’ ঠাণ্ডা সুরে জিজ্ঞেস করল টিকালা । ‘আমরা কি আমাদের কার্গো খোয়ালাম?’
মাথা নাড়ল মারভেল । বলল, ‘মারলিন রড-এর সঙ্গে এক হাজার মিটার নাইলন ফিশিং লাইন জড়ানো আছে, ব্রেকিং স্ট্রেইন তিনশো কিলো । ফিরে এসে যোডিয়াক নিয়ে যাব আবার।’
‘এতই সহজ, ক্যাপিটানো?’
বিয়ার ক্যানটা উঁচু করল মারভেল । ‘শুধু সহজ নয়, এতে খরচও অনেক কম পড়বে আপনাদের।’

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top