আধার রাতের মুসাফির – নসীম হেজাযী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ আব্দুল হক
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৩৯
আধার রাতের মুসাফির – বইটির এক ঝলকঃ
পথের পাশে এক পুরনো বাড়ীতে প্রবেশ করল সালমান। গ্রানাডা এখনো কয়েক ক্রোশ দূরে। সড়কের দু’পাশের অধিকাংশ বাড়ীই অনাবাদী। ভাঙ্গা। দু’একটা বাড়ীতে মাত্র মানুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।
বাঁয়ে ছাদ ধ্বসা মসজিদ। পাশেই খচ্চরের গাড়ীতে শুকনো ঘাস ভরছিল দু’ব্যক্তি । গাড়োয়ানের বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। ডান দিকে একটা বড় বাড়ীর চার দেয়াল। স্থানে স্থানে ভাঙ্গা। হাবেলীর সামনে পৌঁছল সালমান। হঠাৎ লাঠি ভর দিয়ে এক বুড়ো বেরিয়ে আচানক ঘোড়ার সামনে পড়ে গেল। ঘোড়ার গতি ছিল মন্থর। বল্গা টেনে তাকে ডানে সরিয়ে নিল সালমান। কিন্তু না এগিয়ে পিছু সরতে গেল বুড়ো। ফলে ঘোড়ার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল নীচে। লাফিয়ে ঘোড়া থেকে নামল সালমান। তাকে মাটি থেকে তুলতে তুলতে বললঃ ‘মাফ করুন। চোট লাগেনি তো? আমি দারুণ লজ্জিত।’
ভেতর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এল এক যুবক। রেগে বললঃ ‘ঘোড়া ঢালনা শিখতে হলে খোলা মাঠ দরকার ছিল। ঘোড়ায় চড়লে চোখ-কান খোলা রাখা উচিৎ।’
বুড়ো বললঃ ‘মাসুদ, তুমি বড় আহম্মক। আমার কিছুই হয়নি। আসলে দোষ ওর নয়, আমার।’
হাবেলী থেকে বেরিয়ে এল এক বালিকা। বুড়োর হাত ধরে বললঃ “কি হয়েছে চাচাজান!’
: ‘কিছু নয় বেটি।’
বালিকার বয়স দশের মত। হালকা-পাতলা গড়ন। দেখলেই বুঝা যায়, এর ওপর দিয়ে অতীতে অনেক ঝড় বয়ে গেছ। সালমানের দিকে তাকিয়ে ও বললঃ ‘আপনি কি গ্রানাডা থেকে এসেছেন?
: ‘না, ওখানে যাচ্ছি।’
: ‘মাসুদ।’ সালমান বলল। ‘ভাই, হঠাৎ তিনি ঘোড়ার সামনে পড়ে গিয়েছিলেন। চেষ্টা করেও তাকে রক্ষা করতে পারিনি বলে দুঃখিত।
: ‘প্রথমটায় আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। আমায় ক্ষমা করুন।’
সালমানের ঘোড়া ছিল ঘামে ভেজা। ক্লান্ত। মাসুদ তার বলগা ধরে বললঃ মনে হয় আপনার ঘোড়া তৃষ্ণার্ত। অনুমতি পেলে পানি পান করিয়ে নিয়ে আসি।’
: ‘বহুত আচ্ছা। একটু তাড়াতাড়ি ফিরবেন। আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে।’
: ‘এক্ষুণি ফিরছি।’
ঘোড়া নিয়ে মসজিদের কুয়ার দিকে চলে গেল সে।
ঃ ‘সম্ভবত আপনি অনেক দূর থেকে এসেছেন?’ মেয়েটি বলল । ‘হ্যাঁ।’
: ‘আপনি তো নাস্তাও করেননি। আমাদের ঘরে খানা প্রকৃত। আসুন।’
ঃ ‘শুকরিয়া। আমার খুব তাড়া।
বুড়ো বললেনঃ ‘চলো বেটা। গায়ের সর্দারের মেয়ে তোমায় দাওয়াত করেছে। লড়াইয়ের পর এ ভাঙ্গা বাড়ীতে তুমিই প্রথম মেহমান। আসমাকে নিরাশ করো না।’
স্নেহ ভরে মেয়েটির মাথায় হাত বুলিয়ে সালমান বলল: ‘আমার ভাড়া না থাকলে তোমার দাওয়াত ফিরিয়ে দিতাম না। তোমার আব্বাকে আমার সালাম দিয়ে বলবে সময় পেলে ফিরতি পথে আমি খানা খেয়ে যাব।’
: ‘ওর আব্বা শহীদ হয়ে গেছেন।’ বলল বুড়ো।
আসমার দিকে চাইল সালমান। অশ্রুতে টলমল করছিল তার চোখ দুটো।
বুড়ো বললেনঃ ‘যুদ্ধের সময় এ গ্রাম বিরান হয়ে গেছে। মুনীর বিবি বাচ্চাদের আন্দারাস পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। গেল হপ্তায় আমরা এখানে এসেছি। কয়েকজন আমাদের পূর্বেও এসেছে। আবার লড়াই শুরু না হলে হয় তো অল্প ক’দিনেই গ্রাম আবাদ হয়ে যাবে।’
ফ্রকে চোখ মুছতে মুছতে আসমা বললঃ ‘চাচা, যুদ্ধ আবার হবে। আম্মাজান বলছি- লেন, এবার আন্দারাস না গিয়ে গ্রানাডায়ই থাকবেন।’
ঘোড়াকে পানি খাইয়ে ফিরে এল মাসুদ। বললঃ ‘জনাব, ঘোড়াটা দারুণ তৃষ্ণার্ত ছিল। জানোয়ারের প্রতি একটু খেয়াল রাখবেন।’
তার হাত থেকে বলগা নিয়ে আসমার দিকে ফিরে সালমান বললঃ ‘কথা দিচ্ছি আসমা, সুযোগ পেলে তোমার সাথে দেখা করেই যাব।’
: ‘কবে আসবেন?’
: ‘গ্রানাডায় খুব বেশী কাজ নেই। আজও ফিরে আসতে পারি।’
: ‘আপনি কোত্থেকে এসেছেন?’
: ‘অনেক দূর থেকে।’ ঘোড়ায় সওয়ার হল সালমান।
ঃ ‘একটু অপেক্ষা করুন, আমি এখনি আসছি।’ বলেই ভেতরে ছুটে গেল সে। চঞ্চল হয়ে সালমান চাইতে লাগল এদিক ওদিক।
বুড়ো বললঃ ‘এ বালিকার জন্য হলেও আপনাকে অবশ্যই আসতে হবে। এখন তো ওর অনেকটা সয়ে গেছে। আন্দারাসে তার পিতার শাহাদাতের সংবাদ শুনে অবস্থা এমন হয়েছিল যে, কোন সশস্ত্র সওয়ার দেখলেই পিতার বন্ধু মনে করত।’
: ‘গ্রানাডায় কোন বন্ধুর বাড়ী উঠবেন, না সরাইখানায় থাকবেন?’ প্রশ্ন করল বুড়ো।
: ‘আমি জানি না। অবস্থা হিসেবে যা করার করব। হয় তো থাকতেও হবে না।’
: ‘আমি জিজ্ঞেস করছি কারণ, ওখানে ঘোড়ার খাদ্যের তীব্র সংকট। আপনার ঘোড়া ক্ষুধার্ত রাখার মত নয়। আমাদের সরাইখানায় থাকতে চাইলে আপনার কোন কষ্ট হবে না। এখানে ঘাস কিনতে এসেছিলাম আমি।’
: শুকরিয়া। গ্রানাডায় অবস্থান করলে আপনাদের ওখানেই থাকব। কোথায় আপনার সরাইখানা।’
: ‘দক্ষিণ ফটক দিয়ে ঢুকে সোজা এগিয়ে যাবেন। একটু এগুলেই বাঁয়ে দেখবেন সরাইখানার দরজা। মালিকের নাম আবদুল মান্নান। আপনার কাউকে জিজ্ঞেসও করতে হবে না। সরাইয়ের দরজা এত বড়, নির্বঞ্চাটে টাংগা যাওয়া আসা করতে পারে : সড়কের ওধারে গোসলখানা। কয়েক কদম পেরুলেই বিরাট চক। আমার নাম ওসমান।’
দৌড়াতে দৌড়াতে ফিরে এল আসমা। সালমানের হাতে দুটো আপেল দিয়ে বললঃ ‘আমাদের বিরান হয়ে যাওয়া বাগানে কতগুলি আপেল খুঁজে পেয়েছি। আগে এলে ব্যাগ বোঝাই করে দিতে পারতাম। আম্মাজান সবগুলো বেঁচে দিয়েছেন। এ দু’টো মাত্ৰ বাকী ছিল।’
সালমান বিমূঢ়ের মত বালিকার দিকে তাকাল। ওর হাত থেকে আপেল দু’টি নিয়ে আঘাত করল ঘোড়ার পিঠে। কিছুক্ষণ এ নিষ্পাপ বালিকার মুখচ্ছবি ঘুরতে লাগল তার চোখের সামনে। যার চেহারা স্পেনের আলো ঝলমল অতীত আর আঁধার ভবিষ্যতের সাক্ষ্য বহন করছিল।
সালমান যখন শহরের ফটকে পৌঁছল, ভেতরে যাচ্ছিল একটা টাংগা। তার পেছনে ঘাস, লাকড়ি এবং শস্য ভর্তি গাড়ীর ভীড়। টাংগার পেছনের গাড়ীগুলো সামনে এগুতেই নেজা দেখিয়ে গাড়োয়ানকে থামিয়ে দিল পাহারাদার।
ডিমের ঝুড়ি মাথায় এক ব্যক্তি এগোনোর চেষ্টা করল। কিন্তু পাহারাদার তাকে ধাক্কা দিয়ে চিৎ করে ফেলে দিল। গাধা রেখে ছুটে এল এক ব্যক্তি। ডিমওয়ালাকে মাটি থেকে তুলে পাহারাদারের উপর ফেটে পড়ল। ‘এক দুর্বল ব্যক্তির সাথে শক্তি পরীক্ষা করতে তোমার লজ্জা আসা উচিৎ ছিল।’
তার দেখাদেখি অন্যরাও যোগ দিল তার সাথে। ডিমওয়ালা টুকরি নিয়ে কয়েক কদম পিছনে সরে পাহারাদারকে এলোপাথাড়ি গালি দিতে লাগল। একটু দূরে ঘোড়া থামাল সালমান। পাড়োয়ানকে হাঙ্গামার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বললঃ ‘এ পাহারাদার অত্যন্ত জালেম । ইচ্ছে হলেই ফটক বন্ধ করে দেয়। আমরা ঘন্টা খানেক এখানে দাঁড়িয়ে আছি । এইমাত্র এক আমীরের গাড়ী এলে দরজা খুলে দিয়েছিল। এখন আবার বন্ধ করে দিচ্ছে। ফটকের দিকে চাইল সালমান। কপাটের পাল্লা ঠেলছিল দু’জন সিপাই। তাড়াতাড়ি ঘোড়া হাঁকিয়ে দিল সে। দাঁড়িয়ে থাকা পাহারাদাররা চিৎকার দিয়ে সরে গেল ডানে বাঁয়ে। আর দু’জন নেজা নিয়ে ছুটল তার পিছু পিছু। একবার মাত্র পিছন ফিরে চাইল সালমান। এরপর হাওয়ার তালে উড়ে চলল তার ঘোড়া।
খানিক পর বাঁয়ে দেখা গেল প্রশস্ত দেউড়ি। ঘোড়া থামাল সে। চকিতে পিছনের দিকে তাকিয়ে বাগ ঘুরিয়ে ঢুকে পড়ল বাড়ীর চওড়া উঠানে। মাঝ বয়েসী এক লোক কুরসীতে বসা। ছিমছাম দেহের গড়ন। তার নিকটে এসেই ঘোড়া থেকে নামল সাল- মান। বারান্দা থেকে এক নফর এসে বলগা নিয়ে নিল তার হাত থেকে।
ঃ ‘এটা কি আবদুল মান্নানের সরাইখানা?”
‘জ্বী হ্যাঁ।’ নফর বলল।
: ‘তিনি কোথায়?’
সুদর্শন লোকটি দাঁড়িয়ে বললঃ ‘বলুন, আমিই আবদুল মান্নান।’
ঃ ‘ওসমানের কাছে আপনার ঠিকানা পেয়েছি।’ ঘাড় ফিরিয়ে দরজার দিকে চাইল সালমান। ‘পথের এক বস্তিতে আমাদের সাক্ষাৎ। একটা বিশেষ কাজে শহরে এসেছি আমি। ঘোড়াটা ক্লান্ত। এখানেই তাকে রেখে যেতে চাই।’
নফরকে আবদুল মান্নান বললঃ ‘ঘোড়া আস্তাবলে নিয়ে যাও।’
ঘোড়া নিয়ে হাঁটা দিল নফর। সালমান ফটকের দিকে এগিয়ে যেতেই আবদুল মান্নান বললঃ ‘দাড়ান।
সালমান দাঁড়িয়ে চঞ্চল হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইল।
: ‘দেখুন আমার খুব ভাড়া।’
আবদুল মান্নান এগিয়ে এসে তার সাথে ইটিতে হাঁটতে বললঃ ‘আপনাকে বিরক্ত করছি বলে দুঃখিত। আপনার কোন বিপদ এলে অথবা কেউ আপনার পিছু নিয়ে থাকলে কোথাও পালানোর দরকার নেই। আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি।’
ঃ ‘ফটকের পাহারাদার সম্ভবত আমার পিছু নিয়েছে। অবশ্য ওদের অনেক পেছনে ছেড়ে এসেছি। কোন সওয়ারী না পেয়ে থাকলে আপাতত কোন ভয় নেই। কাজ শেষ করতে পারলে ওরা আমার সাথে কি ব্যবহার করবে সে ভয় করি না।’
এ কোন সমস্যাই নয়। ওরা এ পর্যন্ত আসতে সাহস পাবে না। আজ শহরের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে হুকুমতের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিলে চারপাশের লোক আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কোথায় যাবেন আপনি!’
: ‘আলবিসিন পর্যন্ত।’
: ‘সামনের গলিতে টাংগা পাবেন।’
সড়কে গিয়ে সালমান বললঃ ‘আপনার শোকর গোজারী করছি। এবার আমায় অনুমতি দিন।’
মোসাফেহা করে আবদুল মান্নান জিজ্ঞেস করলোঃ ‘ওসমান কবে আসবে আপনাকে বলেছে কিছু?
: ওকে আমি আসতে প্রকৃত দেখেছি। তবে পাহারাদাররা দরজা বন্ধ রাখলে হয়তো তাকে বাইরেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ঃ ‘আমি যাচ্ছি, আপনি ফিরে এলে অভ্যর্থনার জন্য তাকেই পাবেন।’
চৌরাস্তায় পৌঁছে একটা মিছিল দেখতে পেল সালমান। মিছিলের সামনে এক ব্যক্তি নাকাড়া বাজিয়ে বলছেঃ ‘গ্রানাডার স্বাধীনতা প্রিয় বন্ধুরা! হামিদ বিন জোহরা তোমাদের জন্য জিন্দেগীর এক নতুন পয়গাম নিয়ে এসেছেন। তিনি গ্রানাডা পৌঁছে গেছেন। আজ মাগরিবের নামাজ শেষে আলবিসিনের জামে মসজিদে তিনি বক্তৃতা করবেন। গাদ্দারদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে চাইলে তার ঝান্ডার নীচে সমবেত হোন।’
এ ঘোষণা শুনে হামিদ বিন জোহরার নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হল সালমান । টাংগায় সওয়ার হয়ে আলবিসিনের পথ ধরল সে।
মাদ্রাসার দরজায় এসে থামল টাংগা। কোচওয়ানের হাতে এক দীনার দিয়ে বন্ধ দরজার দিকে এগোল সালমান। কয়েকবার ভারী কবাটে আঘাত করে ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করল ও। মনে হল ভেতর থেকে শেকল টানা। দরজার কড়া নেড়ে ও ডাকতে লাগলঃ ‘কেউ আছেন? ভেতরে আছেন কেউ? দরজা খুলুন।
পাশে দাঁড়িয়েছিল কতক ছাত্র এবং তিনজন সশস্ত্র যুবক। ওদের একজন বললঃ ভেতরে কেউ নেই। মাদ্রাসা ছুটি হয়ে গেছে।
: ‘কোচওয়ান,’ সালমান বলল, ‘তাঁর বাড়ীর দরজা পেছনের গলিতে। ওখানে চাকর-নফর পাব নিশ্চয়ই!”
: ‘চলুন, আপনাকে পৌঁছে দিয়ে আসি।’
টাংগায় চড়ল সালমান। মসজিদের ওপাশ ঘুরে ওরা পৌঁছল পেছনের সংকীর্ণ গলিতে। কোচওয়ান বললঃ ‘সামনের সংকীর্ণ গলিতে টাংগা ঢুকবে না। গিয়ে দেখুন, হয় তো মাদ্রাসার মত বাড়ীও শূন্য। তাহলে তো আপনাকে ফিরে যেতে হবে। আসা যাওয়ার ভাড়ার চেয়ে বেশীই আমায় দিয়েছেন। আমি খুশী হয়েই আপনার অপেক্ষা
করব।’
ঃ ‘না, তুমি যাও। আমার কিছু দেরী হতে পারে।’ বলেই হাঁটা দিল সালমান।
টাংগা ঘুরাচ্ছিল কোচওয়ান। মাদ্রাসার সামনের লোকগুলো এসে ঘিরে ধরল তাকে। বলিষ্ঠ চেহারার এক নওজোয়ান বললঃ ‘কে এই ব্যক্তি?’
: ‘জানি না। সম্ভবত বাইরে থেকে এসেছে। আলবিসিনের পথ চিনে না সে। মনে হয় শরীফ ঘরের সন্তান। আমায় এক দীনার দিয়েছে।’
ঃ ও কাকে খুঁজছে?”
ঃ “তাও জানি না । প্রথম বলেছিল আলবিসিনের জামে মসজিদে চলো। পথে এসে
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!