হৃদয়স্পর্শী শিক্ষণীয় কাহিনী – মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

হৃদয়স্পর্শী শিক্ষণীয় কাহিনী – মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১০৯

হৃদয়স্পর্শী শিক্ষণীয় কাহিনী – বইটির এক ঝলকঃ

লাগাতেন না। উপরন্ত তিনি অত্যন্ত নম্র স্বভাবের লোক ছিলেন। কখনো কারো মনে কষ্ট দেওয়ার কল্পনাও করতে পারতেন না।
একবারের ঘটনা।
বাদশাহ নাসীরুদ্দীন আপন কক্ষে বসে আছেন। কি যেন চিন্তা করছেন আপন মনে। হঠাৎ বাইরে কড়া নাড়ার শব্দ হল। সেই সাথে সাক্ষাত লাভের সবিনয় প্রার্থনা। বাদশাহ জিজ্ঞেস করলেন-
ঃ কে?
ঃ আমি আপনার অমুক সহকর্মী। আপনার সাথে একটু সাক্ষাতের প্রয়োজন ।
বাদশাহ উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলেন। তারপর লোকটিকে স্বাগত জানিয়ে ভিতরে নিয়ে এলেন।
আগন্তুক লোকটি বসতেই দেখল, বাদশাহের সামনে তার স্বহস্তে লিখা একটি কিতাব। লোকটি কিতাবখানা হাতে নিল। তারপর কথার ফাঁকে ফাঁকে পাতা উল্টিয়ে একটু একটু পড়তে লাগল। এভাবে অতিবাহিত হল অনেক সময়। এক পর্যায়ে সে কিতাবের মধ্যে কলমী কিছু ভুলের কথা বলে বাদশাহকে সেগুলো শুধরে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করল। বাদশাহ নাসীরুদ্দীন বিলম্ব করলেন না। সাথে সাথে কলম হাতে নিয়ে চিহ্নিত স্থানগুলো সংশোধন করে নিলেন। তাতে লোকটি বেশ খুশি হল। তার চোখ মুখ আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সমস্ত হৃদয়জুড়ে বয়ে গেল শান্তির সুবাতাস ।
একটু পর। লোকটি আপন কাজ শেষ করে চলে গেল। বাদশাহ নাসীরুদ্দীন আবার হাতে কলম নিলেন। তারপর সেই সংশোধিত স্থানগুলো পূর্বের ন্যায় করে নিলেন।
বাদশাহকে এমনটি করতে দেখে তার উজির যারপর নাই বিস্মিত হলেন। অনেক চিন্তা ভাবনার পরও তিনি বাদশাহের এহেন কর্মের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারলেন না। অবশেষে কৌতূহল দমন করতে না পেরে জিজ্ঞেস করলেন-
ঃ জাহাপনা! আপনি একি করলেন? তার কথামত সংশোধন করলেন। সে চলে যাওয়ার পর আবার তা কেটে পূর্বের ন্যায় করে নিলেন।
: তুমি কি কিছুই বুঝতে পার নি?
ঃ না, আমি কিছুই বুঝতে পারি নি। আমার কাছে সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই একটা রহস্য বলে মনে হচ্ছে। দয়া করে এই রহস্যের জট খুলে অধমকে কৌতূহলমুক্ত করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।
: উজীর সাহেব! এখানে রহস্যের কিছুই নেই। আসল কথা হল, তার চিহ্নিত স্থানগুলোতে বাস্তবে কোন ভুল ছিল না। কিন্তু যে ব্যক্তি আমার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আমার ভুল সম্পর্কে আমাকে অবহিত করে, তার মনে আমি কি করে ব্যথা দেই? তাই প্রকৃত পক্ষে সেখানে কোন ভুল যদিও ছিল না, তবুও তার সন্তুষ্টির জন্যেই আমি এমনটি করেছি।
সম্মানিত পাঠক ভাইগণ! একটু খেয়াল করে দেখেছেন কি বাদশাহ নাসীরুদ্দীন কতটা মহানুভব ছিলেন? একজন মানুষ মনে একটু ব্যথা পেতে পারে কেবল এই আশংকায় তিনি শুদ্ধকে ভুল বানিয়ে আবার শুদ্ধ করে লিখেছেন। অথচ আমরা মানুষের মনে অহরহ কষ্ট দিয়ে চলছি। কখনো চিন্তা করে দেখছি না যে, মানুষের মনে আঘাত দেওয়া, তার মন ভেঙ্গে ফেলা কত ভয়ানক ও জঘন্য পাপ। এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
প্রকৃত মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে মুসলমানগণ নিরাপদে থাকে। অর্থাৎ যার কথাবার্তা ও আচার আচরণ দ্বারা অন্য কেউ কষ্ট পায় না সেই খাঁটি মুসলমান- আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তাই আসুন মানব হৃদয়ের মুল্য বুঝি এবং এ মুহূর্ত থেকে পাক্কা এরাদা করি যে, আমি আমার মুখ ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা কাউকেই কষ্ট দিব না। কাউকে কটু কথা বলব না। গীবত করব না। চোগলখুরী করব না। গালি দিব না। ঝগড়া করব না। কারো উপর জুলুম করব না। বরং সবার সাথে হাসি মুখে সদাচরণ করে যাব।
[এরূপ আরেকটি ঘটনা পাবেন যে গল্পে হৃদয় গলে (১ম খন্ড) পৃষ্ঠা-১১], প্রথম ঘটনা : উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাইখুল হাদীস হযরত মাওলানা যাকারিয়া (রহ.) ‘মউত কি ইয়াদ’ নামক গ্রন্থে একটি চমৎকার ঘটনা বর্ণনা করেছেন। আমার মনে হয় সর্ব শ্রেণীর মানুষের শিক্ষা গ্রহণের জন্য এই একটি ঘটনাই যথেষ্ট। (হৃদয় গলে সিরিজের পাঠক ভাই-বোনদের জন্য এবার এ ঘটনাটিসহ আরও কয়েকটি প্রয়োজনীয় কথা লিখে দিলাম। আশা করি এ থেকে সকলেই উপকৃত হব।)
অঢেল সম্পদের মালিক এক ধনাঢ্য ব্যক্তি। টাকা-পয়সা, ধন-ঐশ্বর্য কোনো কিছুর অভাব নেই। আরাম আয়েশের এমন কোন বস্তু নেই যা তার সংগ্রহে ছিল না। বিশাল বিত্তশালী হওয়ার কারণে যখন যা মনে চাইত তাই করত সে। দুর্বল লোকেরা তার ভয়ে থর থর করে কাঁপত।
লোকটির চাকর নওকরের যেমন অভাব নেই, তেমনি অভাব নেই বন্ধু-বান্ধবেরও। অবৈধ পয়সা দিয়ে ইতোমধ্যেই সে বেশ কয়েকটি আলীশান প্রাসাদ নির্মাণ করেছে। প্রাসাদের ভিতর বাইরের কারুকার্য সকলকেই মুগ্ধ করে। সর্বশেষ নির্মিত প্রাসাদটি ছিল সবচেয়ে বড় ও অত্যধিক বিলাস বহুল। সম্মুখে রয়েছে জানা অজানা রং বেরংয়ের ফুলের বাগান। এ প্রাসাদটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণরূপে শেষ করে একদিন সে বন্ধু- বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করল। তৈরি করল নানা রকমের মুখ রোচক খাবার। আর সবশেষে রাখল সুন্দরী কণ্ঠশিল্পীদের নাচ-গানসহ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর বিভিন্ন পর্বে দেশী-বিদেশী মদ্য পানের আয়োজন তো আছেই। নির্ধারিত সময়ে খাওয়া দাওয়া শুরু হল। বিলাসী ধনকুবের স্বর্ণ নির্মিত সিংহাসনে উপবিষ্ট। মনে তার অসীম আত্মতৃপ্তি । অহংকার সীমাহীন। উঁচু সিংহাসনে বসে সবকিছু দেখাশুনা করছে। এক সময় খাওয়া দাওয়ার পালা
শেষ হল ।
সিংহাসনে বসে আরাম প্রিয় লোকটি একবার এদিকে আরেকবার ওদিকে তাকায়। তার চোখের ইশারায় চাকর নওকররা নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। কেউ তাকে বাতাস করছে। কেউ মেহমানদের খেদমত করছে, আবার কেউ বা তার হাত পা দাবিয়ে দিচ্ছে। এক কথায়, তার ইঙ্গিত আর অঙ্গুলি হেলনে উঠা বসা করছে শত শত আদম সন্তান ।
এ চমকপ্রদ দৃশ্য দেখে বিলাসী লোকটির হৃদয় আনন্দে আপ্লুত হয়। তার সমস্ত অন্তর জুড়ে বইতে থাকে খুশির বন্যা। গর্বে ফুলে উঠে বুকের পাটা। ভাবে সে, এ জীবনে যত সম্পদ উপার্জন করেছি দীর্ঘকাল যাবত আমার কোন ভাবনারই প্রয়োজন হবে না। ওহ, আমার মতো সম্পদশালী ক’জন আছে!
বিলাস প্রিয় অত্যাচারী লোকটি যখন চরম উদ্ধত ভাব নিয়ে এসব কথা চিন্তা করছিল ঠিক তখনই প্রাসাদের প্রধান ফটকে বিকট এক আওয়াজ হল। এ আওয়াজ উপস্থিত সকলেই শুনতে পেল। কিন্তু খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে গৃহকর্তা সহ সবাই এতক্ষণে সুন্দরী ললনাদের সুমধুর কন্ঠের গান আর নৃত্যের মধ্যে এতটাই বিভোর হয়ে পড়েছিল যে, কোথায় কি আওয়াজ হল সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করার মত মানসিকতা তাদের ছিল না। শুধু প্রহরীদের একজন এগিয়ে গিয়ে দেখল, ছিন্ন বস্ত্র পরিহিত একজন জীর্ণ শীর্ণ ভিক্ষুক ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রহরী ভিক্ষুককে আচ্ছামত তিরস্কার করে বলল, এতবড় আওয়াজ কেন করলে? তুমি কি জান না যে, আজ এ বাড়িতে বিশেষ অনুষ্ঠান আছে? বহু দূর দূরান্ত থেকে মেহমান এসেছে? ডিস্টার্ব করার অন্য কোন সময় পেলে না বুঝি? যাও! এখুনি এখান থেকে সরে যাও। নইলে অপমান করে তাড়িয়ে দিতে বাধ্য হব। প্রহরীর কথায় ভিক্ষুক মোটেও বিরক্ত হল না। সে বিনয়ের সাথে বলল-
ঃ তোমার গৃহকর্তাকে আমার নিকট পাঠিয়ে দাও। তার সাথে আমার কিছু জরুরি কথা আছে ।
ভিক্ষুকের কথা শুনে চাকর অবাক না হয়ে পারল না। বিস্ময় বিস্ফারিত চোখে কিছুক্ষণ সে ভিক্ষুকের দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর বিদ্রূপের হাসি হেসে বলল-
ঃ তুমি কি চেন আমার গৃহকর্তা কে, কি তার পরিচয়? যার হাতের ইশারায় হাজারো লোক উঠা-বসা করে, আর তোমার মতো ভিক্ষুক কিনা এসেছো তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে! হাসি পায় তোমার আচরণে।
এবার শান্ত ভিক্ষুক আরো শান্ত হল। সে প্রহরীর তিরস্কার গায়ে না মেখে আগের মতোই নিরুত্তাপ কণ্ঠে বলল-
ঃ তোমাকে যা বলি তা শোন। আমি তোমার মনিবের সাথে দুটি কথা বলতে চাই- এ সংবাদটুকু তুমি তার কাছে পৌঁছে দাও।
প্রহরী কথা না বাড়িয়ে মনিবের নিকট সংবাদ পৌঁছে দিল। বলল, আপনার সাথে এক ভিক্ষুক সাক্ষাৎ করতে চায়।
এ আনন্দঘন পরিবেশে যে কোন লোকের সাক্ষাৎই বিরক্তকর। তার উপর আবার ভিক্ষুক। সংবাদ শুনে মনিবের রাগ চরমে ওঠে। কঠিন হয়ে ওঠে গোটা মুখমন্ডল। দৃষ্টিতে ঝরে পড়ে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। তিনি ক্রুদ্ধ সিংহের ন্যায় গর্জন করে বলেন, একজন তুচ্ছ ভিক্ষুকের এত বড় স্পর্ধা! মুখের উপর দু’একটি ঘা লাগিয়ে এই ধৃষ্টতার মজা দেখিয়ে দিলে না কেন? বুঝিয়ে দিলে না কেন আমার সাথে সাক্ষাতের স্বাদ কত তিক্ত?
এমন সময় ভিক্ষুক আবার ফটকে প্রচন্ড শব্দে আঘাত করল। আঘাতের তীব্রতা এতই বেশী ছিল যে, গোটা আলিশান প্রাসাদ কেঁপে উঠল। প্রহরী পুনরায় দৌড়ে এসে ফটকে উপস্থিত হল। ভিক্ষুক তাকে বলল, তোমার কর্তাকে গিয়ে বল, আমার নাম মালাকুল মউত। আমি তার প্রাণ সংহারের জন্য এসেছি।
আলীজা!
চাকর চমকে উঠল। সে তড়িঘড়ি করে মনিবকে বলল, লোকটির বাহ্যিক বেশ ভিক্ষুকের মতো হলেও সে মূলতঃ ভিক্ষুক নয়। সে

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top