ভয়াল রজনী – আসাদ বিন হানিফ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ আসাদ বিন হানিফ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৪৫
ভয়াল রজনী – বইটির এক ঝলকঃ
ওসমান ভয়ার্ত কন্ঠে বলল, ‘কে?’
ছায়ামূর্তি ওসমানের আরো কাছে সরে এসে বলল,
‘আমি। ‘
ওসমান তখনো তাকে চিনতে পারেনি। বলল, ‘আমি কে?
রিনি আলেকজান্ডার মুখের কাপড় সরিয়ে বলল, *ওসমান, ভূত না, আমি রিনি।’
রিনি আলেকজান্ডার পাশের বাড়ির সেই খ্রীষ্টান যুবতী যার সাথে আল নূরের বন্ধুত্ব। আশপাশের বাড়িগুলোর চাইতে ওসমানদের বাড়িতেই ওর যাতায়াত বেশী। যখন তখন হুটহাট চলে আসে।
ভাই বোন দু’জনের সাথেই রিনির খোলামেলা সম্পর্ক। বিশেষ কাজে জড়িয়ে পড়ার পর থেকে ওসমান চাইছে, ও আর এ বাড়ীতে না আসুক। কিন্তু সরাসরি নিষেধ করে সন্দেহের পাত্র হতে চায় না বলে ইদানিং ওসমান তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে।
রিনি সব সময় ওসমানের সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করে। এতদিন এ নিয়ে ওসমানের মনে কোন প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কিন্তু মুজাহিদের কাতারে যেদিন নাম লেখালো সেদিন থেকেই তার মনে ভয় ঢুকল, মেয়েটা গোয়েন্দা নয়তো?
কখনো তার মনে হতো এ খ্রীস্টান মেয়েটা তার নৈতিকতা নষ্ট করতে চাইছে নাতো? তার জাতীয় চেতনাবোধ বিনাশ করার জন্য কি একে তার পিছনে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে?
রিনিকে চিনতে পেরে মৃদু সৌজন্যের হাসি উপহার দিয়ে কিছু না বলেই পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইল ওসমান । সামনে এসে পথ রোধ করে দাঁড়াল রিনি।
একজন খ্রীস্টান যুবতীর সাথে কথা বলছে ওসমান, ধরা পড়লে শাস্তি পাবে, এমন কোন আশংকা নেই। বরং একজন সন্দেহভাজন মুসলিম যুবক এক যুবতীর ফাঁদে পা দিয়েছে ভেবে ইহুদী ও খ্রীস্টানরা খুশীই হবে।
থেমে গেল ওসমান। বললো, ‘আমার একটু তাড়া আছে রিনি।’
‘তোমার কোন তাড়া নেই।’ কলকলিয়ে উঠল রিনির কন্ঠ। ‘এত সহজে আমাকে ছাড়াতে পারবে?’
‘তোমাকে ছাড়ানোর কথা তো বলিনি!’
“মিথ্যে বলো না ওসমান।’ রিনির কণ্ঠে অভিমানের সুর ।
‘এখন তোমাদের বাড়ী থেকেই আসছি। তোমার বোন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ‘তুমি আর এসো না। ভাইয়া রাগ করেন।’ কেন ওসমান, এ কথা তো তুমিই আমায় বলতে পারতে!’
ওসমান নিশ্চুপ। বোনটা খুব তাড়াহুড়া করেছে। কি জবাব দেবে তাই ভাবছে ওসমান।
তাকে নিরব থাকতে দেখে রিনি বললো, ‘বল তো কেন তোমাদের বাড়ী যাব না?
এসব কথা বলার বা শোনার সময় ওসমানের হাতে নেই । তার হৃদয়ে ঝড় বইছে। এক অন্ধ আবেগ পিষে মারছে তার অন্তর। কি জবাব দেবে ভেবে পেল না। হৃদয়ের সত্যি কথাটাই মুখ ফসকে বেরিয়ে এল।
‘আমাদের বাড়ীতে আসতে কেন তোমায় নিষেধ করেছি জানি না। শোন রিনি, আমরা একজন আরেকজনকে যতই ভালবাসি তবুও আমরা পরস্পর দু’টি শত্রু জাতির অন্তর্ভূক্ত।
তুমি ব্যক্তিগত ভালবাসার কথা বলবে। আমি বলবো জাতীয় চেতনাবোধের কথা। ক্রুশ এবং কোরআন কখনও এক হতে পারে না।
এটা আমার দেশ। তোমার জাতি এখানে কি করছে? তোমার জাতির শেষ ব্যক্তিটি যতক্ষণ পর্যন্ত এখানে থাকবে আমাদের দু’জনের মধ্যে প্রেম তৈরী হতে পারে না। আমি আমার মনের কথাটাই তোমাকে বললাম।’
‘তা হলে আমার হৃদয়ে কি আছে তাও শুনে নাও। আমার হৃদয়ে রয়েছে তোমার জন্য ভালবাসা। ক্রুশ বা কোরআন সে ভালবাসার অন্তরায় হতে পারবে না।
তোমাকে না দেখলে আমার ভাল লাগে না । তোমাকে
হাসিখুশী দেখলে আমার মন আনন্দে ভরে উঠে। ওসমান, তোমাদের বাড়ীতে যেতে আমাকে নিষেধ করলে তা দু’জনের কারুর জন্যই ভাল হবে না।’
‘ভয় দেখাচ্ছো? তা দেখাতেই পার। কারণ তুমি যে শাসক জাতির মেয়ে।’
‘আমার মনে শাসকের অহমিকা থাকলে এতক্ষণ তুমি এখানে থাকতে না। থাকতে জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে । তুমি কি ভেবেছো তুমি কি করছো আমি কিছুই জানি না?
বল তো তোমার গোপন তৎপরতার কথা বলে দিই । আমার জাতি এবং দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য যে অস্ত্রসম্ভার তোমার ঘরের মাটির নীচে লুকিয়ে রেখেছ সে খবর কি তোমায় বলবো? আল নূরকে তুমি সামরিক ট্রেনিং দিয়েছ। তোমার সংগীদের অনেককেই আমি চিনি। তুমি জান না ওসমান তোমার এবং জেলের মাঝে আমিই এখন বাঁধা হয়ে আছি।
তুমি জান কে আমার পিতা। কতবার তিনি বলেছেন, *ওসমানকে গ্রেফতার করা জরুরী হয়ে পড়েছে।”
প্রতিবারই আমি অনুনয়-বিনয় করে বলেছি, ‘ওসমানের বোন আমার বন্ধু । তা ছাড়া ওর পিতার একটা পা নেই।’
আব্বা আমায় শাসিয়ে বলেছেন, ‘ওদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো । মুসলমানরা ভালবাসার পাত্র নয়।’
আমি আমার পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান। এ জন্য তারা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছেন না । নইলে কবেই তুমি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ঢুকে যেতে।’
রিনির কথা শুনে ওসমান পাথরের মত জমে গেল। তার ঠোঁট দু’টো যেন কেউ শক্ত আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছে। সে কিছু বলতে চাইল, কিন্তু কিছুতেই ঠোঁট দু’টো আলাদা
করতে পারল না।
রিনির চোখ থেকে টপটপ করে অশ্রুর ফোটা পড়তে লাগল। গলা বসে এল তারও। আর কোন কথা না বলে সে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল।
ওসমান আবারও কথা বলতে চেষ্টা করল, এবারও তার গলা দিয়ে কোন স্বর বের হলো না ।
কিন্তু সূর্য ডুবেছে অনেক আগে। জেঁকে বসে আছে রাতের আঁধার। পথের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে ওরা দুই যুবক যুবতী। কারো মুখে কোন কথা নেই ।
ওসমান বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর যখন সম্বিত ফিরে পেল রিনিকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল। সে এক পা এগুতেই রিনি আবার তার সামনে এসে তার পথ রোধ করে দাঁড়াল।
পলকে দু’জনের মাঝের সব ব্যবধান ঘুচে গেল ।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!