রক্তাক্ত পামির – আবুল আসাদ – Roktakto Pamir – Abul Asad – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

রক্তাক্ত পামির – আবুল আসাদ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ আবুল আসাদ

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৩৯

রক্তাক্ত পামির – বইটির এক ঝলকঃ

হয়ে উত্তর দিকে টার্ণ নেবার সাথে সাথে ডানদিকের হেড লাইটটা একদমই বন্ধ করে দিচ্ছে এবং গেটের সামনে পৌছা পর্যন্ত গুচ্ছাকারে ২৭ বার হর্ণ বাজাচ্ছে। প্রতিটা গুচ্ছে থাকছে তিনটি করে হর্ন। প্রতিটি গাড়ীই গেটের সামনের রাস্তার পাশে যে লাইট পোষ্ট আছে তার বরাবর গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। দাঁড়াবার সঙ্গে সঙ্গে দু’টি হেডলাইটের ডিস্ট্যান্ট ফ্লাশ একসাথে জ্বলে উঠে গোট ফটকটাকে আলোয় ধাঁধিয়ে দিয়ে একসাথে নিভে যাচ্ছে। তারপর হর্ণ বেজে উঠছে হারমোনিয়ামের মত একটা ছন্দময় গতিতে। এই শব্দ সংকেত বিশেষজ্ঞ আহমদ মুসার কাছে পরিচিত। শব্দ-সংকেতের কম্যুনিস্ট কোড অনুসারে এর অর্থ, আমি হাজির।
পর্যবেক্ষণ শেষ করে আহমদ মুসা বলল, আলী ইব্রাহীম, আলী ইমামভ, এস আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। মনে হয় ‘ফ্র’ এর এই দুর্গে ঢোকার চাবিকাঠি আমি হাত করে ফেলেছি। এখন শুধু দরকার শুধু ওদের একটা গাড়ী হাত করা।
তারপর আহমদ মুসা ‘ফ্র’ এর এই অফিস বিল্ডিং এর নক্সা নিয়ে বসল। উল্লেখ্য, গুরুত্বপূর্ণ এই নক্সাটি বখশ শহরের সাইমুম ঘাটিতে আগে থেকেই জোগাড় করা ছিল।
নক্সা দেখা শেষ করে আহমদ মুসা আলী ইব্রাহীম ও আলী ইমামভের সাথে পরামর্শ করল, কিছু নির্দেশ দিল। তারপর তিনজন বেরিয়ে এল টিলার আড়াল থেকে। উঠে এল তারা হাইওয়েতে। তাদের তিনজনের পরনেই তাজিক পুলিশ অফিসারের পোশাক। উল্লেখ্য, সাইমুমের সেই উপত্যকা ঘাটি থেকে আসার পথে তাজিক পুলিশের গাড়ী এবং পোশাক দখল করেই তারা বখশ শহরে পৌঁছেছে।
হাইওয়ে পেরিয়ে তারা তিনজন লাল রাস্তাটার মুখে এসে দাড়াল। আলী ইমামভকে রাস্তার মুখে দাঁড় করিয়ে রেখে আহমদ মুসা আলী ইব্রাহিমকে নিয়ে গার্ড বক্সে এল। গার্ড বক্সে তখন দু’জন দুটি চেয়ারে একটি ছোট টেবিল সামনে রেখে বসে ছিল। আহমদ মুসা গার্ড রুমের দরজায় গিয়ে দাড়াল। একজন রুটিন মাফিক পরিচয় পত্রের জন্য হাত বাড়াল। আহমদ মুসা পকেটে হাত দিল। কিন্তু, পরিচিতি কার্ডের বদলে হাতে বেরিয়ে এল এম-১০ রিভলভার। চোখ দু’টি বড় বড় হয়ে গেল দুজন গার্ডের। আহমদ মুসা ওদের পিছন ফিরে দাঁড়াতে বলল। তারা সুবোধ বালকের মত হুকুম পালন করল।
আহমদ মুসা আলী ইব্রাহীমকে বলল, এ গরীব বেচারারা বেঁচে থাক, এদের তুমি ঘুম পাড়িয়ে দাও আলী ইব্রাহীম।
ক্লোরফরম ভেজা রুমাল দিয়ে ওদের ঘুম পাড়িয়ে দিল আলী ইব্রাহিম। তারপর ওদের বেঁধে দুজনে ধরে পাশের টিলার আড়ালে একটি খাদে ফেলে রেখে এল।
তিনজন গার্ড বক্স এ বসে অপেক্ষা করতে লাগল গাড়ির। মাত্র দশ মিনিট। একটা কার এসে রোড ডিভাইডার এর সামনে দাঁড়াল। গাড়ি থেকে নেমে এলো একজন সুঠাম দেহী মানুষ। এলো গার্ড রুমের দরজায়। পরিচিতি কার্ড তার হাতেই ছিল। কিন্তু আহমদ মুসাদের দিকে চেয়ে মনে হয় সে চমকে উঠল। সম্ভবত গার্ড এর পোশাকের বদলে পুলিশ পোশাকের এবং সংখ্যায় দুজনের বদলে তিন জন হওয়াই এর কারন। কিন্তু চিন্তা করার আর সে সুযোগ পেল না। আহমদ মুসার সাইলেন্সার লাগান এম-১০ পিস্তল নিরবে অগ্নি বর্ষণ করল। দরজার উপরে লুটিয়ে পড়ল লোকটি। লোকটিকে টেনে গার্ড বক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে তিনজনে বেরিয়ে এলো গার্ড রুম থেকে। আহমদ মুসা গিয়ে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসল। পাশে আলী ইব্রাহিম। পেছনের সিটে আলী ইমামভ।
সিটে বসে আহমদ মুসা ঘড়িটা একবার দেখে নিয়ে পিছন সিটের দিকে তাকিয়ে বলল, আলী ইমামভ এখন রাত ১১ টা। তোমার লোকেরা কয়টায় এখানে পৌঁছাবে?
-আমাদের স্পিড বোট গুলো এতক্ষণে এসে গেছে। স্থল ইউনিট ঠিক রাত সাড়ে ১১ টায় এই শহর এলাকায় পৌঁছাবে। ঠিক আছে বলে আহমদ মুসা গাড়িতে স্টার্ট দিল। গেট আগেই খুলে রেখেছিল। তীর বেগে এগিয়ে চলল গাড়ি। আহমদ মুসা মুখস্ত অংকের ফরমুলার মত গাড়ির হর্ন-ওয়ার্ক ও লাইট-ওয়ার্ক করে এগিয়ে চলল গেটের দিকে।
গেটের সামনে সেই লাইট সেই লাইট পোষ্টের সমান্তরালে মুখস্ত করা একই নিয়মে গিয়ে দাঁড়াল। দুটা হেডলাইটের ডিস্ট্যান্ট ফ্লাশ আলোয় ধাঁধিয়ে দিল গেটটিকে। তারপর হারমনিয়ামের মত ছন্দময় গতিতে হর্ন বাজাল ‘আমি হাজির’।
সঙ্কেতে সে কোন ভুল করেনি। তবু ও আহমদ মুসার মন কি হয় না হয় সন্দেহের দোলায় দুলছে। প্রায় শ্বাসরুদ্ধ ভাবে সে তাকিয়ে আছে ইস্পাত এর দরজার দিকে। মনের আকুল আকুতি, ইস্পাতের দরজাটা দুলে উঠুক, সরে যাক দরজাটা।
হ্যাঁ ইস্পাতের দরজাটা দুলে উঠল। মুহূর্তে হারিয়ে গেল প্রাচীর এর গেটে। দরজা সরে গেলে গেটের ওপাশে প্রশস্ত চত্বর এবং বিশাল এক গাড়ি বারান্দা আহমদ মুসার সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠল।
আহমদ মুসা যে স্পীডে এসে ছিল, সেই স্পিডেই গাড়ি চালিয়ে দিল। গাড়ি তীর বেগে ছুটে গিয়ে বারান্দায় দাঁড়াল। দাঁড়াবার সঙ্গে সঙ্গে আহমদ মুসা মুখ ফিরিয়ে পেছন সিটের দিকে তাকিয়ে বলল, বোমা পাতার কাজ তোমার শেষ? আলী ইমামভ সম্মতি সূচক মাথা নাড়াল। তারপর গাড়ি থেকে নেমে এলো তারা তিনজন। কোমরে খাপের মধ্যে ঝুলানো তাদের এম-১০ পিস্তল। পিস্তলের বাঁটে হাত রেখে আহমদ মুসা দ্রুত উঠে এলো। তার পিছনে আলী ইব্রাহিম এবং আলী ইমামভ।
ছোট সিঁড়ির পর অভ্যর্থনা রুমের দরজা। T আকারের তিন ব্লকে বিভক্ত চারতলা এই বিল্ডিং – এর অভ্যর্থনা কক্ষটি গ্রন্থির মত। এর দক্ষিন অংশে দক্ষিণ ব্লকের সিঁড়ি, উত্তর অংশে উত্তর ব্লকের সিঁড়ি। আর ঘরের মেঝে পেরুলে ঠিক নাক বরাবর যে সিঁড়ি উঠে গেছে তা দিয়ে মাঝের মূল ব্লকে যাওয়া যায়। এ সিঁড়ি দিয়ে দোতালায় উঠে গেলে দেখা যাবে আরেকটা সিঁড়ি নিচে একতলায় নেমে গেছে। এই এক তলাতেই ‘ফ্র’ এর কয়েদ খানা ও টর্চার চেম্বার। এই একতলা ছাড়া গোটাটাই ‘ফ্র’ এর নিরাপত্তা অফিস।
অভ্যর্থনা কক্ষের দরজার বাইরে স্টেনগান হাতে একজন রক্ষী দাঁড়িয়ে ছিল। তিনজন পুলিশ অফিসারকে আসতে দেখে সে মুহূর্তকাল দ্বিধা করল। কিন্তু অবশেষে সে খুলে দিল দরজা। তারা তিনজন প্রবেশ করলে দরজা আবার বন্ধ হয়ে গেল। অভ্যর্থনা কক্ষ শূন্য। আহমদ মুসা খাপ থেকে রিভলভার বের করে নিল। তারপর ছুটল মাঝখানে সিঁড়ির দিকে। হাতে পিস্তল বাগিয়ে আলী ইব্রাহিম এবং আলী ইমামভ আহমদ মুসার পিছে পিছে ছুটল।
দোতালায় উঠে একতলায় নামার সিঁড়ি খুঁজে নিল আহমদ মুসা। কিন্তু দেখল একতলায় সিঁড়ির দরজা বন্ধ। দরজা ভাল করে পরীক্ষা করে বুঝল বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত এই দরজা।
হতাশভাবে চারিদিকে নজর বুলাল আহমদ মুসা। না, কোথাও কোন সুইচ নেই। দরজার গা, দরজার চৌকাঠ আহমদ মুসা ভালো করে পরীক্ষা করল। না, কোথাও গোপন বোতামের অস্তিত্ব নেই। এই দিকে সময় বয়ে যাচ্ছে। অস্থির হয়ে উঠল আহমদ মুসা। না, দরজা ভাংতে হবেই। সে পকেটে হাত দিল লেজার ছুরি বের করার জন্য। কিন্তু হঠাৎ নড়ে উঠল দরজা। নীচ থেকে কেউ কি বেরিয়ে আসছে?
আহমদ মুসা রিভলভার বাগিয়ে প্রস্তুত হয়ে নিল।
দরজা খুলে গেল। দরজায় দাঁড়িয়ে মাঝারি উচ্চতার একজন সুঠাম দেহী মানুষ। আহমদ মুসার রিভলভার এর নল তার বুকে। আহমদ মুসা তাকে নির্দেশ দিল, পেছনে ফিরে নিচে নামুন।
লোকটি প্রথমে বিস্ময়ে বিমুঢ় হয়ে পড়েছিল। কিন্তু পরক্ষনেই যেন অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেল। নির্দেশ পালন করল সে। সিঁড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে সবশেষে নেমে এলো আলি ইমামভ। সিঁড়ি যেখানে এসে শেষ হয়েছে সেখান থেকে পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবার গোড়ায় দাড়িয়ে সেই লোকটিকে আহমদ মুসা বলল, কুতাইবা এবং শবনম কোথায়?
করব?
-কুতাইবা? আমি জানিনা। বলল লোকটি।
আলী ইব্রাহিম বলল, মিঃ গানজভ এবং শবনম কোথায়?
লোকটির মুখে যেন এক টুকরা হাসি খেলে গেল। বলল, সাহায্য আমি কেন
আহমদ মুসা রিভলভার নাচিয়ে বলল, জীবনের বিনিময়ে।
-জীবনের বিনিময়ে কি এ ধরনের তথ্য দিতে আপনারা রাজি হবেন?

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top