মুজাহিদ ও শহীদদের বিস্ময়কর ঘটনাবলী – ওমর ফারুক – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ ওমর ফারুক
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৪
মুজাহিদ ও শহীদদের বিস্ময়কর ঘটনাবলী – বইটির এক ঝলকঃ
এক গুলীতে ৮৫ ট্যাংক ধ্বংস
ডঃ আব্দুল্লাহ আযযাম শহীদ (রহঃ) বলেন- আমাকে আফগানিস্তানের বিশিষ্ট আলেম, মুজাহিদ আরসালান খান রহমানী বলেছেন যে, একবার আমাদের মুকাবেলায় দুইশত ট্যাংক এসেছিল। কিন্তু আমাদের নিকট শুধু মাত্র একটি গুলী ছিল। আমরা নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলাম। যেন তিনি এই একটি গুলিকেই দুশমনকে ধ্বংস করার কারণ বানিয়েদেন। অতপর আমরা সেই গুলিটিকে ফায়ার করি। তা গিয়ে দুশমনদের অস্ত্রবাহী গাড়ীর মধ্যে গিয়ে লাগে। সমস্ত অস্ত্রে আগুন ধরে যায় এবং সমস্ত গোলা ফাটতে শুরু করে এবং কয়েকটি প্রচন্ড আওয়াজ হয়, এতে দুশমনদের ৮৫টি ট্যাংক ধ্বংস হয়। দুশমন পালায়ন করতে বাধ্য হয়। আল্লাহ তায়ালা আমদের বিজয় দান করেন। এবং গণীমতের গালের অধিকারী বানান।
এক ঝাঁক পাখী
ডঃ আঃ আয্যাম শহীদ (র) এর মুখের কথা- আমাকে আরসালান খান রহমানী সাহেব বলেছেন- দুশমনের জঙ্গী বিমান আসার পূর্বে আমরা বুঝতে পারতাম যে, বোমডিং করার জন্য বিমান আসছে। আর তা এভাবে যে, এ বিমানগুলো আসার পূর্বে কিছু পাখি এসে আমাদের মাথার উপর চক্কর লাগাত । আমরা এ পাখিগুলোকে দেখে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতাম। আবার কোন কোন সময় সে সমস্ত পাখিরা নিজেই এসব বিমানের মোকাবেলা করত ।
ডঃ সাহেব আরও বলেন যে, আমাকে মুজাহিদ আব্দুল জাব্বার বলেছেন- আমি দু’ বার স্বয়ং পাখিগুলোকে বিমানের নিচে দেখেছি।
তিনি আরও বলেন- আমাকে মাওলানা জালালুদ্দীন হাক্কানী সাহেব বলেছেন- আমি বহু বার সে সমস্ত পাখিগুলোকে দেখেছি, যেগুলো দুশমনের পক্ষ হতে বর্ষিত গোলা থেকে মুজাহিদদের হিফাযত করত।
গায়েবী মদদ
ডঃ সাহেব বলেন :- আমাকে আরসালান খান রহমানী বলেছেন- আফগানিস্তানে জিহাদকালীন মুহূর্তে আমরা একবার পঁচিশজন মুজাহিদের একটি দল একস্থানে একত্রিত হয়ে বসেছিলাম। হঠাৎ কমিউনিষ্টদের দু হাজার পরিমান একটি সৈন্যদল আমাদের উপর হামলা করে বসে। চার ঘন্টা পরিমাণ সময় প্রচন্ড যুদ্ধ হল। অবশেষে পরাজয় তাদেরই বন্টনে পড়ল। তাদের সত্তর জন জাহান্নামের অধিবাসী হল। আর ছাব্বিশজনকে আমরা গ্রেফতারের করে নিয়ে আসি, অতপর আমরা সেই গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসা করলাম।
তোমরা (তোমাদের এত শক্তি- সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও) ময়দান থেকে পালালে কেন ? তারা উত্তর দিল- আমরা দেখতে পেয়েছি যে, চারদিক থেকে আমেরিকান অত্যাধুনিক তোপ এবং মেশিনগান হতে আমাদের প্রতি গুলি নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তাই আমরা পালাতে বাধ্য হয়েছি।
-মাওলানা আরসালান খান বলেন- অথচ সে সময় আমাদের নিকট কোন তোপ ও মেশিনগানই ছিল না। বরং আমরা সাধারণ বন্দুক দ্বারা মাত্র এক দিক হতে হামলা করেছিলাম।
দুশমনের উপর বিচ্ছুর হামলা ও মুজাহিদদের প্রতি সাপের ভালবাসা
ডঃ আঃ আযযাম শহীদ (রহঃ) বলেন- আমাকে আবদুস সামাদ ও মাহবুবুল্লাহ উভয় বলেছে- একবার যখন কমিউনিষ্ট সৈন্যরা আফগানিস্তানের ‘কানদোজ’ এলাকার এক ময়দানে এসে অবস্থান করল। তখন বিষাক্ত বিচ্ছু তাদের উপর প্রচন্ড হামলা করে বসল। যার প্রেক্ষিতে তাদের ছয়জন সৈন্য জাহান্নামের টিকেট পেল আর বাকিরা সব পালিয়ে গেল।
ডঃ সাহেব আরও বলেন, আমাকে কমান্ডার উমর হানীফ বলেছে যে, বহুবার এমন হয়েছে যে, সাপ এসেছে এবং মুজাহিদদের সোয়ার বিছানায় এক সাথে রাত যাপন করেছে। সকাল বেলা চলে গেছে। কিন্তু কোন মুজাহিদকে কখনও দংশন করেনি ।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!
