মহাসমর – আসাদ বিন হানিফ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ আসাদ বিন হানিফ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৫৮
মহাসমর – বইটির এক ঝলকঃ
এখন তুমি বলো, তুমি কি আমার পরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হত্যা করে ফেলবে? তাহলে আরো দু’দিন বাঁচার আশায় আমি না হয় মুখ বন্ধ করেই থাকবো।’
আমি তাকে বললাম, ‘লড়াইয়ের সময় প্রতিপক্ষকে আমরা সহজেই হত্যা করতে পারি। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় কাউকে হত্যা করার অনুমতি আমাদের নেই। তুমি যত বড় অপরাধীই হওনা কেন, বিচার না করে কোন শাস্তি দেয়ার এখতিয়ার আমাদের কারো নেই ।
আর আমরা কমান্ডো বাহিনী, কারো বিচার করার অধিকারও আমাদের নেই । আমরা বড়জোর তোমাকে আমাদের গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে পারি। তারা তদন্ত করে দেখবে তোমার দেয়া ভাষ্য ঠিক আছে কিনা ।
তারপর তারা তোমাকে আদালতে সোপর্দ করবে। আদালতই নির্ধারণ করবে তোমার কি শাস্তি হওয়া উচিত। অতএব তুমি নির্দ্বিধায় তোমার পরিচয় বলতে পারো। এতে তোমার কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না ।’
সে বললো, ‘তাহলে শোন। গত পাঁচটি বছর আমি কাটিয়েছি কায়রোতে। সেখানে এক রাজকুমারী বা শাহজাদীর মতই ছিল আমার জীবন। ওখানে আমি এক আমীরের আশ্রিতা ছিলাম। কিন্তু আমি ছিলাম আসলে এক খৃষ্টান গোয়েন্দা। প্রচুর ট্রেনিং ও প্রশিক্ষণের পর আমাকে কায়রো পাঠানো হয়েছিল । সেখানে আমি প্রথমেই দু’জন আমীরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করে দিলাম। পরে আরও একজনকে তাদের শত্রু বানিয়ে ছিলাম। কায়দা করে আমি তিনজনকেই পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লাগিয়ে দিলাম।
এরপর আমি কয়েকজন সরকারী অফিসারকে হাত করলাম। তাদের দিয়ে কায়রোর সরকারী কাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করলাম। এরপর আমাকে দু’জন খৃস্টান গোয়েন্দার নাম দিয়ে বলা হলো, *এরা ধরা পড়ে কায়রোর কারাগারে বন্দী আছে। তুমি এ দু’জনকে উদ্ধারের চেষ্টা করো।’
আমাকে খুব বেশী চেষ্টা করতে হয়নি। খৃষ্টান গোয়েন্দা দু’জনকে মুক্ত করার পর আমি জানতে পারলাম তাদের দু’জনেরই বিচার সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। দু’এক দিনের মধ্যেই তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হতো।
আমি যেই আমীরের রক্ষিতা সেই আমীরের সহায়তায় তাদেরকে কায়রো থেকে পালানোর সুযোগ করে দিলাম। তারা চলে যাওয়ার পর সেখানে নতুন দায়িত্ব নিয়ে আরো দু’জন গোয়েন্দা এলো। তারা আমার সাহায্য চেয়ে বললো, ‘আমরা সুলতান আইয়ুবীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আলী বিন সুফিয়ানকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছি।’
কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তাদের কাছে হাতিন যুদ্ধের ফলাফল এসে পৌঁছলো। তারা এটাও জানতে পারলো, খৃস্টানদের পবিত্র ক্রুশ চিহ্নটি এখন সুলতান আইয়ুবীর কাছে। আর সে ক্রুশের রক্ষক তাদের মহান পাদ্রী হাতিনের ময়দানে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তারা আরো খবর পেলো, এই যুদ্ধে কয়েকজন খৃস্টান সম্রাট মারা গেছেন অন্য সম্রাটরা সবাই বন্দী হয়েছেন। বায়তুল মোকাদ্দাসের শাসক গে অব লুজিয়ানও আছেন এই বন্দীদের তালিকায়।
এ সব সংবাদ তাদের কাছে বজ্রাঘাতের মতই মনে হতে লাগলো। অবশেষে তাদের কাছে আরও দুটি সংবাদ পৌঁছলো। তারা জানতে পারলো, তাদের উস্তাদ হরমুনও বন্দী হয়েছেন এবং ঈশ্বরের পুত্র মহান যিশুর স্মৃতিবিজড়িত জেরুজালেম খৃস্টানদের হাত ছাড়া হয়ে গেছে ।
পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস মুসলমানদের অধিকারে চলে গেছে এ খবর শুনে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেল ।
তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে কায়রোতে পাঠানো হয়েছিল কায়রোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য। এ ধরনের শয়তানী কাজের সব শিক্ষাই তারা ভালভাবে রপ্ত করে নিয়েছিল।
তাদেরকে ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির পরিবর্তে ধোঁকা ও ছলনা করার শিক্ষা দেয়া হয়েছিল। নীতি নয়, দুর্নীতিতেই তারা ছিল দক্ষ ও পারঙ্গম। ধর্মীয় আচার পালনের ব্যাপারে তারা ছিল’ স্বাধীন। কারণ গোয়েন্দাদের ধর্মীয় পরিচয় তাদের উপকারের চাইতে অপকার করে বেশী। এ জন্য ধর্মীয় বিধান পালনের কোন নির্দেশ তাদের ওপর ছিল না।
তাদেরকে শুধু বলা হয়েছিল, ‘ঈশ্বরের পুত্র ঈসা মসীহের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য তৈরী করা হয়েছে এক বিশাল ক্রুশ। এই ক্রুশ খৃস্টানদের সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। যতোদিন এই ক্রুশ আমাদের হাতে থাকবে ততোদিন আমাদেরকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। তবে শর্ত হলো, এই ক্রুশের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার জন্য ঈশ্বর পুত্রের ভক্তদের সর্বশক্তি দিয়ে লড়তে হবে।’
তাদের প্রশিক্ষণের পর সেই বিশাল ক্রুশের আশির্বাদ নেয়ার জন্য তাদেরকে আক্রায় পাঠানো হয়। সেখানকার বড় গির্জার মহান পাদ্রী ক্রুশ স্পর্শ করে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ক্রুশের শাসন শ্রেষ্ঠ শাসন। তার কেন্দ্র জেরুজালেম, যেখানে হযরত ঈসা মসীহকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল। ইসলাম কোন ধর্ম নয়। মুসলমানদের খৃস্টান ধর্মে নিয়ে আসা এবং যারা আসবে না তাদের হত্যা করা অসীম পূণ্যের কাজ। যে সব মেয়েরা ক্রুশের জন্য তাদের সম্ভ্রম কোরবাণী দেবে তাদেরকে পরকালে জান্নাতের হুর বানানো হবে।
তিনি এইসব গোয়েন্দাদের এ রকম আরো অনেক নসীহত করলেন। তারাও পাদ্রীর সব কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে সেই ক্রুশ স্পর্শ করে তার সম্মান রক্ষার শপথ করলো।
এ জন্য তারা শাসকদের হুকুমে যে কোন পাপ কাজ করাকে খুবই পূণ্যময় কাজ বলে গণ্য করতো। আর এসব পূণ্য কাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিল মুসলমানদের ধোঁকা ও প্রতারণা করা । তারা যখন জানতে পারলো, পবিত্র ক্রুশও নেই, ক্রুশের রক্ষকও নেই, আর ঈসা মসীহের স্মৃতি বিজড়িত জেরুজালেম, যা ক্রুসেড শাসনের মূলকেন্দ্র তাও খৃস্টানদের দখলে নেই, তখন তাদের এতদিনের সব বিশ্বাস ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল।
তারা আরও লক্ষ্য করলো, কায়রোতে যে সব পুরুষ গোয়েন্দা তাদের সাথী ছিল, তারা সবাই পালিয়ে গেছে।
একদিন এক গোয়েন্দা তার সাথীর খোঁজে বের হয়ে শুনতে পেলো, সেও নিখোঁজ। কায়রোতে যারা আমাদের সহযোগী ছিল তাদের একজন তাকে বললো, ‘এখন এখানে তোমাদের আর কোন সাহায্যকারী নেই। তুমি কোন মুসলমান মেয়েকে বিয়ে করে মুসলমান হয়ে যাও নইলে এখান থেকে পালাও।’ তখন সেই গোয়েন্দা পাগলের মত হয়ে গেল। সে আমার সাথে দেখা করে সব খুলে বললো আমাকে। সেই সাথে বললো তার পরিকল্পনার কথা। বললো, ‘পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই আমাদের।’
আমিও তার সাথে একমত হলাম। সে আমাকে সঙ্গে নিতে রাজি হলো । তখন আমি তাকে আমার বান্ধবীর কথা বললাম। সে তাকেও সঙ্গে নিতে সম্মত হলো ।
এই আলাপের পর সে আমাদের এক সহযোগী মুসলমান অফিসারের কাছ থেকে তিনটি ঘোড়া চেয়ে নিল। বললো, ‘আমার এই দু’বোনের ভ্রমণের শখ হয়েছে। তুমি তিনটি ঘোড়া দাও, আমরা একটু ভ্রমণ করি।’
সেই অফিসার সরল বিশ্বাসে তার হাতে তিনটি ঘোড়া তুলে, দিল । আমরা দু’বান্ধবী সন্ধ্যার একটু আগে বাসা থেকে বের হলাম। তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। আমরা সেই গোয়েন্দার
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!