কনকতরী – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৮
কনকতরী – বইটির এক ঝলকঃ
জন্যে ।
ফ্লিপার নেড়ে দ্রুত ওদের দিকে এগিয়ে আসছে কালো রাবারের সুট পরা ফ্রগম্যান । অনেক দেরিতে দেখল রানা লোকটার হাতের স্পিয়ার গান । মাস্কের তলায় খুনের আনন্দে জ্বলজ্বল করছে তার চোখ ।
ছয়ফুট দূরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ট্রিগারে চাপ দিল সে । নিঃশব্দে পানি কেটে ছুটে এলো শক্তিশালী সি ও টু। ঠিক সে মুহূর্তে ডোনা ডান শরীর মুচড়ে চলে এলো রানার সামনে । বর্ণাটা বাম বুকে গাঁথল তার, পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেল
ফলা ।
পানিতে পাক খেয়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল তাজা রক্ত, আস্তে আস্তে মিশে যাচ্ছে নীল পানির সঙ্গে। মৃত্যু যন্ত্রণায় মাস্কটা টান দিয়ে খুলে ফেলল ডোনা, চকিতে রানা দেখতে পেল অপূর্ব সুন্দর চেহারাটা । কিছুই করার নেই ওর, মেয়েটা মরে যাচ্ছে চোখের সামনে । ডোনার অবশ হাত থেকে বর্শাটা নিল রানা, ডোনার কথা আর ভাবছে না । দ্রুত কিছু একটা করতে হবে, ভাগ্যও ভাল থাকতে হবে, নইলে শীঘ্রি ডোনা ডানের পরিণতি হবে ওরও ।
পেছনে হটে গেছে ফ্রগম্যান, রিলোড করে নিয়ে আবার সামনে বাড়ল । সাবলীল গতি দেখে মনে হলো কালো একটা হাঙর। স্পিয়ার গানটা এবার দু’হাতে ধরেছে লোকটা, যাতে কোনমতেই মিস না হয় ।
মারা গেছে ডোনা ডান, কিন্তু রানাকে বাঁচাতে এখনও ভূমিকা রাখতে পারবে । যুবতীর পেছনে সরে এলো রানা, গায়ের জোরে মেয়েটাকে ফ্রগম্যানের দিকে ঠেলল। দেরিতে ট্রিগার টেনেছে ফ্রগম্যান, বুদ্বুদ তুলে ছুটে এলো বর্শাটা, ঘ্যাঁচ করে বিধল ডোনার পেটে ।
রক্তের গন্ধে যদি নাও হয় তবু স্পিয়ার গানের শকওয়েভের কারণে শীঘ্রি হাজির হবে হাঙরের দল।
রানাকে পাশ কাটাল ফ্রগম্যান, রিলোড করছে স্পিয়ার গান। বর্শা হাতে তাকে অনুসরণ করল রানা, সমস্ত শক্তি দিয়ে পা নাড়ছে গতি বাড়ানোর জন্যে । হাতের কাছে পেয়ে লোকটার একটা ফ্লিপার আঁকড়ে ধরল। রানা কাছে চলে এসেছে বুঝতে পেরেই স্পিয়ার গানটা রিলোড করার চেষ্টা বাদ দিল ফ্রগম্যান, হাত থেকে পিস্তলটা ফেলে দিয়ে এক টানে কোমরের বেল্ট থেকে বের করে আনল একটা চকচকে ধারাল ছোরা, ঘুরতে চেষ্টা করল, রানার মুখোমুখি হতে চায় । টান দিয়ে তার দুটো ফ্লিপারই খুলে নিল রানা, ভারসাম্য হারানো লোকটার আরও কাছে যেতে চেষ্টা করছে। ছোরা চালাল ফ্রগম্যান, কাঁধে ইস্পাতের স্পর্শ পেল রানা, হাতের ঝাপটায় নিচে নামল, বর্শাটা বিধিয়ে দিল ফ্রগম্যানের পাঁজরের হাড়ের নিচে । হাতের চাপ বাড়াল। পড়পড় করে মাংসের ভেতর ঢুকছে চোখা ফলাটা ! চাপ আরও বাড়াল রানা, পিঠ দিয়ে বের হলো বর্শার ফলা ।
পিঠ আর বুক, দু’দিক থেকে রক্ত বের হচ্ছে ফ্রগম্যানের, মিশে যাচ্ছে পানির সঙ্গে । শরীর মোচড়াল লোকটা, দু’হাতে বুক খামচে বর্শাটা বের করার চেষ্টা করল । চোখের কোণে দেখতে পেল রানা, ব্যারাকুডা দুটো দশ ফুট দূরত্বে চলে এসেছে, চোয়াল খুলছে বারবার, উত্তেজনায় ঘনঘন নাড়ছে ডর্সাল ফিন ।
পরিষ্কার পানিতে সরে যাওয়া দরকার । পূপ কেবিনের দিকে এগোল রানা । ডোনা ডানের দেহটা হাতের কাছে ভাসতে দেখে চিবুক ধরে সঙ্গে নিয়ে চলল । ফ্রগম্যানও বাদ গেল না। দুটো দেহই কেবিনের ভেতর ঢোকাল রানা, আলো জ্বালল । কেবিনের ভেতরে ভুতুড়ে লাগল দুই ব্যাটারির টর্চের আলো। মাস্ক খুলে দ্রুত হাতে ফ্রগম্যানের ছবি তুলে নিল ও, কাজটা সেরে বেরিয়ে এলো কেবিন থেকে । ধক করে উঠল ওর বুকটা। হাঙরের দল হাজির হয়েছে ।
প্রথম দর্শনে ছয়টা গুনল রানা, ওর বাতাসের ট্যাঙ্ক খালি হয়ে গেছে, রিজার্ভের সুইচ অন করল । শীঘ্রি এই কসাইখানা থেকে সরে পড়তে হবে ওকে । ব্যারাকুডাগুলো হাঙর আসায় চটে গেছে, হঠাৎ করেই একটা হাঙরকে আক্রমণ করে বসল দুটো মিলে । দশ ফুট একটা টাইগার শার্ক যোগ দিল তাদের সঙ্গে, ব্যারাকুড়া দুটোকে আক্রমণ করল । এল কংকুইসটেডরের চারপাশের পানি খয়েরী হয়ে উঠছে।
ওপরের দিকে তাকাল রানা । হেলিকপ্টারের ছায়াটা দূরে সরে যাচ্ছে । পানির ওপরে সেই আলোড়নও নেই। পাইলট বোধহয় রক্ত দেখে সাহায্য আনতে গেছে । কাছেই গ্যালোস কে । ওখানে কবীর চৌধুরীর লোক থাকবে । হাতে আর সময় নেই ।
একটা স্টীল বীমের পাশে দাঁড়িয়ে চারদিকটা দেখল রানা। চারটে হাঙর লড়াইতে অংশ নেয়নি । ওগুলো পূপ কেবিনের দরজার কাছে ভাসতে থাকা অদ্ভুত খাবারের দিকে কৌতূহলী চোখে তাকাচ্ছে । পনেরো ফুট দীর্ঘ একটা হ্যামারহেড রানাকে পাশ কাটিয়ে কেবিনের দরজার কাছে থেমে দাঁড়াল, তারপর কি ভেবে সরে গেল দূরে । বাকি তিনটে রানাকে ঘিরে চক্কর মারছে ।
রানার প্রথম ট্যাঙ্কের রিজার্ভ শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ট্যাঙ্কের সুইচ অন করল ও । ভাবছে কি করবে । পূপ কেবিনের ভেতরে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে দিলে বাতাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, তবে এটা স্থায়ী কোনও সমাধান হলো না। একটু পরেই আরও লোক নিয়ে ফিরে আসবে হেলিকপ্টার । এবার হয়তো সঙ্গে কোনও বোটও আসবে । ওকে খুন করতে চেষ্টা করতে হবে না ওদের, কেবিনের বাইরে অপেক্ষা করলেই চলবে, বাতাস শেষ হয়ে গেলে এমনিতেই দম আটকে মারা যাবে ও ।
ডোনা ডানের দেহটা কেবিনের দরজার কাছে চলে এসেছে। ওটার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারল রানা কি করতে হবে ওকে । ফিরে চলল ও কেবিনের দিকে । ফ্রগম্যান আর ডোনার দেহ দুটো ঠেলে দিল বাইরে। ওকে পাশ কাটাল একটা ব্যারাকুডার অর্ধেক শরীর। অন্যটা এখনও টাইগার শার্কের সঙ্গে লড়ছে। ওগুলোকে ঘিরে চক্কর দিচ্ছে অন্য হাঙরগুলো, হেরে যাওয়া যোদ্ধার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে সম্পূর্ণ প্রস্তুত । অর্ধেক ব্যারাকুডার দেহের দিকে এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিতে ছুটে এলো একটা হ্যামারহেড । খোলা চোয়ালের ভেতর ছয় সারি ক্ষুরধার দাঁত পরিষ্কার দেখতে পেল রানা । পিঠের কাছটা শিরশির করে উঠল ভয়ে । শিকারের
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!