কালো টাকা – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

কালো টাকা – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২১১

কালো টাকা – বইটির এক ঝলকঃ

‘কেন বলুন তো, মি. রানা?’ জানতে চাইলেন রোজেনবার্গ ।
‘না, এমনি,’ মুদু হাসির সাথে বলল রানা। ” এবার বলুন, গুইডো ফেলসিয়া সম্পর্কে আপনারা কী জানেন?’
—আগেই জেনেছেন, তিনি শিকাগোর একজন ইনভেস্টর। ক্রেজি ডোরিগো এসোশিয়েটস নামে একটা করপোরেশনের প্রতিনিধিত্ব করেন ভদ্রলোক।’
রানা।
‘ক্রেজি ডোরিগো এসোশিয়েটস সম্পর্কে কী জানেন আপনারা?’ প্রশ্ন করল
রোজেনবার্গ আর অটোম্যান দৃষ্টি বিনিময় করলেন রোজেনবার্গ বললেন, ‘তেমন বিশেষ কিছু জানি না।’
*ডোরিগো একসময় পলাতক ছিল,’ বলল রানা। ‘কিছু দিন হলো রাজনীতিক আর পুলিশের সাথে একটা সমঝোতায় এসেছে সে, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নেয়ার জন্যে প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসে একটা করপোরেশন দাঁড় করিয়েছে।’
‘আপনি স্বভাবতই আমাদের চেয়ে বেশি জানেন,’ বললেন রোজেনবার্গ। ‘গুইডো ফেলসিয়াকেও চেনেন নাকি, মি. রানা?’
‘আমার তো ধারণা ছিল সবাই তাকে চেনে,’ বলল রানা। তার আসল পরিচয়, সিন্ডিকেট ব্যাগম্যান। ডোরিগোর ডেলিভারীম্যান হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে লাস ভেগাস থেকে সংগ্রহ করা টাকা বহন করে সে। তার ব্যাপারটা কী?’
অস্বস্তিবোধ করছেন রোজেনবার্গ।
অটোম্যান বললেন, ‘বলো, রোজেনবার্গ।’
‘হ্যাঁ, ডোরিগোর ফান্ড’ নিয়ে জুরিখে আসেন তিনি। টাকাগুলো করপোরেশনের অ্যাকাউন্টেই জমা পড়ার কথা। কিন্তু সব টাকা সেখানে জমা পড়ে না। ফেলসিয়া ডোরিগো অ্যাকাউন্ট থেকে ধার করছেন। সেই ধার করা টাকা আমাদের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন বিভিন্ন ব্যবসাতে, লাভ যা হয় সব জুমা রাখেন তাঁর নিজের অন্য একটা অ্যাকাউন্টে। আপনার সামনে ওটা তাঁর অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট। এই মুহূর্তে তাঁর ধার… প্রচুর
মাথা নাড়ল রানা। “এ প্রায় অসম্ভব! গুইডো ফেলসিয়া আন্ডারগ্রাউন্ডে নতুন ‘নয়। তার এ-ধরনের মতিভ্রম হলো কী করে? সে জানে না, ওরা তার কী অবস্থা করবে?
ফেলসিয়া তাকে ঠিক এই কথাগুলোই বলেছে, স্মরণ করে শিউরে উঠলেন রোজেনবার্গ ।
“তা হলে এ-ধরনের ক্রিমিনালদের সাথে ব্যবসা করতে হয় আপনাদের?’ অটোম্যান আর রোজেনবার্গ পরস্পরের দিকে তাকাতে সাহস করলেন না। তবে, দু’জনেই লক্ষ করলেন, এই প্রথম চেয়ারে হেলান দিল রানা। চোখ বুজল ।
নিস্তব্ধ কয়েকটা মুহূর্ত কেটে গেল। কামরার পরিবেশ উত্তেজনায় টান টান হয়ে উঠেছে। অপেক্ষার মুহূর্তগুলো অসহ্য মনে হওয়ায় প্রথম মুখ খুললেন রোজেনবার্গ। ‘আপনি কী কেসটা…?’
‘আমার ধারণা,’ বলল রানা, চোখ মেলে অটোম্যান আর রোজেনবার্গের দিকে তাকাল, ‘এটা পুলিশ কেস। আপনারা পুলিশের সাহায্য চাইছেন না। কেন?’
“ঠিক বুঝতে পারলাম না…. শুরু করলেন অটোম্যান।
‘এদের কয়েকজন সম্পর্কে আমার ধারণা আছে, বলল রানা। ‘ক্রেজি ডোরিগো একটা মনস্টার। কোনওভাবে যদি তার কানে খবরটা যায়, সাথে সাথে প্লেনে করে প্রফেশনাল খুনী পাঠিয়ে দেবে। ও কী ধরনের লোক আমি জানি। জুরিখে একটা মিনি যুদ্ধ শুরু হবে। আমি শুধু ফেলসিয়ার কথা বলছি না, আপনাদের কথাও বলছি- ডোরিগোর খুনীরা আপনাদেরও রেহাই দেবে না ।
উঠে দাঁড়ালেন অটোম্যান। সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা কাঁধ আর খাড়া নাক লক্ষ্য করে এই প্রথম তাঁর চেহারায় ঈগল পাখির বৈশিষ্ট্য ধরতে পারল রানা। ‘পুলিশের সাহায্য নেয়া সম্ভব নয়, মি রানা। কেন সম্ভব নয়, সেটা পরে আপনাকে বুঝিয়ে বলব। তার আগে বলুন, প্লিজ, আপনি কি কেসটা প্রত্যাখ্যান করছেন?’
‘প্রত্যাখ্যান করাই উচিত,’ বলল রানা। ‘আমাদের এজেন্সির একটা নীতি আছে, ক্রিমিনালদের স্বার্থরক্ষা করা সেই নীতার বাইরে। যে পাঁচজন ক্লায়েন্টের কথা আপনারা বললেন, তারা প্রায় সবাই ক্রিমিনাল। তবে…
প্লিজ, মি. রামা। আপনি আমাদের অবস্থাটা একটু বিবেচনা করুন। ক্লায়েন্টরা ভাল কি মন্ত্র তা জানার অধিকার, সুযোগ বা গরজ আমাদের থাকার কথা নয়। আজ একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেই তাদের পরিচয় বেরিয়ে আসছে। তা ছাড়া ক্রিমিনালরা কেউ আপনার সাহায্য চাইছে না, চাইছে অটোব্যাংক- একটা সুইস ব্যাংক।’
.‘তবে…,’ নিজের কথার খেই ধরে বলল রানা, বিশেষ কয়েকটা কারণে কেসটা সম্পর্কে আমি আগ্রহ বোধ করছি।’ তার মধ্যে একটা, মোনা জেনেটি সম্পর্কে ওর কৌতূহল। আরও একটা বিষয়ে কৌতূহল রয়েছে রানার। ক্রেজি ডোরিগো কি এখনও ওর কথা মনে রেখেছে? সে যদি জানতে পারে কোথায় আছে ও, আগের মত ভাড়াটে খুনী পাঠাবে ওকে খুন করার জন্যে? কেসটা আমি নেব কী না তা নির্ভর করছে পুলিশ সম্পর্কে আপনাদের অ্যালার্জির কারণটা জানার ওপর। ব্যাখ্যা করবেন, প্লিজ?’
“আপনার সাথে যোগাযোগ করার আগে পুলিশ ডাকা যায় কিনা ভেবেছি আমরা। সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যায় না।’
‘কারণটা জানতে চাইছি আমি,’ একটু অধৈর্য হলো রানা।
‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে বাস করি বলে আমাদেরকে একটা মাশুল দিতে হয়, মি রানা। আমাদের এখানে পুলিশ মানেই হলো প্রেস। আপনি ইউরোপ আমেরিকায় কাজ করেন, কাজেই আপনারও জানা আছে।’
‘কীভাবে তা অটোব্যাংকের ক্ষতি করবে?
‘আমরা দুটো নিশ্চয়তা দিই বলে লোকজন সুইটজারল্যান্ডে তাদের টাকা খাটায়। তাদের টাকা নিরাপদ থাকবে, টাকার অঙ্ক গোপন থাকবে। সুইস ব্যাংকিং সিস্টেম নিশ্ছিদ্র গোপনীয়তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই গোপনীয়তা রক্ষা করার নিয়ম সবাই আমরা মেনে চলি। কোর্ট বলুন, সরকার বলুন, ইনকামট্যাক্স কর্তৃপক্ষ বলুন, কেউ এই নিয়ম ভাঙবে না। শুধু প্রেসকে আমরা দলে ভেড়াতে পারিনি।
‘পুলিশ জানলে, সারা দুনিয়ার খবরের কাগঞ্জে ব্যাপারটা হেডিং হবে : সুইস ব্যাংকের সিকিউরিটি বানচাল হয়ে গেছে। সুইটজারল্যান্ডে গোপন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আর গোপন থাকছে না। এর তাৎপর্য কল্পনা করতে পারেন, মি.
রানা?
‘বলে যান।’
“নাম্বারড অ্যাকাউন্ট ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আমেরিকার ফ্র্যাঙ্কলিন ন্যাশনাল দেউলিয়া হয়ে গেছে। জার্মানীতে গত দু’বছরে লালবাতি জ্বেলেছে আরও দুটো ব্যাংক, একই কারণে। কিন্তু আমাদের এখানে সে ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে, তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। সুইসদের ব্যাংকিং পদ্ধতির ওপর গোটা বিশ্বের আস্থা রয়েছে। সেটা যদি নষ্ট হয়, সুইটজারল্যান্ডের ইকোনমির ওপর প্রচণ্ড একটা আঘাত নেমে আসবে। অটোব্যাংক তো স্রেফ ধ্বংস হয়ে যাবে। তারচেয়ে দাবির টাকা মিটিয়ে দিলো ব্ল্যাকমেইলারদের সাথে আপোষ করা অনেক ভাল।’
অটোম্যান থামতে রোজেনবার্গ নরম সুরে বললেন, ‘অনেক চিন্তাভাবনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিপদে প্রাইভেট একটা। ইনভেস্টিগেটিং ফার্ম-ই শুধু আমাদেরকে সাহায্য করতে পারে। সত্যি কথা বলতে কী, আপনাকে আমাদের দরকার ব্ল্যাকমেইলারদের সাথে একটা চুক্তিতে আসার জন্যে। টাকা দিতে রাজি আছি আমরা। কিন্তু তা দেয়ার আগে আমরা নিশ্চিত হতে চাই, একবার পেলে আবার তারা চাইবে না।’
মাথা ঝাঁকাল রানা। ‘আপনাদের ব্যাখ্যা মেনে নিলাম আমি, পুলিশকে জানালে অসুবিধে আছে।’
আগ্রহের আতিশয্যে রোজেনবার্গও চেয়ার ছাড়লেন। ‘তারমানে কি আপনি আমাদের কেস গ্রহণ করছেন, মি. রানা?’
আবার মাথা ঝাঁকাল রানা। পরমুহূর্তে একটা ছেলেমানুষি ব্যাপার লক্ষ করে হাসি চেপে রাখা দায় হয়ে উঠল ওর পক্ষে। অটোম্যান আর রোজেনবার্গের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হলো, কে কার চেয়ে আগে রানার সাথে হ্যান্ডশেক
করতে পারেন।
বিজয়ী হলেন রোজেনবার্গ। এক গাল হেসে অটোম্যানকে তিনি বললেন, “ভুলে যেয়ো না, রানা এজেন্সির নামটা আমিই সাজেস্ট করেছিলাম
রানার হাতটা ঝাঁকাতে শুরু করে অটোম্যান বললেন, ‘তুমিও ভুলে যেয়ো না যে তোমার প্রস্তাবে আমি ভেটো দিইনি।’
‘কফি, মি. রানা?’ জিজ্ঞেস করলেন রোজেনবার্গ
“চলতে পারে। ইন্টারকমে সেক্রেটারীকে ডেকে তিন কাপ কফি দিতে বললেন অটোম্যান । ‘কীভাবে আপনি কাজ শুরু করবেন, মি. রানা?’ জানতে চাইলেন তিনি।
*শুরু করবেন আপনারা,’ বলল রানা। ‘আপনার পাঁচজন ক্লায়েন্টকে জানান, অটোব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করছি আমি। তাদের সহযোগিত। দরকার হবে
আমার।’
‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জানিয়ে দেব আমি। আর কিছু, মি. রানা?” হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল, রিসিভার তুলে একটা আলোকিত বোতামে চাপ দিলেন অটোম্যান। ‘হ্যাঁ।’ রিসিভারে হাত চাপা দিয়ে রানা আর রোজেনবার্গের দিকে তাকালেন। ‘মি. গুইডো ফেলসিয়া। অ্যাটাচী কেসটা নিতে আসবেন কিনা জিজ্ঞেস করছেন, আর জানতে চাইছেন তাঁর ব্যাপারে কী করার কথা ভেবেছি আমরা।’
“আমি কথা বলব, রোজেনবার্গ বললেন।
“প্লিজ, লাইনে থাকুন, মি. ফেলসিয়া,’ রিসিভারে বললেন অটোম্যান ‘স্টিভ রোজেনবার্গ এখনও ব্যাংকে রয়েছেন। আমি তাঁর সাথে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছি।’
এগিয়ে আসছেন রোজেনবার্গ, রানা বলল, ‘ব্যাংকে চলে আসতে বলুন তাকে । এই সুযোগে ভাব জানা হয়ে যাবে কেসটা আমি নিয়েছি। ব্যাপারটা তার পছন্দ হলে সলে মনে হয় না।
অক্টোমানের কাজ থেকে রিসিভার নিয়ে রোজেনবার্গ বললেন, ‘মি. ফেলসিয়া? রোজেনবার্গ, এখুনি এসে ব্যাগটা নিয়ে যেতে পারেন আপনি। সে-ই র‍্যাপারটা নিয়ে আপনার সাথে কিন্তু আলোচনাও ছিল। সাইড ডোর দিয়ে ঢুকবেন, মি. ফেলসিয়া, প্লিজ। গুড বাই। গুইডো ফেলসিয়াকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে যোগাযোগ কেটে দিলেন তিনি।
‘গুড,’ বলল রানা, তাকাল অটোম্যানের দিকে। “প্রায় সাতটা বাজে ব্যাংকের ভেতরটা একবার ঘুরে দেখতে চাই আমি। সিস্টেমটা কীভাবে কাজ করে জানা দরকার আমার
*মানে আমাদের সিকিউরিটি সিস্টেম?’
মাথা ঝাঁকাল রানা। কীভাবে কাজকর্ম হয়, তা-ও দেখতে চাই।’
‘আমি নিজে আপনাকে ঘুরিয়ে আনতে পারতাম, মি রানা, অটোম্যান বললেন, “কিন্তু মার্কাস বার্গলারের সাথে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট। তা ছাড়া, সিকিউরিটি আর কাজের দায়িত্বে রয়েছে রোজেনবার্গ, তার হাতেই আপনাকে ছেড়ে দিলাম। রোজেনবার্গ, ঠিক আছে তো?’
“ঠিক আছে, শুধু বাড়িতে একটা ফোন করতে হবে।
নক হলো দরজায়, ট্রে হাতে ভেতরে ঢুকল একজন সেক্রেটারী। কফি পরিবেশন করে মেয়েটা চলে যেতে অটোম্যান রোজেনবার্গকে বললেন, “এখান থেকে ফোন করো বাড়িতে।’
+
“আমি বরং আউটার অফিস থেকে ফোন করি, ওখান থেকে নীচে নেমে অপেক্ষা করব মি. ফেলুসিয়ার জন্যে । তাকে নিয়ে….
‘বেশি সময় দেবেন না তাকে। নীচে নামার সময় অ্যাটাচী কেসটা নিয়ে যান। সে পৌছুলে একটা খবর দেবেন। হের অটোম্যান আমাকে নিয়ে নীচে নামবেন, ফেলসিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবেন লবিতে। ঠিক আছে?’
রানার কথায় রাজি হয়ে কামরা থেকে বেরিয়ে গেলেন রোজেনবার্গ, কফির কাপে মাত্র একবার চুমুক দিয়েছেন।
1
‘মার্কাস বার্গলারের সাথে তো খানিক পর দেখাই হচ্ছে আমার, আপনমনে বললেন অটোম্যান। ‘টড কোরিস আর মোনা জেনেটিকে এখুনি ফোন করে আপনার কথা জানাতে পারি, তাই না? অপেক্ষার সময়টা বসে থাকি কেন?’ ‘ঠিক’ সায় দিল রানা ।
নোটবুক খুলে ডায়াল করলেন অটোম্যান। অপারেটর সাড়া দিতে টড কোরিসকে চাইলেন তিনি। অপারেটর ডায়াল করছে, শব্দটা শুনতে পেল রানা। রিসিভার তোলার ক্লিক আওয়াজটাও কানে এল। হাসির সাথে কথা বলল টেক্সাসের টড কোরিস। ধীরে ধীরে শান্তসুরে পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করলেন অটোম্যান। রানা শুনতে পাচ্ছে, সেই সাথে টের পেল ক্রমশ ভারি টানা টানা আর নেশাগ্রস্ত হয়ে উঠল টড কোরিসের কন্ঠস্বর ।
টড কোরিসের মাতলামি বাধা দিলেও, নিজের কথা শেষ করলেন অটোম্যান। রানা এজেন্সির মি. মাসুদ রানাকে আমরা কেসটার দায়িত্ব দিয়েছি। এ-ধরনের জরুরী পরিস্থিতিতে ওঁরাই গোটা ইউরোপে সেরা প্রতিষ্ঠান। আপনার সাক্ষাৎকার নেবেন তিনি। তার সাথে যদি যোগাযোগ করতে চান, হোটেল হিলটনে পাবেন। তা না করলে আপনার সাথে প্যারেড প্লাজায় দেখা করবেন- তিনি।
উত্তরে টড কোরিস উত্তেজিতভাবে বলছে এই মুহূর্তে অত্যন্ত ব্যস্ত সে, এই সময় যোগাযোগ কেটে দিয়ে আরেক নম্বরে ডায়াল করলেন অটোম্যান। মিষ্টি নারীকণ্ঠ শুনতে পেল রানা, তলপেটের কাছে শিরশিরে একটা অনুভূতি জাগল। লক্ষ করল, অটোম্যান তার গলা একেবারে কোমল করে এনেছেন । টড কোরিসকে যা বলেছেন, মোনা জেনেটিকেও তাই বললেন তিনি ।
‘মোনা জেনেটি বলছেন, মি রানা, বিস্ময়ে বড় বড় হয়ে গেছে অটোম্যানের চোখ, ‘অটোৰানে আপনি যে ব্যস্ততা দেখিয়েছেন, তার কি পরিসমাপ্তি ঘটেছে? যদি ঘটে থাকে, আজ রাতে তিনি আপনার সাথে ডিনার খেতে চান।’
এ-ধরনের আকস্মিক আমন্ত্রণ অপ্রত্যাশিত, প্রত্যাখ্যান করবে কিনা ভাবছে রানা ।
এমন সময় অটোম্যান ব্যাখ্যা করলেন, ‘মোনা জেনেটি বলছেন, শুধু ডিনার খাওয়ার সময়টা ফ্রি থাকবেন তিনি। আপনি যদি…’
‘ঠিক আছে,’ বলল রানা। ‘সাড়ে ন’টা হলে চলবে?’
সময়টা জানালেন অটোম্যান, তারপর দু’একটা কথা শুনে ক্রেডলে নামিয়ে রাখলেন রিসিভার। ‘কী ব্যাপার, মি. রানা? আমি তো কিছুই বুঝলাম না! অটোবানে আপনি ব্যস্ত ছিলেন, এ-কথার মানে কী?’

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top