হ্যাকার – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

হ্যাকার – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৪৯৭

হ্যাকার – বইটির এক ঝলকঃ

তুলে তাকাল। ‘আপনার জন্য কী করতে পারি, সার?’ ‘আপনাদের ব্যুরো চিফের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। ব্যাপারটা জরুরি।’
‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে?’
‘আমি রওনা হবার পর অফিস থেকে ফোন করে নেবার কথা, দিয়েছে নিশ্চয়ই।
‘শুধু ফোন করলেই হবে? অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়েছেন কি না, সেটা শিয়োর হয়ে আসা উচিত ছিল।’
“দেখুন, ব্যাপারটা খুব জরুরি,’ রায়হান বলল। ‘এতসব ফর্মালিটির সময় পাইনি আমরা। আপনারা ভিতরে খোঁজ নিয়ে দেখুন, আপনাদের চিফ নিশ্চয়ই খুব আগ্রহ নিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। মি. মাসুদ রানা জরুরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইলে কেউ ফিরিয়ে দেয় না।’
‘এসব বলে লাভ নেই,’ বলল গার্ড। ‘অনুমতি ছাড়া ভিতরে ঢুকতে পারবেন না
*অনুমতি আছে কি নেই ভিতরে গিয়ে জিজ্ঞেস করে আসুন।’ ‘জিজ্ঞেস করার দরকার নেই, কেউ আসার কথা থাকলে আমাদের এমনিতেই জানানো হয়।’
‘বলতে ভুলে যেতে পারে না?’ বলল রানা। ‘এক্ষুণি খোঁজ নিন বলছি। ব্যাপারটা খুব জরুরি। আমাদের দেরি করালে কিন্তু পরে আপনাদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে-আ করে দিচ্ছি।’
পরস্পরের দিকে তাকিয়ে কাঁধ বে-আগেই
সাবধান
কাল দুই গার্ড। শেষে প্রথমজন বলল, ‘ঠিক আছে, দাঁড়ান একটু। আমি খোঁজ নিচ্ছি।’ দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে গেল সে, ফিরল মিনিট তিনেক পরে। ‘সুসংবাদ। আপনাদের সঙ্গে দেখা করবেন সার।’ পা বাড়াতে গেল রানা, কিন্তু লোকটা হাত তুলে বলল, ‘জাস্ট আ মিনিট, সার। অফিসে ঢোকার আগে আপনাদের দেহতল্লাশি করতে হবে আমাদের- সেটাই নিয়ম।’
জ্যাকেটের আড়াল থেকে নিজের পিস্তলটা বের করে দিল। রানা। ‘তল্লাশির প্রয়োজন নেই, আমার কাছে শুধু এটাই আছে। রায়হান নিরস্ত্র।’
পিস্তলটা নিল গার্ড। ‘আগেই জমা দেয়ায় ধন্যবাদ । দুঃখিত, সার্চ আমাদের করতেই হবে।’
কিন্তু
বিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিল রানা, এদের কিছু বলতে যাওয়া বৃথা। রায়হানকে কথা শোনার ইশারা করে দুই গার্ডের হাতে নিজেকে সঁপে দিল ও। করিডরের দেয়ালের দিকে মুখ করিয়ে দাঁড় করানো হলো দুজনকে, হাত-পা ফাঁক করিয়ে দক্ষ হাতে তল্লাশি চালানো হলো শরীরে। ইউনো-ভাইরাসের সিডি আর দুজনের কাছে মোবাইল ফোন, ওয়ালেট ছাড়া আর কিছু পাওয়া গেল না, জানা কথা – যাবার কথাও নয়। তারপরও হাল ছাড়ল না দুই সি.আই.এ এজেন্ট, বার বার একই জায়গায় খুঁজে দেখছে। সন্দেহ হলো রানার- ইচ্ছে করেই বোধহয় দেরি করছে এরা কারণটা কী?
‘করছটা কী ভোমরা, জানতে পারি?’ প্রশ্ন করল ও সম্বোধনটা এক ধাক্কায় আপনি থেকে তুমিতে নামিয়ে এনেছে। এই ফাজিলদুটোকে সম্মান দেখানোর কোনও মানে হয় না। “ন্যাংটো করেও দেখবে নাকি? আর কত সার্চ করবে?”
কথাটা শুনে বোধহয় টনক নড়ল দুই প্রহরীর, রানা আর রায়হানকে ছেড়ে পিছিয়ে গেল
একজন বলল, ‘কিছু কীর্তি-কাহিনি কম ভাননি তো
করে অপ্রস্তুত হাসি হেসে
মাসুদ রানার
না বাপারে রেখেছেন। শরীরে…বলা যায় না। তাই শিয়োর হয়ে নিলাম। ব্যাপারটা পিয়োরলি প্রফেশনাল।’
দেয়ালের দিক থেকে ঘুরে সোজা হলে! রানা। তীক্ষ্ণ গলায় বলল, ‘কিছু লুকিয়ে রেখেছি মানে? তোমরা কি ভাবছ, আমি এখানে কোনওরকম হামলা চালাতে এসেছি?’
অপ্রস্তুত দেখাল গার্ডদেরকে। ‘না, না… তা বলিনি তো!’
“তা হলে এভাবে সার্চ করার মানেটা কী?
“খামোকা রাগ করছেন, সার, বলল দ্বিতীয় এজেন্ট। ‘আমরা শুধু আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। আসুন আমার সঙ্গে, নিয়ে যাচ্ছি আপনাদেরকে।
“আমাদের জিনিসপত্র ফেরত দাও।’ ‘
‘ওয়ালেটদুটো আপাতত নিতে পারেন। বাকি জিনিস ফেরার পথে পাবেন। সরি… সিকিউরিটির ব্যাপার, বোঝেনই তো!” ‘কিন্তু যে-কাজে এসেছি, তার জন্য সিডিটা আমাদের
দরকার
‘সেটার ব্যাপারে আমাদের ব্যুরো চিফ সিদ্ধান্ত দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত জিনিসটা নাহয় আমাদের কাছেই থাক।’
‘আর এর মধ্যে যদি মোবাইলে জরুরি কল আসে?’ “কথা বলতে দেয়া হবে, চিন্তা করবেন না।
কী আর করা, শুধু ওয়ালেট ফেরত নিয়েই লোকটাকে অনুসরণ করে দরজা ঠেলে অফিসের ভিতরে ঢুকল রানা আর রায়হান। সামান্য এগিয়েই চোখে পড়ল রিসেপশন এরিয়া, সেখানে বড় একটা ডেস্ক নিয়ে বসে আছে অল্পবয়েসী এক মেয়ে। ডেস্কটার সামনে পৌঁছে থেমে গেল গার্ড।
ওয়েলকাম টু সি. আই. এ. মি. রানা অ্যান্ড মি, রশিদ।’ হেসে বলল তরুণী, একটা রেজিস্টার ঠেলে দিল ‘এটা কী?’ জানতে চাইল রানা ।
‘ভিজিটরস্ বুক, স্যর। নাম-ঠিকানা লিখে সই করুন, তারপর পূরণ করে ফেলুন এটা।’ ডেস্কের উপর দু’সেট ফর্ম ঠেলে দিল মেয়েটা।
‘ওটা আবার কী?’
‘পার্টিকুলার্স ফর্ম, স্যর। ভিজিটরদের সমস্ত রেকর্ড রাখার
জন্য।’
‘ওরেব্বাপরে!’ ফর্মটা তুলে চোখ বুলিয়ে বলে উঠল রায়হান। *এখানে তো দেখি শুধু আমার না, পুরো চোদ্দপুরুষের ইতিহাস লিখতে হবে!
‘একটু তাড়াতাড়ি করবেন, সার, মেয়েটার মুখে অনাবিল হাসি। ‘আপনাদের আবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ব্লাড স্যাম্পল আর ডি.এন.এ-স্যাম্পল দিতে হবে। ছবিও তুলতে হবে।
ভুরু কোঁচকাল রানা। ‘তোমরা কি তামাশা করছ আমাদের সঙ্গে?
‘না স্যর, তামাশা হবে কেন? এটা এখানকার স্ট্যাণ্ডার্ড- প্রসিডিওর। ভিজিটর সেজে কেউ ভিতরে ঢুকে যদি স্যাবোটাজ করে রেখে যায়, তা হলে যেন লোকটার সমস্ত রেকর্ড থাকে- সেজন্যেই এই ব্যবস্থা।’
“ভেবেছটা কী আমাকে? এই প্রথম সি.আই.এ-র ব্রাহ্ম
অফিসে আসিনি আমি মালাগুলির হেডকোয়ার্টারেও গেছি। তখন
কোথায় ছিল এসব প্রসিডিওর?”
‘কোনও কারণে হয়তো পনার ব্যাপারে শিথিল করা হয়েছিল নিয়মটা বলল রিসেপশনিস্ট। তবে তখনকার রেফারেন্স দিয়ে লাভ নেই। দুঃখিত, ভিতরে যেতে হলে আপনাদেরকে এখন সব ফর্মালিটি সেরেই যেতে হবে। কিছু একটা গোলমাল আছে, বুঝতে পারছে রানা। ইচ্ছে করেই ওকে হেনস্থা করছে এরা, ভিতরে যেতে বাধা দিচ্ছে । কারণটা কী, জানতে হবে।
‘তো মি. রানা?’ জানতে চাইল মেয়েটা। ‘কী ঠিক করলেন? ফর্মালিটি কমপ্লিট করবেন, নাকি ফিরে যাবেন?
‘চলেই যাই, মাসুদ ভাই,’ রাগী গলায় বলল রায়হান। ‘মরুক এবং…জাহান্নামে যাক!’
“মাথা গরম কোরো না, বাংলায় ওকে বলল রানা। এরা তো চাইছেই আমাদের খেপিয়ে দিয়ে তাড়াতে। দেখাই যাক, না গেলে কী করে?’
“তাই বলে এভাবে অপমানিত হব? সময়ও তো নষ্ট হচ্ছে।’ –
“নাফিজ যতক্ষণ না ড. ডোনেনের খোঁজ বের করতে পারছে, ততক্ষণ সময় আছে আমাদের হাতে। চলো, এদের নিয়মেই খেলি আপাতত। চিন্তা কোরো না, অপমানের প্রতিশোধটা সময়মত নেব অবশ্যই।’
রিসেপশনিস্টের দিকে ফিরল রানা। ইংরেজিতে বলল, ‘কলম
হবে?
দুটো বলপয়েন্ট এগিয়ে দিল মেয়েটা, তারপর আঙুল ভুলে পাশের একটা দরজা দেখিয়ে দিল। বলল, ‘ওখানে চলে যান, বসার ব্যবস্থা আছে।’
টো, সোফা আর
ভিজিটরস্ বুকে সই করে ফর্মসহ ছোট্ট রুমটার গিয়ে ঢুকল রানা আর রায়হান। ওয়েইটিং সেন্টারটেবিল আছে। বিশ্ব লাগিয়ে জটিল ফর্মটা পূরণ করল ওরা। খানিক পরে অ্যাপ্রন পরে ডাক্তারের সাজে দুজন লোক হাজির হলো। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিল, নিল, হাঁ করিয়ে গালের ভিতর দিক থেকে নাম কোষত সংগ্রহ করল–ডি. এন. এ

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top