ফেরাউনের গুপ্তধন – আসাদ বিন হানিফ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ আসাদ বিন হানিফ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৬৩
ফেরাউনের গুপ্তধন – বইটির এক ঝলকঃ
শক্ত সামর্থ, সাহসী ও কমাণ্ডো অভিযানে পারঙ্গম পঞ্চাশজন লোক খুঁজে বের করতে পনেরো-বিশ দিন লেগে গেল। এরা অধিকাংশই ছিল ক্রুসেড কমাণ্ডো। যে কজন মুসলমান ছিল, তারাও ছিল খৃস্টানদের তল্পীবাহক। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর শুরু হল অভিযান। অভিযাত্রীরা যাত্রা করল নির্দিষ্ট গন্তব্যে ।
কায়রো থেকে তারা বেরোলো আলাদাভাবে। তিন-চার জনের একেকটি ক্ষুদ্র দল মুসাফিরের বেশে, ব্যবসায়ী হিসাবে কায়রো থেকে বের হয়ে গেল।
কন্তুরী রওনা হলো একজন পর্দানশীল সম্মানিত মহিলা সেজে। মার্ক লী সাজলো তার স্বামী।
তাদের সাথে আছে দু’জন সফর সঙ্গী। একজন খৃষ্টান, অন্যজন ছিল মুসলমান। মুসলমান লোকটির নাম ইসমাইল। আহমদ দারবীশ তাকে এ দলে ঢুকিয়েছে। এ লোক অর্থের বিনিময়ে বা নিজের স্বার্থে যে কোন অন্যায় কাজ করতে পারতো। সে ভাড়াটে খুনী হিসাবেও কাজ করতো। সমাজের নিকৃষ্ট লোক হওয়ার পরও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ তাকে ভয় করত, – সালাম দিত।
মার্ক লী তার স্বভাব চরিত্র ভাল করেই জানতো। কিন্তু এই মিশনে সে তাকে বিশ্বস্ত বলেই গণ্য করল। অভিযাত্রীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। তাদেরকে আঠারো মাইল দূরে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় একত্রিত হতে বলে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক দলই তীর, ধনুক ও তলোয়ার সাথে নিয়েছে। তাদের সাথে রশি এবং গর্ত খোড়ার সরঞ্জামও ছিল।
মার্ক লীদের দলই সবার আগে সেখানে গিয়ে পৌঁছলো। মার্ক লী ওদেরকে পাহাড়ের এক নির্জন এলাকায় নিয়ে গেল। সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই সেখানে তারা তাবু টানিয়ে ফেলল । তারা আশা করতে লাগল, রাতের মধ্যেই তাদের অন্যান্য সাথীরাও এসে পৌঁছে যাবে।
সূর্য ডুবে গেছে অনেকক্ষণ আগে। এতক্ষণ ওরা তাবুর বাইরে বসে গল্পগুজব করছিল। মার্ক লী বলল, ‘এবার তাবুতে ফিরতে হয়। তোমাদের একজন সব সময় পাহারায় থাকবে, অন্যজন ঘুমোবে।’
কত্তুরীর হাত ধরে মার্ক লী উঠে দাঁড়াল। ইসমাইল তাকিয়ে রইল কন্তুরীর দিকে। কস্তুরীকে ও ভাল করেই চেনে, কিন্তু কত্তুরী জানে না ইসমাইল কি দুরস্ত ও ভয়ংকর লোক ।
ক্রোকের রণাঙ্গণে নূরুদ্দিন জঙ্গীর জয় সুসম্পন্ন হলো। জয় লাভের পরপরই তিনি ক্রাক দূর্গ ও শহরের আইন-শৃংখলা ও শাসন ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করার দিকে মনযোগ দিলেন। তাঁর টহলদার বাহিনী শহরের বাইরেও দূর-দূরান্ত পর্যন্ত টহল দিয়ে বেড়াতে লাগল। এর ফলে খৃস্টানরা আবার সংগঠিত হয়ে আক্রমণ করবে এ সুযোগ শেষ হয়ে গেল ।
সুলতান খবর পেয়েছিলেন, পালিয়ে যাওয়া খৃস্টান সৈন্যদের কারো কারো মধ্যে পূনরায় সংগঠিত হয়ে অতর্কিতে রাতের আঁধারে হামলা করার চিন্তা কাজ করছে। এর প্রমাণও তিনি পেলেন । টহল বাহিনীর সাথে খৃস্টানদের এ ধরনের কয়েকটা ছোট ছোট দলের সংঘর্ষ হলো এবং তারা অল্পতেই পরাজয়’ বরণ করে পালিয়ে গেল।
সুলতান নূরুদ্দিন জঙ্গী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সুলতান আইয়ুবী এমন এক রণাঙ্গণে যুদ্ধ করছিলেন, মিশরে যে রণাঙ্গণ খৃষ্টান ও তাদের দালালরা খুলে রেখেছিল। এই সেক্টর ছিল আরো ভয়াবহ, আরো ভয়ংকর ও জটিল ।
সুলতান আইয়ুবী সশস্ত্র লড়াইয়ে যেমন পারঙ্গম, কুটনীতি ও ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায়ও তেমনি সজাগ, সচেতন ও সক্ষম ছিলেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সেক্টরে তিনি সফল আঘাত হেনেছেন এবং এখনো ক্রমাগত আঘাত হেনে চলেছেন। কিন্তু এমন কিছু সেক্টর তখনো ছিল যার খবর তাঁর জানা ছিল না। – ফেরাউন দ্বিতীয় রিম্যান্সের কবর ও গুপ্তধন অনুসন্ধানের অভিযান তার অন্যতম ।
নৈশভোজের পর সুলতান আইয়ুবী সেনাপতি ও অন্যান্য অফিসারদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছেন। সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসাররা ছাড়াও এতে হাজির হয়েছেন গোয়েন্দা বাহিনী প্রধান আলী বিন সুফিয়ান এবং পুলিশ বাহিনী প্রধান গিয়াস বিলকিস।
সুলতান আইয়ুবী আজই ভোরে সুলতান নূরুদ্দিন ‘জঙ্গীর এক দীর্ঘ পত্র পেয়েছেন। বৈঠকের শুরুতেই তিনি সেই দীর্ঘ চিঠির প্রয়োজনীয় অংশটুকু সবাইকে পাঠ করে শোনালেন।
জঙ্গী লিখেছেন, “প্রিয় সালাহউদ্দিন; আল্লাহ তোমাকে সুস্থ শরীরে সহিসালামতে বাঁচিয়ে রাখুন। ইসলামের হেফাজতের জন্য তোমার বিশেষ প্রয়োজন। ক্রাক ও আশেপাশের এলাকা এখন শত্রু মুক্ত। টহল বাহিনী দূর দূরান্ত পর্যন্ত পাহারা দিয়ে যাচ্ছে। প্রথমদিকে ক্রাকের বাইরে পালিয়ে যাওয়া ক্রুসেডারদের ছোটখাট দল আমাদের টহল বাহিনীর সাথে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও এখন অবশ্য সে সমস্যা নেই।
তোমার কমাণ্ডো ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রশংসা না করে পারছি না। তারা দুর্দান্ত সাহসী, পরিশ্রমী এবং নিবেদিতপ্রাণ। তুমি তাদের গড়ে তুলতে যে পরিশ্রম ব্যয় করেছো, তারা এখন তার মূল্য দিচ্ছে। তোমার গোয়েন্দা বিভাগ তার চেয়েও বীর, সাহসী, হুশিয়ার এবং বিচক্ষণ! তাদের চোখ দিয়ে আমি এত দূরে বসে থেকেও শত্রুদের প্রতিটি গতিবিধি স্পষ্ট দেখতে পাই ।
তাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাচ্ছি তাতে আমার মনে হচ্ছে, খৃস্টানরা আবার আমাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হচ্ছে। তারা উত্যক্ত করছে যেন আমরা অগ্রসর হয়ে তাদের ওপর আক্রমণ চালাই। তুমি জান, আমাদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস আমাদের গন্তব্য স্থান। আমাদের সে লক্ষ্যস্থল এখনো অনেক দূর। আমি জানি, তুমি এই দূরত্ব ও লম্বা সফর নিয়ে ভীত হওয়ার লোক নও । আমিও দূরত্ব নিয়ে ভাবছি না, ভাবছি পথের নানা অসুবিধা ও বাধাবিঘ্ন নিয়ে। বায়তুল মুকাদ্দাস পৌঁছতে আমাদের অনেক দূর্গ জয় করতে হবে। এইসব দূর্গের মধ্যে কয়েকটি খুবই মজবুত
ক্রুসেডাররা আমাদের প্রথম কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাসে পৌঁছার পথে অনেকগুলো প্রতিরক্ষা ঘাঁটি নির্মাণ করে রেখেছে। তোমার গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, ওরা আবার শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা গ্রীস ও ইটালীর নৌবাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ করে মিশরের উপর আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওরা মিশরের উত্তরাঞ্চলে ভূমধ্যসাগর তীরে সৈন্য নামাবে। সে জন্য তোমাকে অবস্থার প্রেক্ষিতে সতর্ক থাকতে হবে।
আমার পরামর্শ হচ্ছে, তুমি এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করো। বেশী করে দূরপাল্লার অগ্নিনিক্ষেপকারী ভারী মেনজানিকের মজুদ গড়ে তোল। উত্তরাঞ্চলের সমুদ্র তীরে শত্রুদের যুদ্ধ জাহাজ এলে তাদের কোন বাঁধা দিও না। তাদেরকে কুলে ভিড়ার সুযোগ দিও। তারা যেন এই আনন্দেই মশগুল থাকে যে, তারা তোমার অজ্ঞাতেই এসে পৌঁছে গেছে । তাদের সৈন্যরা যখন জাহাজ থেকে নেমে যাবে তখন খালি জাহাজগুলোতে অগ্নিবর্ষণ করবে, আর ক্রুসেড বাহিনীকে তাদের পছন্দ মত জায়গায় আশ্রয় নেয়ার সুযোগ দেবে।
তোমার বর্তমান সমস্যা ও অসুবিধার কথা আমার অজানা নয়। তোমার কাসেদ সবই আমাকে বলেছে। কাবার প্রভূর কসম! ক্রুসেডদের সব সম্রাট যদি একত্র হয়ে তুফানের বেগে ধেয়ে আসে তবুও রাসূলের উম্মতের কোন ক্ষতি তারা করতে পারবে না। প্রতিটি ময়দান প্রমাণ করছে, মুসলিম জাতি কুরবানী দিতে জানে। এ জাতি আত্মত্যাগের বলে বলীয়ান জাতি ৷
কিন্তু আফসোস সালাহউদ্দিন, কিছু ঈমান বিকানো গাদ্দার . মুসলিম জাতির পায়ে গোলামীর শিকল পরাতে ব্যস্ত । তাদের কারণেই আজ তুমি কায়রোতে আটকা পড়ে আছো। তাদের ‘কারণেই বাগদাদ তোমাকে ডাকছে। এই গাদ্দাররা নারী, মদ ও অঢেল অর্থ ছড়িয়ে আমাদের মাঝে ফুটো তৈরী করছে। যদি আমাদের ঘরে শান্তি ও বিশ্বাস বিরাজ করতো, তবে আমরা দু’জন মিলে ক্রুসেডদের সঙ্গে সহজেই মোকাবেলা করতে পারতাম। কিন্তু কাফেররা এমন ভয়ানক চাল চেলেছে যে,
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!