ইবনে বতুতার ভ্রমন কাহিনী – আহসানুল হক – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ আহসানুল হক
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৩
ইবনে বতুতার ভ্রমন কাহিনী – বইটির এক ঝলকঃ
পরিস্থিতি গরম উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট মোশাররফকে আমেরিকা ও ব্রিটেন সহযোগী সামরিক জোটে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করছে বলে মন্তব্য করলাম। এটি মোশাররফের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত, এমনকি এর ফলে তাঁর রাজনৈতিক জীবনও শেষ হয়ে যেতে পারে।
আমি বলেই চললাম, ১১ তারিখের নারকীয় ঘটনার জন্য সবাই শোকাহত। কিন্তু এর পেছনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। মানুষ এখনো দুর্ঘটনার আকস্মিক ঘোর কাটিয়ে উঠতেই পারেনি। অনেকে এখনো শোকে মুহ্যমান। কারও কারও স্বজনদের দেহাবশেষ হয়তো আর পাওয়াই যাবে না। এই সময় যুদ্ধ অথবা ক্রুসেডের কথা বলা সমীচীন নয়। আমি পেছনে স্প্যানিশ ভাষায় কাউকে কথা বলতে শুনলাম। ব্যস্ত বার্তাকক্ষে কোনো একজন পুরুষ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিলাম।
প্রতিবেদক আমাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে এক মিনিট অপেক্ষা করতে বললেন। খানিক পরই তিনি জানালেন, আমার বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। হায় খোদা, আমি ভেবেছিলাম, কোনো একজন সহকর্মীর সঙ্গে গল্পচ্ছলে কথা বলছিলাম। অথচ মাত্রই দক্ষিণ আমেরিকার লাখ লাখ শ্রোতা আমার বক্তব্য শুনে ফেলেছেন।
মিরিয়ামকে জানাতেই ও হেসে দিল। ইতস্তত ঘুরতে ঘুরতে অবজারভার-এর প্রধান প্রতিবেদক জ্যাসন বুর্কের সঙ্গে দেখা হলো। বহু বছর পরে দেখা হওয়ায় আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম। এখন অবজারভার-এর হয়ে নিয়মিত দৈনন্দিন নিয়ম মেনে চাকরি করলেও জ্যাসন প্রায় দুই বছর লন্ডনে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করে বেড়িয়েছে। পরে অবজারভার থেকে তাকে এশিয়ার প্রধান প্রতিবেদকের পদে নিযুক্ত করা হয়। সানডে টাইমস-এর অনুসন্ধানী দলে আমরা একই সঙ্গে কাজ করতাম। খবরের সন্ধানে এখানে-ওখানে চষে বেড়িয়েছি। ও বিদেশ চলে যাওয়ার পরও আমাদের মধ্যে মাঝেমধ্যে ই-মেইলে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।
অনেক দিন পর এই বিদেশ বিভুঁইয়ে সাক্ষাৎ হওয়ায় ভালোই লাগল । জ্যাসন সানডে টেলিগ্রাফ-এর ক্রিস্টিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল। একটা কাজে জ্যাসন কোথাও চলে গেলে আমি আর ক্রিস্টিনা একই সঙ্গে রাতের খাবার সারি। আমার কাছে সামান্য পরিমাণ পাকিস্তানি রুপি ছিল। তাই ক্রিস্টিনা বিল দিতে চাইলে আমি অস্বীকার না করে পরের বেলায় আমিই খাওয়াব বলে কথা দিলাম। ক্রেডিট কার্ড থাকলেও সম্ভব হলে রুপিতেই বিল পরিশোধ করতাম। (এই বইটা লেখার সময়ও ক্রিস্টিনাকে এক বেলা খাওয়াতে আমি হন্যে হয়ে ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি।)
কয়েক সপ্তাহ পরে ক্রিস্টিনা নিজেই খবরের শিরোনাম হয়ে যায়। ও আর ওর চিত্রগ্রাহক জাস্টিনকে কোয়েটা পুলিশ সেরেনা হোটেলের রুম থেকে ধরে নিয়ে যায়। শুনেছি, ক্রিস্টিনা উসামা বিন লাদেন নামটি ব্যবহার করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ একটা ফ্লাইটে বুকিং দেওয়ার চেষ্টা করছিল। নভেম্বরের দিকে ক্রিস্টিনাকে পাকিস্তান থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে এক স্থানীয় পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে দাবি করে, তার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। সে শুধু কোয়েটা থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সযোগে একটা ফ্লাইট বুকিং দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
আমরা সেদিন রাতে খেতে খেতে খুব আপন মানুষের মতোই মিশে গিয়েছিলাম। দুজন সাংবাদিকের মধ্যে প্রেম ও এর পরিণতি নিয়ে আমরা চুটিয়ে গল্প করেছি। বার্তা কক্ষগুলো সব সময়ই এসব রসালো গল্পের জন্য কান পেতে থাকে। যদিও আমি আগেই বলেছি, একজন সাংবাদিকের জন্য সাংবাদিক ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তবু আমি পেশাগত জীবনে এ ধরনের সম্পর্ক থেকে নিজেকে সযতনে দূরে সরিয়ে রাখতাম। কারণ, সাংবাদিকেরা অনেক অসতর্ক ও অবিবেচক হয়ে থাকে। সাংবাদিকদের যেকোনো খবর আগেভাগে প্রচার করার প্রবণতা কখনো কখনো বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।
গল্পের ফাঁকে জন সিম্পসনের খবরে আমাদের মনোযোগ ছুটে গেল। এই দণ্ডায়মান পর্বত বোরকার আড়ালে এক গোপন মিশনে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছেন। এক খোলা ওয়াগনে সবার শেষে নিচু হয়ে নারীদের মতো সাজপোশাকে তিনি আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছেন।
এটা ছিল নীতিবহির্ভূত হাস্যকর সংবাদ। তিনি কাজের প্রতি চরম নিষ্ঠাবান এবং কখনোই হাল ছাড়েন না। তার পরও আমি এসবের পেছনে কোনো যুক্তি খুঁজে পেলাম না। হয়তো এর পেছনের গুরুত্বপূর্ণ কারণটি আমার চোখে ধরা পড়েনি। তবে বোরকা পরে জন সিম্পসনের খবর সংগ্রহের জন্য অবৈধভাবে ছদ্মবেশে আফগানিস্তানে ঢোকার সংবাদ হাস্যকর মনে হলো। আমি ও ক্রিস্টিনা দুজনই হেসে দিলাম। কিছুটা প্রশংসায় এবং কিছুটা বিষয়টি হাস্য রসাত্মক হওয়ায়।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!