ভূতের মেয়ে লীলাবতী – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

ভূতের মেয়ে লীলাবতী – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩০

ভূতের মেয়ে লীলাবতী – বইটির এক ঝলকঃ

রাণীর এক দাসী বললো – রাণী মা, সামনেই একটা বাড়ী দেখতে পাচ্ছি। ওখানে গেলে নিশ্চয়ই পানি পাওয়া যাবে।
শুনে রাণী বললেন—তাহলে ঐ বাড়ীতেই আমাকে নিয়ে চলো । শিগির ।
রাণীর হাত ধরে দাসীটা রাণীকে ঐ কাঠুরিয়ার বাড়ীর ভেতরে নিয়ে এলো। রাজরাণী পিপাসায় ভীষণ কাতর দেখে কাঠুরিয়া বউ তাড়াতাড়ি এক জগ পানি এনে দিলো। রাণী এক চুমুকে জগের অর্ধেকটা পানি খেয়ে জগটা রেখে দিলেন। কাঠুরিয়া বউয়ের সাথে লীলাবতী ও রাজরাণীর কাছে এসেছিল। অন্ধরানীর দুই চোখ কেঁদে কেঁদে ফুলে উঠেছে দেখে লীলাবতীর খুব মায়া হলো। সে জগ থেকে কিছুটা পানি নিয়ে রাণীর দুই চোখে ছিটিয়ে দিলো। এরপর আঁচল দিয়ে রাণীর দুই চোখ মুছে দিলো।
সাথে সাথেই অবাক কাণ্ড। তখনই রাণীর দুই চোখ ভাল হয়ে গেল। আগের মতোই তিনি সব কিছু সুন্দরভাবে দেখতে পেতে লাগলেন। লীলাবতী তাঁর সামনেই ছিল। লীলাবতীর দিকে চেয়েই তিনি আরো তাজ্জবের উপর তাজ্জব হয়ে গেলেন। রাজরাণী দেখলেন, তার চুরি যাওয়া শাড়ী-গয়না লীলাবতীর গায়ে। এমনকি তাঁর মুক্তোর মালাটাও লীলাবতীর গলায় !
এটা সম্ভব হলো কি করে আর মেয়েটি তাঁর চোখ মুছে দেয়ার সাথে সাথে তাঁর দুই চোখ ভাল হয়ে গেল কি কারণে? এসব ভাবতে গিয়ে রাণী দিশেহারা হয়ে গেলেন। তাঁর তো কোনো মেয়ে নেই। একটাই ছিলো, কিন্তু জন্মের একদিন পরেই সে মারা গেছে। তাহলে তাঁর মেয়ে এলো কোথা থেকে ? দরবেশের ও কথার মানে কি ? রাণী ভাবছে আর ভাবছে।
ভাবতে ভাবতে রাণীর হুঁশবুদ্ধি সব হারিয়ে গেল। একদম বোবা হয়ে গেলেন তিনি। শুধুই ফ্যাল ফ্যাল করে সবার দিকে চেয়ে রইলেন। মুখ থেকে আর কোনো কথাই বেরোলো না ।
অনেক সময় কেটে গেল। তবুও রাণীর মুখে আর কোনো কথাই ফুটলো না। দাসীটা আর করে কি ? রাণীকে ধরে নিয়ে সে তাড়াতাড়ি পালকীতে ফিরে এলো। পালকীর বাহকদের বললো- খুব তাড়াতাড়ি আমাদের রাজবাড়ীতে পৌঁছে দাও। রাণীমা খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
পালকী ফের রওয়ানা হলো। ঘটনা কি—তা লীলাবতী, কাঠুরিয়া আর কাঠুরিয়া বউ, কেউ কিছুই বুঝতে পারলো না ।
রাজবাড়ীতে ফিরে আসার পর রাজরাণী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেন। দুই একটা করে কথাও বলতে লাগলেন। কিন্তু ভাবনা তাঁর আর গেলোনা। কেবলই ভাবতে লাগলেন, কি অসম্ভব ব্যাপার ! মেয়েটি কে ? মেয়েটি তাঁর চোখ মুছে দিতেই তার চোখ ভাল হয়ে গেল। —এর মানে কি ? তাঁর শাড়ী গয়নাইবা মেয়েটি পেলো কোথায় ? ওদিকে আবার দরবেশ যে বললেন, তাঁর নিজের মেয়ে চোখ মুছে দিলেই তবেই চোখ তাঁর ভাল হবে? ওটা তো কাঠুরিয়ার মেয়ে !

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top