আলোর মিছিল ২য় খণ্ড – ডঃ আব্দুর রহমান রাফাত পাশা – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

 আলোর মিছিল ২য় খণ্ড – ডঃ আব্দুর রহমান রাফাত পাশা – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ ডঃ আব্দুর রহমান রাফাত পাশা

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৯৮

আলোর মিছিল ২য় খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ

সীরীন বিয়ে করার ইচ্ছা করলেন ।
যখন আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) তাঁকে মুক্ত করে দিলেন এবং তাঁরও ব্যবসায় প্রচুর লাভ আসতে লাগল। কারণ, তিনি একজন দক্ষ তৈজসপত্র প্রস্তুতকারী ছিলেন। স্ত্রী হিসেবে তিনি পছন্দ করেছিলেন আমীরুল মু’মিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) এর দাসী সফীয়্যাকে।
সফীয়্যাও ছিলেন উজ্জ্বল লাবণ্যময়ী তরুণী, স্বচ্ছ মন এবং উন্নত চরিত্রের অধিকারিনী। মদীনার পরিচিত রমনীদের মাঝে সবার প্রিয়পাত্রী। এক্ষেত্রে যে সকল যুবতীদেরকে যৌবনের বন্ধন একত্রিত করেছিল এবং যে সকল বৃদ্ধাদের জন্য তিনি ছিলেন বুদ্ধির পরিপক্কতায় ও আচার আচরণের গাম্ভির্যে দৃষ্টান্ত স্বরূপ তাদের মাঝে কোন পার্থক্য ছিল না। উম্মুল মু’মিনীনগণ তাঁকে
অত্যন্ত ভালবাসতেন ।
বিশেষভাবে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)।
সীরীন আমীরুল মু’মিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) এর নিকট গিয়ে তাঁর বাঁদী সফীয়্যাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন
সিদ্দীকে আকবারও তড়িঘড়ি প্রস্তাবকের দ্বীনদারী ও আচার আচরণ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লেন। যেমন একজন স্নেহপরায়ন পিতা তার কণ্যা সম্পর্কে প্রস্তাবকারীর ক্ষেত্রে করে থাকেন। আর এটা কোন আশ্চর্যের বিষয় নয়। কারণ, সিদ্দীকে আকবর (রাযিঃ) ও সফীয়্যার পিতৃতুল্য ছিলেন। তদুপরী সফীয়্যার সকল দায় দায়িত্ব আল্লাহর তায়ালা তাঁর কাঁধেই নাস্ত করেছিলেন। আমীরুল মু’মিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) সীরীন সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান চালাতে লাগলেন ও তার আচার আচরণ সম্পর্কে খোঁজ করতে লাগলেন।
সীরীন সম্পর্কে তিনি যাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) ছিলেন তাদের শীর্ষে I
আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) হযরত সিদ্দীকে আকবরকে বললেন : আমীরুল মু’মিনীন! সফীয়্যাকে সীরীনের নিকট বিয়ে দিয়ে দিন। এ ব্যাপারে আপনি শংকিত হবেন না। কারণ, সীরীন সম্পর্কে আমি সঠিক দ্বীনদারী, উন্নত চরিত্র এবং সৎকাজের প্রতি অনুরাগী ছাড়া আর কিছুই জানি না ।
আইনুত্তামারের যুদ্ধে হযরত খালেদ ইবনে অলীদ কর্তৃক চল্লিশজন কৃতদাসের সাথে বন্দী হয়ে আসার পর আমার সাথেই তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। অতঃপর মদীনায় আনার পর সীরীন আমার অংশে রয়ে যায়। আর আমিও তার কাছে প্রিয় হয়ে যাই। যিনি বিশ বৎসর পর তাবেঈদের মাঝে দৃষ্টান্ততুল্য এবং মুসলমানদের মাঝে বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন, তিনি হলেন “মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন”
তাহলে এসো এই মহান তাবেঈ মুহাম্মাদ ইবনে সীরীনের জীবন ইতিহাস প্রথম থেকে আলোচনা করি। কারণ, ফারুকী খেলাফতের শেষের দিকে মুসলমানরা সেখানে বসতি গড়তে আরম্ভ করে এবং ইসলামের বিশেষ ব্যক্তিরা সে সময় প্রতিনিধিত্ব
করতে থাকেন।
কারণ এ শহরটি আল্লাহর পথে জিহাদে রত সেনাদের জন্য সেনানিবাস হিসেবে পরিণত হয়।
তদুপরি ইরাক ও পারস্য অধিবাসীদের মাঝে নতুন ধর্মে দীক্ষিতদের শিক্ষা-দীক্ষা এবং পরিচালনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে গণ্য হতে থাকে।
বসরা নগর তখন ছিল ইসলামী সমাজে জীবন্ত প্রতিকৃতি যা দুনিয়ার জন্য কাজ করলে মনে হয় চিরকাল থাকবে আর পরকালের জন্য কাজ করলে মনে হয় যেন আগামীকালই মৃত্যু বরণ করবে। দিবসের মধাহ্নেও তিনি বেচাকেনার সময় লোকদেরকে পরকাল সম্পর্কে সজাগ করতে ভুলতেন না ।
এবং পার্থিব জগৎ সম্পর্কে সচেতন করতেন
আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের জন্য তাদের সুন্দর সুন্দর কথা শোনাতেন ।
তাদের দিকনির্দেশনা দিতেন
মানুষের মাঝে সৃষ্ট বিবাদের মীমাংসা করতেন।
মাঝে মাঝে তাদের হীনমন্যতা দূর করার জন্য মজার মজার কথা শোনাতেন, তবে এক্ষেত্রেও তিনি তার গাম্ভীর্য ও মর্যাদাকে অটুট রাখতেন। কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে সুস্পষ্ট পথের দিশা দান করেছিলেন এবং গ্রহণীয় ও অনুসরণীয় করেছিলেন। তাঁকে দেখামাত্রই বাজারের লোকেরা আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত হয়ে যেতো।
মুহাম্মাদ ইবনে সীরীনের আমলী জিন্দেগী মানুষের জন্য উত্তম পথ নির্দেশক। ব্যবসার ক্ষেত্রে দুটি দিক তাঁর সামনে উপস্থিত হলে দ্বীনের ব্যাপারে অধিক নির্ভরযোগ্য পথটিই অবলম্বন করতেন। যদিও এতে তাঁর পার্থিব কিছুটা ক্ষতি হতো।
ধর্মীয় বিষয়াদী সম্পর্কে তাঁর সূক্ষ্ম জ্ঞান ছিল ।
বৈধ ও অবৈধ সম্পর্কে তাঁর সঠিক চিন্তাধারা ছিল ।
তিনি কখনো এমন সিদ্ধান্ত নিতেন, যা মানুষের নিকট দুর্বোধ্য মনে হতো।
একবার এক ব্যক্তি মুহাম্মাদ ইবনে সীরীনের নিকট দু’দেরহাম দাবী করল…

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top