আলোর মিছিল ৪র্থ খণ্ড – ডঃ আব্দুর রহমান রাফাত পাশা – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ ডঃ আব্দুর রহমান রাফাত পাশা
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৮২
আলোর মিছিল ৪র্থ খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ
‘আবলার’ অধিবাসীরা তাদেরকে সসম্মানে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিল এবং তাদেরকে নিজেদের প্রতিবেশী হিসেবে গ্রহণ করে নিল
তারা মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহকে তার আন্তরিক ইবাদাত ও সত্যিকার দুনিয়ার নির্মোহতার কারণে ভালবাসল
তিনি তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করতে লাগলেন
অসৎ কাজ থেকে বাঁধা দিতে লাগলেন
মুহাম্মদ ইবনে হানাফিয়্যাহ তাদের মাঝে ইসলামের নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করতে লাগলেন এবং ঝগড়া বিশৃঙ্খলার মিমাংসা করতে
লাগলেন…
কোন মানুষকেই অন্যের প্রতি জুলুম করতে দিচ্ছিলেন না
এ সংবাদ আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের নিকট পৌঁছলে তার কাছে তা কষ্টদায়ক হল
তিনি তার একান্ত ব্যক্তিদের কাছে পরামর্শ চাইলে তারা তাকে পরামর্শ দিল ঃ
ঃ আপনি তাঁর আচরণ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল হওয়ার কারণে আমরা মনে করি না যে, আপনি তাকে আপনার রাজ্যে অবস্থান করতে দেবেন হয়তো তিনি আপনার হাতে বায়আত করবেন
অথবা তিনি যেখান থেকে এসেছেন সেখানেই ফিরে যাবেন। অতঃপর আব্দুল মালিক তাঁর উদ্দেশ্যে লিখলেন :
আপনি আমার রাজ্যে এসেছেন এবং এর একাংশে অবস্থান করছেন আর খলীফা হওয়া নিয়ে যে দ্বন্দ্ব আমার ও আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাযি.) -এর মাঝে বিদ্যমান তা চলছে …..
অথচ মুসলমানদের হৃদয়ে আপনার প্রতি একটি ভিন্ন মর্যাদা ও অবস্থান রয়েছে।
আমি মনে করি, আমার হাতে বায়আত গ্রহণ করে তবেই আপনি আমার রাজ্যে অবস্থান করবেন ।
যদি আপনি আমার হাতে বায়আত গ্রহণ করেন তবে ইনআম স্বরূপ আপনার জন্য থাকবে গতকালই ‘কালজাম’ থেকে আসা একশত জাহাজ। ও তার মাঝে বিদ্যমান সবকিছু আপনার অধীনস্তদের
এর সাথে আরো থাকবে দিরহাম এবং আপনি আপনার নিজের জন্য, আপনার সন্তানদের জন্য, আপনার আত্মীয়দের জন্য, জন্য এবং আপনার সহযোগীদের জন্য যা চাবেন তা
আর যদি এতে অস্বীকৃতি জানান তবে এমন কোথাও চলে যান যেখানে আমার কোন ক্ষমতা নেই ….
আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের চিঠির জবাবে মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ লিখলেন :
মুহাম্মাদ ইবনে আলীর পক্ষ থেকে আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের নিকট
আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
নিশ্চয়ই আমি ঐ আল্লাহর প্রশংসা করছি যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷
পরসমাচার সম্ভবত আপনি আমাকে ভয় করছেন
এবং আপনি এ ব্যাপারে আমার মৌলিক অবস্থান সম্পর্কেও জানেন
আল্লাহ তা’আলার শপথ, যদি সমগ্র জাতিও সম্মিলিত হয়ে আমার পাশে জড়ো হয়। আর একটি কবীলা তাদের থেকে আলাদা থাকে তবে কখনোই আমি মেনে নেব না।
এবং সেই কবীলার বিরুদ্ধেও লড়ব না
আমি মক্কায় ছিলাম, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাযি.) চেয়েছেন, আমি তার হাতে বায়আত গ্রহণ করি। যখন আমি অস্বীকৃতি জানালাম, তিনি আমার
সংগীদের সাথে মন্দ আচরণ করলেন।
অতঃপর আপনি চিঠি লিখে আমাকে সিরিয়ায় অবস্থানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, তাই আমি আপনার রাজ্যের এক দূর দিগন্তে অবস্থান করেছি, কারণ স্থানটির মূল্য কম এবং শাহী দরবার থেকে দূরে
এরপর আমাকে আপনি যা লেখার তাতো লিখেছেনই ইনশাআল্লাহ আমি এখান থেকে চলে যাব মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ (রহ.) তার লোকজন ও পরিবার পরিজনদের নিয়ে সিরিয়া থেকে ফিরে চললেন
তিনি যেখানেই অবস্থান করতে লাগলেন সেখান থেকেই তাঁকে বের করে দেয়া হচ্ছিল। তাঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছিল।
তাঁর দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না। এরই মধ্যে আল্লাহ তা’আলা তাঁকে ভিন্ন আরেক দুশ্চিন্তা দিয়ে পরীক্ষা নিতে চাইলেন। যা ছিল তার জন্য আরো কষ্টদায়ক ও বেদনাদায়ক
তার অনুসারীদের মধ্যে যাদের হৃদয়ে ব্যাধি আছে ….
কিছু সংখ্যক লোক যাদের মস্তিষ্কে আছে উদাসীনতা….
তারা বলতে লাগল :
নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আলী (রাযি.) এবং তার পরিবারের বক্ষে অনেক সুপ্ত জ্ঞান, ধর্মীয় নীতিমালা এবং শরীয়তের বহু আহকাম গচ্ছিত রেখে গেছেন।
সে সব বিষয় সম্পর্কে তিনি তার পরিবারের সদস্য ব্যতিত কাউকে অবহিত করেননি।
সুতরাং জ্ঞানী ও তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী ব্যক্তি মাত্রই এ কথা বুঝতে সক্ষম হবেন যে, এ কথাগুলো কতোটা বিপথগামিতার দিকেই উদ্বুদ্ধ করবে এবং ইসলাম ও মুসলমানদেরকে কতটা ক্ষতি ও অমঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাবে
তাই মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ তার লোকদেরকে সমবেত করলেন। মহান আল্লাহ তা’আলার স্তুতি, মহিমা ও প্রশংসা জ্ঞাপন করলেন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পাঠ করলেন
অতঃপর তিনি সমবেত লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন
ঃ কেউ কেউ মনে করে, আমাদের কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এমন ইলম আছে যা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু আমাদেরকেই অবহিত করেছেন…।
যার ব্যাপারে আমরা ছাড়া আর কেউ অবগত নয় আল্লাহর শপথ, আমরা তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এই উভয় দিকের মলাটের মাঝে যা আছে তার উত্তরাধিকারী হয়েছি। এ কথা বলে তিনি কুরআনুল কারীমের দিকে ইংগিত করলেন।
যে এ কথা মনে করে যে, আমাদের কাছে আল্লাহর কিতাব ছাড়া অন্য কিছু আছে যা আমরা পড়ে থাকি, সে বিভ্রান্তিতে ডুবে আছে ।
তার কিছু অনুসারী তাকে সালাম দিয়ে বলল ঃ ঃ হে মাহুদী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ বললেন :
ঃ হ্যাঁ, অবশ্যই আমি কল্যাণের দিশারী আর ইনশাআল্লাহ তোমরাও তারই দিশারী হবে…..
কিন্তু তোমাদের কেউ যখন আমাকে সালাম দিবে তখন সে আমাকে আমার নাম ধরে ডেকে বলবে ঃ হে মুহাম্মাদ! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ ও তার সাথীদের দুশ্চিন্তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ, আল্লাহ তা’আলা হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ কর্তৃক হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাযি.) এর নিহত হওয়ার ইচ্ছা করলেন যেন সকল মানুষ আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের হাতে বায়আত গ্রহণ করতে পারে
অল্পদিন পরেই মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের উদ্দেশ্যে লিখলেন :
এই চিঠি মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাযি.) এর পক্ষ থেকে আমীরুল মু’মিনীন আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের উদ্দেশ্যে
যাই হোক, আমি যখন দেখলাম খেলাফতের বিষয়টি আপনার হাতেই চলে গেছে এবং লোকেরা আপনার হাতে বায়আত করেছে, তখন আমি তাদেরই একজন। সুতরাং হিজাযে নিযুক্ত আপনার গভর্ণরের হাতে আমি
আপনার নামে বায়আত গ্রহণ করলাম এবং আপনার নিকট আমার এই লিখিত বায়আত প্রেরণ করলাম আবারও আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
যখন আব্দুল মালিক এই চিঠি তার সঙ্গীদের সামনে পাঠ করল, তারা
বলল : মুহাম্মাদ ইবনে হানফিয়্যাহ যদি আপনার অনুগত্যের বিষয়টিকে ক্ষুণ্ণ করতে চাইতেন এবং এ ব্যাপারে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চাইতেন তবে তিনি
তা পারতেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আপনার করার কিছুই ছিল না
সুতরাং আল্লাহ ও তার রাসূলের আশ্রয় ও নিরাপত্তার অংগীকার ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে লিখুন তাঁকে বা তাঁর সাথীদের কাউকে বিরক্ত বা স্থানচ্যূত করা হবে না ।
অতঃপর আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহর উদ্দেশ্যে তাই লিখলেন
এবং হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফকে এ মর্মে আদেশ দিলেন যেন সে মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহকে সম্মান করে, তাঁর মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখে এবং তাঁর সেবার প্রতি বিশেষ নজরদারী করে কিন্তু মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ এরপর বেশিদিন বাঁচেননি
আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট ও তাঁকে সন্তোষভাজন করে সাক্ষাতের জন্য মনোনীত করলেন
আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহর কবরকে আলোকোজ্জ্বল করুন, এবং তাঁর আত্মাকে বেহেশতে সজিব রাখুন
কারণ, তিনি সে সব ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন, যারা পৃথিবীতে বিশৃংখলা সৃষ্টি করাকে পছন্দ করতেন না,
এবং মানুষের মাঝে নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করাকে পছন্দ করতেন না।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!