আত্মহত্যা – শেখ আবদুল হাকিম – Atmahatya – Sheikh Abdul Hakim – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইয়ের নাম: আত্মহত্যা
লেখক: শেখ আবদুল হাকিম
📖 মূল কাহিনি (Main Plot):
‘আত্মহত্যা’ একটি মনস্তাত্ত্বিক ও দার্শনিক উপন্যাস, যেখানে মানুষের মানসিক জটিলতা, একাকীত্ব, সামাজিক অবক্ষয় এবং জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণার গল্প বলা হয়েছে।
গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক তরুণ—যে নিজের জীবনের অর্থ খুঁজে না পেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে গভীর মানসিক, সামাজিক ও আবেগজনিত দ্বন্দ্ব।
লেখক ধীরে ধীরে পাঠককে নিয়ে যান এক মানুষের অন্তর্জগতের অন্ধকারে, যেখানে প্রশ্ন উঠে—
👉 “মানুষ কেন বাঁচে?”
👉 “কেনই বা মরে?”
উপন্যাসটি সরাসরি কোনো উত্তরের দিকে যায় না, বরং পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে নিজের জীবনের অর্থ, ভালোবাসা, ও বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য নিয়ে।
🧠 প্রধান থিম ও বিশ্লেষণ:
- একাকীত্ব ও অস্তিত্বের সংকট: গল্পের প্রধান চরিত্র নিজের জীবন, সমাজ, এবং সম্পর্কের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
- সমাজের অবহেলা: পরিবার, বন্ধু, এমনকি ভালোবাসার মানুষও তাকে বুঝতে পারে না—যা তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
- মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: লেখক আত্মহত্যার মনস্তত্ত্বকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন; পাঠক তার মানসিক ভাঙনকে অনুভব করতে পারে।
- জীবন বনাম মৃত্যু: বইটি শেষ পর্যন্ত এক ধরণের প্রশ্ন রেখে যায়—মৃত্যু কি পরিত্রাণ, না আরেকটি জটিল শুরুর দিক?
👤 প্রধান চরিত্র ও তার প্রতীকী দিক:
- নামহীন নায়ক: প্রতিটি হতাশ, একাকী মানুষের প্রতীক।
- সমাজ: একটি ‘অদৃশ্য চরিত্র’, যে নায়কের জীবনে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, আবার তার মৃত্যুর জন্য দায়ীও হয়।
- ভালোবাসার মানুষ: আশার প্রতীক, তবে শেষ পর্যন্ত তারও ভঙ্গুরতা ফুটে ওঠে।
👍 Pros (ভালো দিক):
- ভাষা সহজ কিন্তু গভীর ভাবপূর্ণ।
- মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দারুণভাবে নির্মিত।
- লেখক পাঠককে নিজের জীবনের ভেতরে তাকাতে বাধ্য করেন।
- দার্শনিক চিন্তা ও বাস্তবতার সংমিশ্রণ অনবদ্য।
👎 Cons (ত্রুটি):
- কাহিনির গতি কিছু জায়গায় ধীর, বিশেষ করে মানসিক বিশ্লেষণের অংশে।
- পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে সংলাপের ঘাটতি অনুভূত হয়।
- যারা হালকা গল্প বা বিনোদনমূলক কিছু খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি ভারী হতে পারে।
💬 ব্যক্তিগত মতামত (Personal Review):
‘আত্মহত্যা’ এমন এক উপন্যাস, যা কেবল পড়া নয়—অনুভব করতে হয়।
শেখ আবদুল হাকিম তাঁর তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণশক্তি ও সংবেদনশীল লেখনীর মাধ্যমে দেখিয়েছেন, আত্মহত্যা কোনো দুর্বলতার ফল নয়, বরং সমাজের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
এটি এমন এক বই, যা পড়ার পর দীর্ঘক্ষণ মনে দাগ কাটে—মানুষের যন্ত্রণাকে আপনি নতুনভাবে দেখতে শিখবেন।
⭐ রেটিং (Rating): 8.7/10
অন্তর্মুখী, দার্শনিক ও গভীর—‘আত্মহত্যা’ এমন এক বই যা পাঠককে নিজের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন করতে বাধ্য করে।
🔍 সংক্ষিপ্ত রায়:
👉 “আত্মহত্যা” কোনো মৃত্যু-কাহিনি নয়; এটি জীবনের অর্থ, একাকীত্ব, এবং মানবমনের গোপন যন্ত্রণার এক মর্মস্পর্শী প্রতিচ্ছবি।
যারা আত্মবিশ্লেষণমূলক সাহিত্য পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি এক অসাধারণ পাঠ।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!
